বিলিওনেয়ারদের ৩টি কমন বৈশিষ্ট্য


বিল গেটস, জুকারবার্গ, ইলন মাস্ক, জেফ বিজোস – এঁদের মাঝে একটা মিল সবাই জানে। এঁরা সবাই বিলিওনেয়ার। কিন্তু এঁদের সবার মাঝে আরও ৩টি কমন বৈশিষ্ট আছে।


বিলিওনেয়াররা হলেন ধনীদের মাঝেও ধনী। এক বিলিয়ন মানে এক হাজার মিলিয়ন! আর এই পরিমান টাকার মালিক পৃথিবীর অল্প কয়েকজন মানুষ।  পৃথিবীর ক্ষমতাবানদের তালিকায়ও এনাদের নাম থাকে সব সময়ে।  কিন্তু টাকাই কি শুধু মানুষকে বিলিওনেয়ার বানায়? নাকি বিলিওনেয়ার হওয়াটা আসলে মানুষের কিছু কাজের আর অভ্যাসের ফলাফল? এগুলোই মানুষকে এই বিপুল সম্পদের দিকে নিয়ে যায়।  পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ২,২০৮ জন এই পরিমান সম্পদের মালিক।  এটা ঠিক যে- বিলিওনেয়ার হওয়াটা দারুন কঠিন একটি কাজ। কিন্তু এটা অসম্ভব নয়।  বিলিওনেয়ার সবাই হতে না পারলেও একদম জিরো থেকে উঠে এসে অন্তত মিলিওনেয়ার হতে পারে যে কেউ।  শুধু দরকার বিশ্বাস, মেধা, আর পরিশ্রম।

WeRunAds এর প্রতিষ্ঠাতা, Michael J. Gabrielli প্রায় দুই হাজার বিলিয়নেয়ারের জীবনযাপনের ওপর রিসার্চ করে তিনটি বিষয় খুঁজে পেয়েছেন, যা প্রায় সব বিলিওনেয়ারের মাঝেই দেখা যায়।

এগুলো জানলেই আপনি হয়তো কোটিপতি হয়ে যাবেন না। কিন্তু এগুলো আপনাকে সাফল্য ও সম্পদের পথে চলতে সাহায্য করবে। কে জানে, হয়তো ফোর্বস এর তালিকায় একদিন আপনার নামও উঠে আসবে!

তো চলুন জেনে নেয়া যাক ৩টি বিষয় যা প্রায় প্রতিটি বিলিয়নেয়ারের মাঝে দেখা যায়।

০১. ঠিক সময়ে সঠিক ক্ষেত্রে কাজে নামা

এতবড় সাফল্যের জন্য সঠিক সময়ে কাজে নামাটা খুবই দরকার।  বিলিওনেয়াররা জানেন কোন বাজারে ঢোকার সঠিক সময় কোনটি।  তাঁরা একটা কিছু পেয়েই সেটার পেছনে ছোটেন না। প্রতিটি বিষয় খুব ভাল ভাবে ভেবেচিন্তে নিয়ে তারপরই তাঁরা কোনওকিছুতে হাত দেন।  কাজের বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রটি কতটা  লাভজনক, এবং সেখানে কাজ শুরু সঠিক সময় কোনটি – তাঁরা তা আগে থেকেই ভাল করে বোঝার চেষ্টা করেন।  বিচার বিবেচনা না করে তাঁরা কোনওকিছুতে হাত দেন না।

অনেক বিলিওনেয়ারই কোনও সেক্টর বা ইনডাস্ট্রিতে invest করার আগে সেই ইন্ডাস্ট্রিতে আগে যাঁরা ব্যবসা করেছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার চেষ্টা করেন।

তাঁরা আগে থেকেই বোঝার চেষ্টা করেন নতুন কোন ইন্ডাস্ট্রিটি বাজার মাত করতে যাচ্ছে।  অথবা তাঁরা নিজেরাই এমন একটি নতুন আইডিয়া বের করার চেষ্টা করেন, যার বাজার মাত করার সম্ভাবনা আছে।  উদাহরন হিসেবে ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গের কথা ধরা যাক।তিনি যখন শুরু করেন, তখন সোশ্যাল মিডিয়া খুব একটা প্রচলিত কিছু ছিল না। কিন্তু তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে সোশ্যাল মিডিয়া একদিন পুরো বিশ্ব দখল করতে পারে। এবং তিনি কাজে নামার জন্য সঠিক সময়টিও বেছে নিয়েছিলেন।

