দু’টি ব্যাঙ একদিন একসাথে পথ চলছিল। পথ চলতে চলতে তারা দু’জনেই একসাথে একটি তিনহাত গভীর গর্তে পড়ে গেল। পড়ে গিয়েই তো বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার জুড়ে দিল, আর লাফিয়ে লাফিয়ে সেই গর্ত থেকে ওঠার চেষ্টা করতে লাগল।
তো, ব্যাঙ দু’টোর চিৎকার শুনে আশে পাশে থাকা আরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ এসে গর্তের চারিদিকে ভিড় জমালো। দুই ব্যাঙের অবস্থা দেখে তাদের খুব দু:খ হল। কিন্তু কি আর করা! তারা নামলে তো ওদের বাঁচাতে পারবেই না, বরং নিজেদেরও মরতে হবে। ওদিকে ব্যাঙদের বন্ধু, বাঁদরও নতুন বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে গেছে – মাসখানেকের আগে মনেহয় ফিরবে না। কাজেই তার কাছে সাহায্যের আশা করা বৃথা।
ওদিকে গর্তে পড়া দুই ব্যাঙ ক্রমাগত লাফিয়ে লাফিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু পিচ্ছিল মাটি বেয়ে উঠতে পারছে না। দুই ব্যাঙের একটির নাম পু, আর অন্যটি ফু। পু আর ফু এর কষ্ট দেখে অন্য ব্যাঙেরা চিৎকার করে বলতে লাগল যে “ভাই, তোরা তো এমনিতেও মরবি ওমনিতেও মরবি, শুধু শুধু কষ্ট কেন করছিস?” শেষ সময়টা আরামে কাটা। – এরকম কয়েকবার বলার পর পু গর্তের মধ্যে চুপচাপ বসেই থাকল। কিন্তু ফু আরও জোরে লাফিয়ে লাফিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে লাগল। ওকে যতই মানা করা হয় যে চেষ্টা করিস না, ও ততই লাফানোর জোর বাড়িয়ে দেয়। অন্য ব্যাঙেরা এরপর চিৎকার করে ওকে ‘বোকা’, ‘বলদ’ – ইত্যাদি নানান কটু কথা বলে চিৎকার করতে লাগল। পু এইসব শুনে বসে বসে কাঁদতে লাগল, আর বোকা ফু- টা আরও যেন উৎসাহ পেয়ে লাফাতে লাগলো। কেউ বুঝতে পারছে না, এই ব্যাঙের সমস্যা কি…..
কি, বোরিং লাগছে? “আসলাম নেতা আর পজিটিভ মানুষেরা অন্যদের কি বলে তাই জানতে – এসে দেখি আষাঢ়ে গল্প বলা হচ্ছে…” – তাই না?
আচ্ছা চলুন আগে কাজের কথা শুরু করি, গল্পের সময় তো পড়েই আছে। ব্যাঙ ব্যাঙের মত লাফাতে থাকুক, আমরা একটু কাজের কথা শুনে আসি। তবে যারা এই গল্প পুরোটা শুনতে চান, তাদের বলে রাখি, এই গল্প শেষ না করে এই লেখা শেষ হবে না।
একজন মানুষের কথা আর আচরনেই কিন্তু বোঝা যায় লোকটি আসলে কি ধরনের মানসিকতার মানুষ। সত্যিকার নেতা ও পজিটিভ লোকেরা সব সময়ই মানুষের সাথে এমন ভাবে কথা বলেন যাতে করে তারা উৎসাহিত, আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী অনুভব করে। এই ধরনের মানুষদের অন্যরা খুব সহজেই পছন্দ করে, এবং বেশিরভাগ সময়েই বিনা প্রশ্নে তাদের কথা মেনে চলে। এরকম মানুষের সাথে কথা বলতে গেলে আপনি সব সময়েই আগের চেয়ে একটু ভাল বোধ করবেন। আর এই ধরনের মানুষেরা সচরাচর অন্যদের উৎসাহিত ও ভাল বোধ করানোর জন্য কয়েকটি কথা প্রায়ই বলে থাকেন। কথাগুলো কমবেশি সবাই জানে কিন্তু সাধারণত বলতে চায় না। খুব সাধারণ হলেও কথাগুলোর শক্তি ও প্রভাব অসাধারণ। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন ৪ টি কথা যা নেতৃত্ব-গুণ সম্পন্ন মানুষেরা অন্যদের বলে থাকেন।
