বিশ্বের সেরা ধনী জেফ বিজোস এর থেকে নেয়ার মত ৮টি অনুপ্রেরণা


তাঁর নাম জেফ বিজোস। আমাজন ডট কম, ওয়াশিংটন পোস্ট, ব্লু অরিজিন এর মত কোম্পানীর মালিক। ১৪৩.১ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে পৃথিবীর সেরা ধনী ব্যক্তি তিনি। এমন একজন মানুষের চিন্তা ভাবনা কেমন? এমন প্রশ্ন তো মানুষের মনে ঘুরপাক খেতেই পারে।

এত সাফল্য আর সম্পদ অর্জন করার পরও তিনি এখনও অক্লান্ত ভাবে পরিশ্রম করে ক্রমাগত নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। থামার কোনও লক্ষণই নেই তাঁর মধ্যে। কোন অনুপ্রেরণার বলে তিনি এখনও এতটা কাজ করেন? কোন চিন্তা তাঁকে এখনও চালু রেখেছে?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার জন্যই আমরা নজর দিয়েছি বিশ্বের সেরা ধনী মানুষটির নিজের মুখে বলা ৮টি বিখ্যাত উক্তির দিকে। এবং সেখান থেকেই বেরিয়ে এসেছে তাঁর ৮টি অনুপ্রেরণা। চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক। দেখা যাক, বিজোসের অনুপ্রেরণা থেকে আমরাও কিছুটা অনুপ্রাণিত হতে পারি কি-না:

hello-bcs-041223-1 (1)

৪৬ তম বিসিএস পরিপূর্ণ প্রস্তুতি

বর্তমানে অংশগ্রহণ করেছেন 620 জন

জয়েন করুন

০১. “বিশাল কিছু আসলে ছোট থেকে শুরু হয়। সবচেয়ে বড় ওক গাছের যাত্রাও ছোট্ট একটি ওক বিজের থেকেই শুরু হয়”।

oak tree wallpaper

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য প্রথমে সৃষ্টি হয়েছিল একজন মানুষের মাথায় আসা ছোট্ট একটি আইডিয়া থেকে। আমাজন শুরু করার আগে বিজোস ওয়ালস্ট্রিটের একটি ফার্মে কাজ করতেন। সেই কোম্পানীর ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে লোভনীয় অংকের বেতন পেতেন তিনি। কিন্তু আমাজনের আইডিয়া মাথায় আসার পর তিনি সেই নিরাপদ চাকরি ছেড়ে দিয়ে, নিজের গ্যারেজে একটি অনলাইন বুক শপ চালু করেন। সেটিই আজকের আমাজন।

তাঁর মাথায় ছিল যে একদিন তাঁর কোম্পানী বিশাল আকার ধারন করবে। কিন্তু তিনি শুরু করেছিলেন শুধুমাত্র বই দিয়ে। এবং এখনকার মত সারা বিশ্বে তাঁর সার্ভিস চালু ছিল না। তাঁর এলাকার আশপাশেই তা সীমাবদ্ধ ছিল। একদম ছোট থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে তিনি তাঁর কোম্পানীকে বড় করেছেন। শুরু ছোট হোক, কিন্তু চিন্তা হতে হবে বড়। তাহলেই বড় হওয়া সম্ভব। সেই আরও বড় হওয়ার জন্যই জেফ এখনও বিরামহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর মনে হয়তো এখনও অনেক বিশাল কিছু রয়েছে – সময় এলে যা আরও একবার পৃথিবীকে অবাক করবে।

০২. “যুগের প্রভাবে সবাই যেদিকে যাচ্ছে, সেদিকে না গিয়ে নিজের সত্যিকার আগ্রহের বিষয়ের পেছনে ছুটুন”।

follow your heart quote

নিজের ভেতর থেকে যে বিষয়ের প্রতি আপনি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ বোধ করেন, তা নিয়েই কাজ করুন। এক একটি যুগে এক এক জিনিস নিয়ে মানুষের প্রবল আগ্রহ দেখা যায়। একটা সময়ের পর সেই আগ্রহ আর থাকে না। কিন্তু যা নিয়ে আপনার মনে সত্যিকার আগ্রহ থাকবে, তার অস্তিত্ব সারাজীবনই থাকবে। যদি আর সবাইকে দেখে কোনও জিনিসের পেছনে ছোটেন, তাহলে আর সবার সাথেই আপনার আগ্রহ মরে যাবে। অন্যদের অনুসরন করলে কখনওই দীর্ঘস্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে যেতে পারবেন না। কাজেই নিজের ভেতরের ‘প্যাশন’ কে অনুসরন করুন। তাহলেই  বিরাট কিছু করা সম্ভব।

 