ফেসবুকের আগে মাইস্পেস, ফ্রেন্ডস্টার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া মোটামুটি ভাল করছিল। জুকারবার্গ মূলত মাইস্পেস এর আইডিয়া থেকে শিক্ষা নিয়েই ফেসবুককে সাজিয়েছিলেন।  সেইসময়কার সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে কি কি জিনিসের অভাব ছিল, নতুন কোন জিনিস মানুষের ভাল লাগতে পারে – সেইসব ভেবে নিয়েই তিনি ফেসবুককে একটি পারফেক্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিনত করেন।

সত্যিকথা বলতে জুকারবার্গের মত এমন অনেক বিলিয়নেয়ার আছেন, যাঁরা সেই ব্যবসাটির প্রথম উদ্যোক্তা নন। তাঁরা আসলে সঠিক সময়ে কাজ শুরু করেছেন, সিনিয়রদের ভুল থেকে শিখেছেন, সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, এবং ধীরে ধীরে সেরা পন্য বা সার্ভিসটি তৈরী করে অন্যদের ছাড়িয়ে গেছেন।  কাজেই যে কোনও ক্ষেত্রে ধনী বা সফল হওয়ার জন্য সঠিক বিবেচনা আর ঠিক সময়টি বোঝা জরুরী।

আপনি যেখানে কাজ করতে চান, সেখানে সঠিক সময়ে কাজ শুরু করছেন কি-না এটা বুঝতে Michael J. Gabrielli ৩টি প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করতে বলেন:

# ব্যবসাটি নিয়ে ভালভাবে গবেষণা করুন আর নিজেকে প্রশ্ন করুন – এখানে কোন জিনিসটি এখনও নেই যা মানুষ চায় বা তাদের কাজে লাগতে পারে?

# আমি কি এমন কিছু আবিষ্কার করতে চাচ্ছি যা এখনও পৃথিবীতেই নেই?

# আমি কি খুব বেশি দেরি করে ফেলেছি?

যে ক্ষেত্রেই আপনি সাফল্য চান না কেন, আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার পন্য বা সেবা মানুষের কাজে না লাগলে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন না।  এবং সেইসাথে এটাও বুঝতে হবে আপনার প্রোডাক্ট নিতে পারার মত মানসিকতা মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে কিনা। মানে, সময়টি সঠিক কি-না।  যদি তা না হয়, তবে একটু খেটে বের করুন কোন সময়টি আপনার কাজ শুরু করার জন্য সঠিক হবে। আর যদি এমন হয় যে আপনার আইডিয়াটি বাজারে আনতে দেরি হয়ে গেছে, তবে সেটির পেছনে টাকা, সময় ও শ্রম নষ্ট না করে একই ধরনের নতুন আইডিয়া নিয়ে চিন্তা করুন ও তা কাজে লাগান।  বিলিওনেয়াররা এটাই করেন।

০২. অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা জায়গায় নিজেকে নিয়ে যাওয়া

সঠিক সময় ও সঠিক ক্ষেত্র বেছে নেয়ার পাশাপাশি বিলিওনেয়াররা এমন কিছু করেন, যাতে অন্যদের থেকে তাঁদের একটু আলাদা মনে হয়।  তাঁরা অন্যের প্রয়োজন বোঝার চেষ্টা করেন, এবং গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে সেইসব প্রয়োজন মেটানোর বা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।  অন্যরা যেদিকে ছোটে, তাঁরা  সেদিকে অন্ধের মত না ছুটে, নিজের জন্য একটি লাগসই জায়গা বেছে নেন, যেটা অন্যরা দেখতে বা বুঝতে পারে না।  বলা হয় “নিজের জন্য সেরা জায়গাটি বেছে নিতে পারাটা সব বিলিওনেয়ারের একটি অনন্য বৈশিষ্ট”।

উদাহরন হিসেবে বলা যায়, ১৮৪৮-৫৫ এর California Gold Rush এর সময়ে সবাই যখন সোনার খোঁজ পেয়ে সোনার খনির দিকে ছুটছিল, তখন স্যাম বার্ণান অন্য চিন্তা করেছিলেন।  আর সবার মতো অন্ধভাবে সোনার খনিতে না দৌড়ে তিনি নিজের জন্য আরও ভাল একটি জায়গা বেছে নিয়েছিলেন।

তিনি জানতেন যে এত মানুষের ভিড়ে প্রয়োজনীয় পরিমান সোনা খুঁজে পাওয়া একরকম অসম্ভব। তিনি তাই তিনি এমন একটি কাজে হাত দিলেন যেটা নিশ্চিত ভাবে লাভজনক। তিনি সোনা খুঁড়ে বের করার যন্ত্রপাতি বানাতে শুরু করলেন – যা সেই সময়ে মানুষ হটকেকের মত কিনছিল।  প্রতিদিন নতুন নতুন সোনা-পাগল মানুষ তাঁর কাছে ভিড় করে শাবল, গাঁইতি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি চড়া দামে কিনে নিতে থাকল।

অন্যদের কাছে যখন সোনা খুঁড়ে বের করাটা সবচেয়ে লাভজনক কাজ মনে হচ্ছিল, তখন সেই পাগলামিকে কাজে লাগিয়ে একজন সোনা খোঁড়ার যন্ত্র বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে গেল!