০১. “আমার ভুল হয়েছে”
খুব সাধারন একটি কথা। কিন্তু এই সাধারন কথাটিই যেন আমাদের মুখ দিয়ে বের হতে চায় না। আমরা বেশিরভাগ সময়ে এই কথাটি বলা দূরে থাক – ভাবতেও চাই না। এর কারন হচ্ছে আমরা মনে করি ভুল স্বীকার করলে বোধহয় অন্যের কাছে ছোট হয়ে যেতে হয়। এবং এই কারনে একে খুবই কঠিন একটি কাজ মনে হয়।
কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে, আপনি যদি আপনার ভুল স্বীকার করতে না পারেন, তাহলে সেই ভুল আপনি কখনওই শুধরাতে পারবেন না। আর যতদিন না আপনি নিজে বদলাচ্ছেন, ততদিন আপনার অবস্থাও বদলাবে না।
আমরা সাধারনত নিজের ভুল দেখার বদলে অন্যের ভুল নিয়ে পড়ে থাকি। বড় বড় মানুষেরা কিন্তু ঠিক এর উল্টোটি করেন। অন্যের দোষ আর ভুলের বদলে তাঁরা চেষ্টা করেন তাঁদের নিজেদের ভুলগুলো খুঁজে বের করতে। এভাবেই তাঁরা একটা সময়ে গিয়ে নিখুঁত মানুষ হয়ে ওঠেন।
এতো গেল নিজের কাছে স্বীকার করার কথা। আপনি যখন সবার সামনে একটি ভুল করে সেটি স্বীকার না করেন, আপনার আশপাশের মানুষ আপনাকে একজন দুর্বল ও ছোট মনের মানুষ হিসেবে ধরে নেয়। আপনি তাদের চোখে আপনার সম্মান হারিয়ে ফেলেন। এবং আপনাকেও সবাই আর দশজন সাধারন মানুষের মত করেই দেখে। আবার নিজের ভুল লুকোবার পরে যদি সেটা সবার সামনে প্রকাশ হয়ে যায়, তখন লজ্জায় মাটিতে মিশে যাওয়া ছাড়া আর কোনও গতি থাকে না। এখন যদি সেখানে আপনি এমন একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন যে ভুল হলে তা স্বীকার করার সৎসাহস রাখে, তাহলে কিন্তু চিত্রটা পুরোপুরি বদলে যাবে।
সত্যিকার নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন ইতিবাচক মানুষেরা কোনও ভুল করলে তা সাথে সাথে স্বীকার করে তা দ্রুত সংশোধন করার চেষ্টা করেন। কোনও টিমের লিডার যদি এমন মানসিকতার হন, তখন টিমের বাকিরা তাকে অন্যরকম সম্মানের চোখে দেখতে শুরু করে। তাকে অনেক বড় মনের মানুষ হিসেবে ভাবতে শুরু করে। তারা বিনা বাক্যব্যায়ে তাঁর কথা মেনে চলে এবং নিজেরাও তাঁর মতই সৎ হবার চেষ্টা করতে থাকেন।
আপনার মধ্যে যদি নেতৃত্বের এই গুণটি এই মূহুর্তে না থাকে, তাহলে এখন থেকেই প্রাকটিস শুরু করে দিতে পারেন। প্রথমটায় হয়তো ব্যাপারটা খুবই অস্বস্তিকর মনে হবে – কিন্তু একটা সময়ে গিয়ে দেখবেন আপনার এই গুণটিই অন্যদের আপনার কাছে টানছে, আপনাকে সম্মান এনে দিচ্ছে।
০২. “আমি দু:খিত”
এই কথাটি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কথাগুলোর একটি। আপনার হয়তো মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু এই একটি কথা দিয়ে যুদ্ধও থামিয়ে দেয়া যায়। আপনি যখন কোনও কারনে নিজের ভুল স্বীকার করবেন, তার সাথে সাথে যদি বলেন যে আপনি দু:খিত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার ওপর অন্যদের জমা হওয়া বিরক্তি, ক্ষোভ, অনীহা মূহুের্তই উধাও হয়ে যাবে। অনেক বড় বড় ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয় এই একটি কথার মাধ্যমে।