০৩. “আপনি একটি চাকরি করতে পারেন, একটি ক্যারিয়ার গড়তে পারেন, অথবা ভেতরের ডাকে সাড়া দিতে পারেন। (আমার মতে) ভেতরের ডাকে সাড়া দেয়াটাই সবচেয়ে ভালো। আপনি যদি আপনার প্যাশন খুঁজে পান, এবং তার পেছনে ছোটেন, তাহলে কোনও কাজকেই আপনার আর কাজ মনে হবে না”।

dream call

এমন কিছু খুঁজে বের করুন, যা ভেতর থেকে শক্তি শুষে নেয়ার বদলে আপনাকে শক্তি দান করবে। কোন জিনিসটার কথা ভাবলে আপনি নিজের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বোধ করেন? কোন কাজটা করার কথা ভাবলে আপনার মাঝে সবচেয়ে বেশি কাজের আগ্রহ জন্মায়? – ভেবে দেখুন, এখন যা করছেন তা কি আপনাকে আনন্দ দেয়? নাকি অন্য কিছু করার মধ্য দিয়ে আনন্দ পান?

এখানে আনন্দ বলতে আসলে কাজের আনন্দ বোঝানো হচ্ছে। আড্ডা দিতে বা অন্য বিনোদন করায় আনন্দ আছে – কিন্তু সেগুলো জীবনকে সফল করতে পারবে না। সাফল্য আসে কাজের মাধ্যমে। তাই ভেবে বের করুন, কোন কাজটি আপনাকে সবচেয়ে আনন্দ দেয়। কোন কাজটি করার সময়ে ভেতর থেকে সবচেয়ে বেশি সাড়া আসে। বের করতে পারলে, সেই কাজের পেছনেই বেশিরভাগ সময় ব্যয় করুন। তাহলে সাফল্য আসাটা শুধুই সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

জেফ বিজোস ওয়ালস্ট্রিটে খুবই লোভনীয় একটি চাকরি করতেন। কিন্তু একটা সময়ে তাঁর মনে হয়েছিল এটা তাঁকে পূর্ণ আনন্দ দিতে পারছে না। ভেতর থেকে সাড়া মিলছে না। কাজেই তিনি সেই চাকরী ছেড়ে দিয়ে নিজের অনলাইন শপ খোলেন। আপনিও যদি এমন কিছু করতে চান, তবে কাজে নামার আগে নিজের ভেতর থেকে কোন জিনিসটার প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ আসে – তা খুঁজে বের করুন।

 

০৪. “আমাজনের মূল মিশন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ক্রেতামুখী কোম্পানী হওয়া। আমরা এমন একটি জায়গা বানাতে চাই যেখানে মানুষ এসে তাদের প্রয়োজনের সবকিছুই অনলাইনে কিনতে পারবে”।

amazon.com logo wallpaper

এই কয়েক শব্দের মাঝে যে মেসেজটি আছে, তার ওপর ভিত্তি করেই জেফ তাঁর সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। একটি পরিস্কার ভবিষ্য‌ৎ পরিকল্পনার ছবি যখন আপনার মনের মাঝে গেঁথে যাবে, তখন একদম সোজাসুজি সেইদিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। শুধু অর্থের কথা মাথায় রেখে ব্যবসা শুরু করলে জেফ বহু আগেই হয়তো তাঁর কোম্পানী বিক্রি করে দিতেন। কিন্তু তাঁর মনে শুধু অর্থ ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন একটি নতুন যুগের শুরু করতে – যা তিনি করে দেখিয়েছেন।

কিন্তু তাঁর পুরো স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। আমাজনে এখনও প্রয়োজনের সবকিছু ১০০% পাওয়া যায় না। সেই কাজটি করতে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। তাইতো তাঁর মনে থাকা এই ভবিষ্যতের ছবি এখনও তাঁকে অনুপ্রেরণা দেয়। এই কারনেই তিনি এখনও এগিয়ে চলেছেন সমান গতিতে।

যাঁরা জীবনে বড় কিছু করতে চান, ভবিষ্যতের একটি পরিস্কার মনছবি তাঁদের সবারই প্রেরণার উ‌ৎস হতে পারে। যতদিন না সেই মনছবি বাস্তবে রূপ নিচ্ছে, ততদিন তা আপনাকে কাজ করে যাওয়ার প্রেরণা দিয়ে যাবে।

 

০৫. “মাত্র অল্প কয়েকটি সাফল্য আপনার ডজন ডজন ব্যর্থতাকে ঢেকে দিতে পারে”।

famous success and failure quote

একবারে কেউ লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। জেফের মতে, প্রথমে লক্ষ্য অর্জনের চেয়ে লক্ষ্য ঠিক করতে শেখা জরুরী; এবং সেই লক্ষ্যের জন্য কাজ শুরু করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি একবার বলেছিলেন, “আমাজনে কাজ করতে গিয়ে আমি কয়েক বিলিয়ন ডলারের কাজে হাত দিয়ে ব্যর্থ হয়েছি… সত্যিই কয়েক বিলিয়ন ডলার নষ্ট হয়েছে… কিন্তু এখন সেটা কোনও ব্যাপার নয়”।