আপনি হয়তো আগে বার্ণান এর নাম শোনেননি। কিন্তু বিল গেটস ও মাইক্রোসফট এর নাম নিশ্চই শুনেছেন।  গেটসও প্রায় একই পথ ধরে সাফল্য পেয়েছেন।  এ্যাপল সহ অন্যরা যখন কম্পিউটার ও এর উন্নত যন্ত্রাংশ বা হার্ডওয়্যার বানানোর আর পেছনে সময়, মেধা ও শ্রম ব্যয় করছিল, তখন মাইক্রোসফট মনযোগ দিয়েছিল সফটঅয়্যারের দিকে। গেটস বুঝতে পেরেছিলেন শুধু উন্নত হার্ডওয়্যার দিয়েই কম্পিউটার সবার জন্য সহজলভ্য হবে না। উন্নত যন্ত্রের সাথে সহজে শেখা ও চালানো যায় – এমন উন্নত সফটঅয়্যারও প্রয়োজন।  সেই আইডিয়ার ওপর কাজ করেই আজ বিল বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় সব সময়ে সেরা ৩ এর মধ্যে থাকেন।

bill gates microsoft

বিলিয়নেয়ারদের মতো আপনি নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে চাইলে দু’টো প্রশ্ন করতে পারেন

# মানুষের এখন এমন কি প্রয়োজন যা নিয়ে এখনও কেউ ভাবছে না, এবং আমার পক্ষে কি তা দেয়া সম্ভব?

# আমি কি শুধু পুরনোদেরই অনুসরন করে যাচ্ছি, না একদম নতুন কিছু দেয়ার চেষ্টা করছি?

০৩. হিসেব করে ঝুঁকি নেয়া

বেশিরভাগ মানুষই যতটা পারা যায়, ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদে থাকতে চায়। কিন্তু উদ্যোক্তা, বিশেষ করে বিলিয়নেয়াররা সব সময়ে নিরাপত্তার মাঝে নিজেদের আটকে রাখতে পছন্দ করেন না।  বেশি নিরাপদ থাকতে চাইলে মানুষ একটি মানসিক খাঁচার মাঝে আটকা পড়ে যায়। এবং একটা পর্যায়ের পর সে আর বড় হতে পারে না।  বিলিয়নেয়াররা হিসেব কষে বড় বড় ঝুঁকি নেন যেগুলো তাঁদের সাধারন মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায়।

এখানে একটি জরুরী বিষয় মনে রাখতে হবে, অনেকেই তাঁদর এই ঝুঁকি নেয়াকে ‘পাগলামি’ বা ‘বুদ্ধিহীনতা’ মনে করে – কিন্তু সত্যি বলতে তাঁদের এই ঝুঁকি গুলো খুবই গুছিয়ে চিন্তা করে, হিসেব কষে নেয়া পদক্ষেপ।  সাধারন ঝুঁকি আর ‘হিসেব করে নেয়া ঝুঁকি’ – দু’টোর মাঝে অনেক পার্থক্য আছে।  হিসেব করে নেয়া ঝুঁকি বা “calculated Risk” নেয়া হয় অনেক ভাবনা চিন্তা আর পরিকল্পনা করে, যার ফলাফল সম্পর্কে কর্মীর একটা ভাল ধারনা থাকে।  অন্যদিকে সাধারন ঝুঁকি নিয়া হয় আবেগের বশে, তেমন কোনও চিন্তাভাবনা না করে।

বিলিয়নেয়াররা এই দু’টোর পার্থক্য খুব ভাল করে বোঝেন, এবং তাঁরা সেই অনুযায়ী কাজ করেন।  অনেক সময়ে সাধারন মানুষেরা তাঁদের চিন্তা ধরতে পারেন না। সেজন্যই সাধারন মানুষের  কাছে মনে হয় যে তাঁরা আবেগের বা খেয়ালের বশে, বা শুধু স্বপ্ন থেকে ঝুঁকি নিচ্ছেন – কিন্তু বাস্তব তার বিপরীত। সাধারন মানুষদের চেয়ে তাঁদের চিন্তার ধরন আলাদা হওয়ায় সবাই তা বুঝতে পারে না।  সঠিক হিসাব, পরিস্কার চিন্তা আর ঝুঁকি নেয়ার সাহসই এসব মানুষকে অন্যদের থেকে ওপরে নিয়ে যায়।