একজন মানুষ যখন অন্যদের কাছে তার কাজের জন্য দু:খ প্রকাশ করে, তখন মানুষের চোখে তার চরিত্রের মহত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রতিটি মানুষই জানে যে এই কথাটি বলা কতটা কঠিন, তাই এই কথা যে বলে তাকে সবাই সম্মানের চোখে দেখে।
এছাড়াও ইতিবাচক মানসিকতার মানুষেরা অন্যের দু:খকষ্টে নিজের সহানুভূতি প্রকাশের জন্য এই শব্দটি বলে থাকেন। আপনার কাছের বা দূরের যে কোনও মানুষ যখন কোনও খারাপ পরিস্থিতিতে পড়ে, আপনি যদি মুখ খুলে তাকে এই কথাটি বলে আপনার সহানুভূতি প্রকাশ করেন, তাহলে দেখবেন, সে একটু হলেও শান্তি পাচ্ছে।
০৩. “তুমি পারবে”
ব্যাঙের গল্পটি আবার শুরু করা যাক। যারা গল্পটি শুনতে চেয়েছিলেন তাদের কাছে আমি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাচ্ছি আপনাদের এতক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে রাখার জন্য।
আগে যেখানে গল্পটি ছেড়ে এসেছিলাম সেখানে পু অন্য ব্যাঙদের কথা শুনে বসে বসে কাঁদছিল, আর ফু ক্রমাগত লাফিয়ে লাফিয়ে উঠতে চেষ্টা করছিল। অন্য ব্যাঙেরা যতই তাকে বলে যে শুধু শুধু চেষ্টা করিসনা, মরার সময়টা শান্তিতে মর, ফু ততই আরও উৎসাহিত হয়ে লাফাতে শুরু করে। লাফাতে লাফাতে গর্তের মাঝ বরাবর ঢালু জায়গায় ফু এর আঘাতের ফলে একটি ছোট গর্তের সৃষ্টি হল। কয়েকবারের চেষ্টায় ফু সেই ছোট গর্তটি ধরে ঝুলে পড়লো এবং সেখানে ভর দিয়ে এক লাফে গর্তের ওপরে উঠে এল।
সব ব্যাঙগুলো অবাক হয়ে তাকে বাহবা দিতে দিতে জিজ্ঞেস করল যে এই গালি আর কটু কথা কি করে তাকে আরও উৎসাহিত করল?
ফু অবাক হয়ে সবার দিকে তাকিয়ে বলল সে তো ভেবেছে সবাই তাকে উৎসাহ দিচ্ছে। সবার উৎসাহেই তো তার মনোবল বেড়ে গিয়েছিল, আর তাই সে চেষ্টা করে গেছে। অন্য ব্যাঙেরা তাকে আর কিছু বলল না। ফু এর সেই গর্ত ধরে পু-ও পরে একটু চেষ্টা করে ওপরে উঠে আসল। তারপর ব্যাঙেরা যে যার যার পথে চলে গেল।
খাপছাড়া মনে হচ্ছে? – আসল ঘটনা হল, ফু আসলে কানে একটু কম শুনত। তার এক হাতের মধ্যে দাঁড়িয়ে কথা না বললে সে ঠিকমত শুনতে পায় না। কাজেই তিন হাত গর্তের নিচে বসে অন্য ব্যাঙদের উত্তেজনা আর চেঁচামেচিতে তার মনে হচ্ছিল যে তারা তাকে উপরে ওঠার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে। আর সেই মনোবলের কারনেই সে দমে না গিয়ে চেষ্টা করে গেছে। তার মাঝে বিশ্বাস তৈরী হয়ে গিয়েছিল যে চেষ্টা করলে সে উঠতে পারবে। আর অন্যদিকে তার সঙ্গী পু যেহেতু অন্য ব্যাঙদের কথা ঠিকমতই শুনতে পেয়েছিল, তার মনের সব আশা নিভে গিয়েছিল, এবং বসে বসে মৃত্যুর অপেক্ষা করাটাই সে ভাল মনে করেছিল।
মোরাল অব দি স্টোরি?