আমরা সবাই জানি, কয়েক বিলিয়ন ডলার হারিয়ে তিনি যা শিখেছেন, তা দিয়েই তিনি শত বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছেন।

একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার সময়ে, তা পূরণ করার সবগুলো পরিকল্পনা কখনওই সফল হবে না। ব্যর্থতা আসবেই। কিন্তু সেই ব্যর্থতা থেকে অনেক মূল্যবান শিক্ষা পাবেন – যার ফলে আপনার দক্ষতা বাড়তে থাকবে। এবং একটা সময়ে গিয়ে লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন।

শুধু জেফ বিজোস নন, পৃথিবীর প্রায় সব সফল মানুষের গল্পই এমন। ব্যর্থতায় হতাশ না হয়ে তাঁরা সেটিকে শিক্ষার সুযোগ হিসেবে দেখেন। অন্যরা যখন বাজে পরিস্থিতিতে ভয় পেয়ে পিছিয়ে বা থেমে যায়, তখন বিজোসের মত মানুষেরা তা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আরও বেশি উ‌ৎসাহের সাথে এগিয়ে যান।

০৬. “আপনি যদি সমালোচনা নিতে না পারেন, তবে নতুন অথবা চম‌ৎকার কিছু করার চেষ্টা করবেন না”।

low raring

সমালোচনার বিষয়ে বিশ্বের সেরা ধনী জেফ বিজোসের মতামত হল, সমালোচনা যত কঠোরই হোক, তাকে গায়ে মাখা যাবে না। এমন মানুষ সব সময়েই থাকবে যারা আপনার চিন্তাভাবনা ও কাজকে বাঁকা চোখে দেখবে।

নতুন কিছু করা, পুরাতনকে ভেঙে নতুনের জন্ম দিতে গেলে অনেক ধরনের মানুষের দৃষ্টি আপনার ওপর পড়বে। এদের মধ্যে কিছু মানুষ উ‌ৎসাহ দেবে, কিছু অন্যায় সমালোচনা করবে। যখনই আপনি অন্যদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে নিজের পরিমাপ করবেন, তখনই বিপদে পড়বেন। মনে রাখতে হবে, আপনি কি – তা আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না। কোন কাজ আপনি কি কারনে করেন, তা অন্যদের পক্ষে কখনওই পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়। কাজেই বিরূপ সমালোচনায় মুষড়ে পড়া যাবে না। নিজের লক্ষ্য ও কাজের দিকে সব সময়ে পুরো মনযোগ রাখতে হবে। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি তাদের নিজেদের অবস্থানকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠে – তারা আপনার অবস্থান কখনওই নিখুঁত ভাবে বুঝবে না।

তবে সমালোচনাকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করাও ঠিক নয়। সমালোচনার মধ্য দিয়ে আপনার নিজের এমন অনেক ভুল বেরিয়ে আসতে পারে, যা নিজের চোখে ধরা পড়েনি। তাই সমালোচকদের কথাকে সব সময়ে পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়াও ঠিক নয়। গঠনমূলক এবং বিরূপ – দুই ধরনের সমালোচনাই অনুপ্রেরণার উ‌ৎস হতে পারে, যদি আপনার সমালোচনা নেয়ার ক্ষমতা থাকে।

০৭. “দিন শেষে, আমাদের জীবন আমাদের সিদ্ধান্তের ফল। তাই নিজের জন্য একটি দারুন গল্প রচনা করুন”।

create your own story

পৃথিবীর প্রাণীকূলে একমাত্র মানুষই স্বাধীন চিন্তার অধিকারী। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ – সেটা বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা মানুষের আছে।

আপনি চাইলে আজই জীবনের গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন একটি মাত্র সিদ্ধান্ত নিয়ে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেন, আজ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেই সময়টা কোনও সত্যিকার কাজে লাগাবেন। আগ্রহের বিষয়ে প্রতিদিন দুই ঘন্টা পড়াশুনা করবেন। এই একটি সিদ্ধান্তের ফলেই কিন্তু আপনার জীবন বদলে যেতে পারে।

বেস্ট সেলিং লেখক জিম ক্যাচহার্ট ছোটবেলায় ভাবতেন তিনি তাঁর বাবার মত একজন ব্যাঙ্কার বা ঐ ধরনের কোনও চাকরীজীবি হবেন। কিন্তু একদিন সকালে তিনি পাশের রুমের রেডিওতে একটি কন্ঠ শুনতে পেলেন।