একটি উদাহরন হিসেবে স্টারবাক্‌স এর সিইও Howard Schultz এর কথা বলা যায়। তিনি বেড়ে উঠেছিলেন অতি দরিদ্র এক পরিবারে। সেখান থেকে নিজের যোগ্যতায় একটি কফি মেকার মেশিন কোম্পানীতে এক্সিকিউটিভ হিসেবে ভাল বেতনের একটি চাকরি পেয়েছিলেন।  কিন্তু যখন তাঁর মাথায় স্টারবাক্‌স নামে ইটালিয়ান ঘরানার একটি কফিশপের আইডিয়া এল, সেই চাকরি  তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এটা যে তিনি আবেগের বশে করেছিলেন, এমন নয় – আসলে তিনি হিসেব করে বুঝতে পেরেছিলেন যে এই ঝুঁকিটি নিলে ভবিষ্যতে বড় কিছু হওয়ার খুব ভাল সম্ভাবনা আছে।

তিনি একবার বলেছিলেন “অন্যরা যা নিরাপদ মনে করে, তুমি তারচেয়ে বেশি ঝুঁকি নাও”। – অর্থা‌ৎ সাধারন মানুষ যে পরিমান ঝুঁকি নেয়াকে নিরাপদ মনে করে, বিশেষ মানুষেরা তারচেয়ে একটু হলেও বেশি ঝুঁকি নিতে পারেন।

স্টারবাক্‌স সিইওর মত এমন আরও বিলিওনেয়ার আছেন,  যাঁরা ভাল বেতনের ও সুযোগ সুবিধার চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ বিনিয়োগ করেছেন, এমনকি নিজের সুনামকেও ঝুঁকির মাঝে ফেলেছেন, শুধুমাত্র নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য। কিন্তু তাঁরা সেই ঝুঁকি নেয়ার আগে হিসেব করে নিয়েছিলেন যে তার ফলাফল কি হতে পারে, এবং তাঁরা সেখান থেকে কি চান।  তাঁরা জানতেন যে দিন শেষে এই ঝুঁকির বহুগুণ লাভ তাঁরা পাবেন। পৃথিবীর সর্বকালের সেরা ধনী জেফ বিজোস তাঁর ওয়ালস্ট্রিটের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন Amazon.com প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

এমন হিসেবী ঝুঁকি নেয়ার আগে আপনি Gabrielli- এর পরামর্শ অনুযায়ী নিজেকে ৩টি প্রশ্ন করতে পারেন:

# আমি কি এখন ঝুঁকি নেয়ার জন্য প্রস্তুত?

# যখন সামনে বাড়ার কথা, আমি কি তখন থমকে আছি?

# কোন কোন জায়গায় আমার ঝুঁকি নিলে লাভ হতে পারে? এবং সেগুলো ঠিক কিভাবে হবে?

বিলিওনেয়ার না হলেও, আপনি যদি চান সাধারনের চেয়ে বেশি সাফল্য বা অর্থ আপনি অর্জন করবেন, আপনাকে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবে।  আর ঝুঁকি নিতে হলে সফল মানুষদের মত হিসেবী ঝুঁকি নেয়াই ভাল।

পরিশিষ্ট:

এই ৩টি বৈশিষ্ট প্রায় সব বিলিওনেয়ারদের মাঝে পাওয়া গেলেও, এগুলো কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে যাঁরা সফল, তাঁদের মাঝেও দেখা যায়।  আপনি যে ক্ষেত্রেই সফল হতে চান না কেন, আপনাকে সুযোগ সৃষ্টি ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করা, সাধারন ধ্যান ধারনার বাইরে চিন্তা করা, এবং ঝুঁকি নিতে জানতে হবে। তাই বিলিয়নেয়ারদের এই বৈশিষ্টগুলো থেকে আমাদের সবারই কিছু শেখার আছে।

আশাকরি লেখাটি আপনার কাজে লাগবে।  আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।  লেখাটি শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন।  সাফল্যের পথে প্রতিটি পদক্ষেপে লড়াকু আপনার সাথে আছে, আপনিও আমাদের সাথে থাকুন।

পোস্টটি শেয়ার করুন !