এই গল্প থেকে আমরা আসলে দু’টি শিক্ষা পাই। প্রথম শিক্ষা হল, আপনার কথায় একজনের জীবন ভাল ও খারাপ – দুই দিকেই যেতে পারে। খারাপ অবস্থায় আপনি একজন মানুষকে সাহস দিয়ে উৎসাহিত করতে পারেন। আবার সেই অবস্থায় হতাশার কথা বলে তার মনবলকে ভেঙেও দিতে পারেন।
আর দ্বিতীয় শিক্ষা হল, যদি কেউ আপনাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে, অথবা আপনার খারাপ অবস্থায় হতাশামূলক ও নেতিবাচক কথা বলে আপনার মনোবল ও সাহসকে দুর্বল করতে চায় – আপনিও ফু-এর মত কানে কম শুনতে শুরু করুন। অন্যের বাজে কথা শোনার চেয়ে নিজের ভেতর থেকে আসা ভাল কথাগুলোর দিকে মনযোগ দিন। যেসব মানুষ সব সময়ে হতাশার কথা বলে, তারা নিজেরাই আসলে হতাশ ধরনের মানুষ। তারা সবকিছুর মধ্যে কিছু না কিছু নেগেটিভ খুঁজে বের করবেই। এদের সামনে কানে কম শোনার ভান করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
এখন আপনি যদি এমন একজন মানুষ হন যে কিনা সব সময়ে অন্যদের উৎসাহ দেয়। কোনও পরিচিত মানুষ যখনই কোনও কঠিন কাজ করতে যায়, আপনি সব সময়েই বলেন যে “তুমি এটা করতে পারবে” – তখন সেই মানুষটি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। পৃথিবীতে খুব বেশি মানুষ নেই যারা নিজের ভেতর থেকে উৎসাহ আর আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায়। তাদের সব সময়েই বাইরে থেকে কারও না কারও উৎসাহের প্রয়োজন পড়ে। আপনি নিজে যখন সেই মানুষের ভূমিকা নেবেন, তখন সবাই আপনাকে সম্মান করতে শুরু করবে। তাদের অজান্তেই আপনাকে তারা নেতা হিসেবে মেনে নেবে।
একজন সত্যিকার নেতা সব সময়ে তাঁর দলের লোকজনকে ইতিবাচক কথার মাধ্যমে উৎসাহিত করে। আর এই কারনেই তার ভেতরে থাকা আত্মবিশ্বাস পুরো টিমকে প্রভাবিত করে, এবং কাজের গতি ও মান অনেক বাড়িয়ে দেয়।
নিজের আত্মবিশ্বাস পুরো টিমের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াটাই কিন্তু একজন সত্যিকার নেতার মূল কাজ।
এমনকি বাবা-মা’দেরও উচিৎ বারবার তাঁদের সন্তানদের বলা যে তারা চেষ্টা করলে যে কোনও কিছুই করতে পারবে। একবার রেজাল্ট খারাপ হলে তাকে অপমান আর রাগারাগি না করে যদি বুঝিয়ে বলা যায় যে ঠিকমত পড়াশুনা করলে যে কেউ ভাল রেজাল্ট করতে পারবে – তাহলে কিন্ত ছেলেমেয়েরা পড়াশুনায় আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। – এই কথাটি হয়তো প্রসঙ্গ থেকে একটু বের হয়ে এসে বলা হল। কিন্তু আপনি নিজেকে এমন একজন বাবা/মা হিসেবে ভাবুন না, যে সন্তানের জীবনকে নেতৃত্ব দিয়ে তাকে একটি ভাল অবস্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
সব সময়ে অন্যকে বোঝান যে তার ওপর আপনার ভরসা আছে। একজন মানুষকে যখন আপনি বলেন যে “আমি জানি তুমি পারবে” – এর মানে হচ্ছে তার ওপরে আপনার ভরসা আছে। একজন মানুষ যখন বোঝে যে তার ওপরে কেউ ভরসা করছে, তখন তার মাঝে একটি দায়িত্ববোধ জন্ম নেয় – যার ফলে সে আরও আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করে।
০৪. “আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত”
ধরুন আপনি একজন টিম লিডার, অথবা একজন ভাল বন্ধু, একজন বাবা/মা। আপনার উৎসাহে একজন খুব ভাল কিছু করে ফেলল। তখন যদি আপনি তাকে কাছে ডেকে বা তার কাছে গিয়ে পিঠ চাপড়ে বলেন যে তার জন্য আপনি গর্বিত। আপনি হয়তো ভাবতেও পারবেন না যে এই ছোট্ট কথাটি একজন মানুষের ওপর কি পরিমান ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিটি মানুষই চায়, সে যখন কোনও ভালকিছু করবে, কেউ না কেউ সেই কাজের জন্য তাকে বাহবা দেবে। তার অবদানের কথা স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা জানাবে। কেউ একটি ভাল কাজ করার পর যদি তাকে বলা হয় যে তার কাজের জন্য কেউ একজন গর্বিত – তাহলে সেটা তার জন্য এক অন্যরকম পাওয়া হয়।
বিশেষ করে যাদের নিজের ক্ষমতার ওপর সন্দেহ আছে, তারা এইধরনের কথায় দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত হয়। আর যিনি তাকে এই কথা বলেন তাঁর প্রতি মনে মনে একটা কৃতজ্ঞতাবোধ সৃষ্টি হয়।
পরিশিষ্ট:
শুধুমাত্র কয়েকটি কথা আপনার আশপাশের মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে। নিজের প্রতি, জগতের প্রতি তাদের ধারনা বদলে দিতে পারে। আপনি চাইলেই শুধুমাত্র মুখের কথা দিয়ে অন্য একজন মানুষের এতট উপকার করতে পারেন, যা অনেক সময়ে অনেক অর্থ আর সুবিধা খরচ করেও করা যায় না। অন্যের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সাথে সাথে এই কথাগুলো বলতে থাকলে আপনার প্রতি অন্যের শ্রদ্ধাও বেড়ে যাবে। নিজেদের অজান্তেই তারা আপনাকে নেতৃত্বের জায়গায় বসাবে। কাজেই পরীক্ষামূলক ভাবে হলেও এই কথাগুলো বলার চর্চা শুরু করুন। আমরা বলছি বলেই আপনাকে বলতে হবে এমন নয়। বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করে ফলাফল দেখলে আমাদের বিশ্বাস আপনি নিজেই এই কথাগুলো বেশি বেশি বলতে শুরু করবেন।
লেখাটির সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্ট করে জানান। আপনার প্রতিটি মতামতই আমাদের উন্নতির পথে কাজে লাগবে। কোন ধরনের লেখা আপনারা লড়াকুতে আশা করেন, তা-ও আমাদের জানান। আপনার যদি মনে হয় এই লেখাটি অন্তত একজন মানুষেরও কাজে আসতে পারে – তবে তার সাথে লেখাটি শেয়ার করুন। সাফল্যের পথে লড়াকু সব সময়ে আপনার সাথে আছে।