আর্ল নাইটএঙ্গেলকে বলা হতো ৭০ এর দশকের পার্সোনাল মোটিভেশনের গুরু। সেই নাইটএঙ্গেলের কন্ঠে তিনি শুনলেন: “কেউ যদি প্রতিদিন তার পছন্দের বিষয়ে ১ঘন্টা বাড়তি পড়াশুনা করে, ৫বছর বা তারও কম সময়ের মধ্যে সে সেই বিষয়ের একজন জাতীয় বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবে”।

ক্যাচহার্ট সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তিনি কি করবেন। আজ তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত লেখকদের একজন। সেদিন যদি তিনি আর্লের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে সিদ্ধান্ত না নিতেন – তবে আজ এই দারুন গল্পটির জন্ম হত না। জিম ক্যাচহার্ট একজন চাকুরে হিসেবে জীবন কাটিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতেন। কিন্তু একটি সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে তিনি চলে যাওয়ার শত শত বছর পরও পৃথিবীতে তাঁর নাম থেকে যাবে।

আর জেফ বিজোসের গল্প তো আগেই বলেছি। লোভনীয় চাকরি ছেড়ে না আসলে তিনিও পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন হতেন না।

এই গল্পের জন্ম দেয়াকে অনুপ্রেরণা করেই সফল মানুষেরা অন্যরকম হয়ে ওঠেন। আর দশটা সাধারন মানুষের মত শুধু নিরাপত্তা খুঁজে জীবন কাটিয়ে না দিয়ে তাঁরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যান জীবনকে অন্যরকম একটা অর্থ দেয়ার লক্ষ্যে।

 

০৮. “আমি যদি অফিসে ভালো সময় কাটাই, তবে একজন ভালো স্বামী, ভালো বাবা হিসেবে ঘরে ফিরি। আবার যখন ঘর থেকে ভালো মন নিয়ে অফিসে যাই, তখন আমি একজন ভালো বস, একজন ভালো সহকর্মী হয়ে উঠি”।

be happy wallpaper and picture

ভালো মন নিয়ে থাকাটা কাজ ও ব্যক্তিগত – দুই ক্ষেত্রেই জরুরী। শান্তির চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর কিছুই হতে পারে না। মন ভালো থাকলে অফিসে বা বাড়িতে আপনি একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠবেন। সব কাজই আপনার কাছে সহজ মনে হবে। সবকিছুতেই উ‌ৎসাহ পাবেন।

বাড়িতে সুখী থাকলে, অফিসেও আপনার মন ভালো থাকবে। সহকর্মীদের সাথে আপনার আচরন ভালো হবে। আবার সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক ঠিক থাকলে বাড়িতেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। জেফ এই বিষয়টি খুব ভালোমত বোঝেন বলেই সবখানে একটি সুখী আবহ ধরে রাখতে চেষ্টা করেন। আপনি যদি আপনার পরিবারকে ভালোবাসেন, এবং তারাও যদি আপনাকে ভালো বাসে, তবে তাদের জন্য কাজে উন্নতি করার অনুপ্রেরণা আপনার ভেতর থেকেই আসবে।

 

পরিশিষ্ট:

সাধারন মানুষ আর অতি সফল মানুষদের চিন্তাধারায় বেশ বড় কিছু পার্থক্য থাকে। পারেটো প্রিন্সিপাল অনুযায়ী, সাফল্যের পেছনে ৮০%ই মানসিকতার অবদান। নিজের মানসিকতায় অল্প কিছু পরিবর্তন আনলেও একজন মানুষের পক্ষে সাধারন থেকে অসাধারনের কাতারে যাওয়া সম্ভব।

জেফ বিজোসের মত মানুষেরা আসলে একটু অন্যরকম মানসিকতার অধিকারী বলেই তাঁরা এতটা সফল হয়েছেন। এঁরা সব পরিস্থিতিতেই অনুপ্রেরণা খুঁজে পান। সবকিছুকে একটু অন্যভাবে দেখেন।

আপনিও যদি প্রতি পদক্ষেপে এমন ইতিবাচক অনুপ্রেরণা খুঁজে নেয়ার অভ্যাস করতে পারেন, তবে হয়তো আপনিও একদিন তাঁদের কাতারে সামিল হতে পারবেন।

জেফ বিজোস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাইটে থাকা জেফ বিজোস এর জীবনী পড়ুন।

আর এই লেখাটির বিষয়ে আপনার মতামত কমেন্ট করে জানান। ভালো লাগলে শেয়ার করুন। আত্মোন্নয়ন আর অনুপ্রেরণামূলক তথ্যবহুল লেখার জন্য লড়াকুর সাথে থাকুন। সাফল্যের পথে লড়াকু সব সময়ে আপনার সাথে আছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন !