জীবনে বড় কিছু অর্জন করতে পরিকল্পনার গুরুত্ব কতটা?


আপনি হয়তো এমন মানুষের গল্প শুনেছেন, বা নিজের চোখেই দেখেছেন, যে লটারী জিতে গরীব থেকে রাতারাতি বড়লোক হয়ে গেছে। কিন্তু সেই লটারী জেতা সৌভাগ্য কয়জন ধরে রাখতে পেরেছে জানেন কি? – ৩০% এরও কম!

কারণ? – পরিকল্পনা ছাড়া কোনও সৌভাগ্যই ধরে রাখা যায় না। আর নিজের চেষ্টায় সৌভাগ্য পেতে চাইলে পরিকল্পনার গুরুত্ব ৫০% এরও বেশি। লটারীর কথা যখন উঠল, চলুন কয়েকজন লটারী বিজয়ীর গল্প শুনে আসি।

লিসা আরচার্ড:

২০০৪ সালে আমেরিকান এই নারী ১ মিলিয়ন ডলার জেতেন। বাংলাদেশী টাকার হিসেবে ৮ কোটি টাকার বেশি।

লিসা লটারী জিতেই একটি দামী বাড়ি কেনেন। তারপর বের হয়ে যান ট্যুরে। টাকা খরচ করতে করতে যখন বেশ খানিকটা কমে আসে, তখন তিনি একটি রেস্টুরেন্ট খোলেন। কিন্তু ব্যবসার দিকে খুব একটা নজর তার ছিল না। তিনি আগের মতই ভোগ বিলাসে ব্যস্ত ছিলেন। টাকা খরচ করতে করতে এক সময়ে তা ফুরিয়ে যায়। রেস্টুরেন্টের অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে সেখানে বিনিয়োগ করার মত টাকাও তার হাতে ছিল না। ২০০৭ সালের মধ্যেই তিনি আবার সব হারিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে যান।

Related image

মিচেল ক্যারল:

২০০২ সালে গারবেজ ম্যান মিচেল যখন ১৪ মিলিয়ন ডলারের লটারী জেতেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। বাংলাদেশী টাকায় যা ১২০০ কোটি টাকার বেশি! লিসার মত তিনিও টাকা পাওয়ার সাথে সাথে একটি বিশাল বাড়ি কেনেন। এরপর ড্রাগ আর দামী দামী সৌখিন জিনিসের পেছনেই তিনি এই বিপুল পরিমান অর্থ শেষ করে ফেলেন। বর্তমানে তিনি একটি কসাইখানায় কাজ করেন, সপ্তাহে ৫০০ ডলারের মত আয় হয়। এবং এই টাকার ওপরই এখন তাঁকে নির্ভর করতে হয়।

জেরাল্ড মাসওয়াগন:

১৯৯৮ সালে তিনি ১ কোটি ডলারের লটারী জেতেন। ইনিও প্রথমে বিশাল একটি বাড়ি কেনেন, এরপর নিজের ও পরিবারের সবার জন্য তো বটেই – বন্ধুদেরও গাড়ি কিনে দেন। তাঁর বাড়িতে নিয়মিত পার্টি জমত। এত টাকা থেকে একটি টাকাও কোথাও বিনিয়োগ করার কথা তাঁর মাথায় আসেনি। এমনকি তিনি ব্যাংকেও কিছু টাকা স্থায়ী ভাবে রাখার প্রয়োজন বোধ করেননি। এভাবে একটা সময়ে তার সব টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর তিনি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হন, নিজের ছয় সন্তান ও প্রেমিকার খরচ চালানোর জন্য। ২০০৫ সালে, লটারী জেতার মাত্র সাত বছরের মাথায় তিনি আত্মহত্যা করেন।

ইভলিন এ্যাডামস:

এমনটা ইতিহাসে খুব কমই ঘটেছে। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ইভলিন পর পর দু’টি লটারী জেতেন যার মোট অঙ্ক ছিল ৫.৪ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী টাকায় ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। লটারী জেতার পরপরই তিনি খরচের উ‌ৎসবে নেমে পড়েন। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের মানুষদের তিনি ইচ্ছেমত উপহার দিতেন। সেইসাথে জুয়ার নেশাও তাকে পেয়ে বসেছিল। পাঁচ বছর যেতে না যেতেই তিনি তার সব টাকা খুইয়ে বসেন।


এ তো শুনলেন কিছু ব্যর্থতার গল্প। এমন গল্প ইন্টারনেটে খুঁজলেই ভুরি ভুরি পাবেন। এবং এই লেখার জন্য রিসার্চ করতে গিয়ে আমাদের এসব গল্প খুঁজে পেতে মোটেও কষ্ট হয়নি। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা প্রায় ৫০টির মত ব্যর্থ লটারী বিজয়ীর গল্প খুঁজে পেয়েছি।

কিন্তু যখনই আমরা এমন লটারী বিজয়ী খুঁজতে গেলাম, যারা তাদের সৌভাগ্যকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পেরেছেন, এবং সেই সৌভাগ্যকে অনেক গুণে বাড়িয়ে নিয়েছেন – তখনই বিপত্তি ঘটল।

প্রায় ঘন্টাখানেক পরিশ্রমের পর আমরা অল্পকিছু সফল লটারী বিজয়ীর তথ্য পেয়েছি। তবে এদের মধ্যে কয়েকজন আবার সফল ভাবে লটারী জিতেছেন বলে এই তালিকায় এসেছেন। যেমন এক অঙ্কের প্রফেসর লটারীর প্যাটার্ণ হিসেব করে কোন নম্বর জিতবে, তা বেশ কয়েকবার বের করে ফেলে লটারী জিতেছেন। লটারী জেতার পর সফল হয়েছেন – এমন মানুষের সংখ্যা আসলেই কম। চলুন তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনের কথা জানা যাক।

ইয়ানসি হিক্‌স:

লটারী জেতার আগে এই আফ্রিকান আমেরিকান ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করতেন। ২০০৮ সালে তিনি ১ মিলিয়ন ডলারের লটারী জেতেন। কিন্তু সেই টাকা উড়িয়ে না দিয়ে তিনি তাঁর ফুডচেইনে কাজ করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কি করে ব্যবসা করা যায় ভাবতে লাগলেন। এবং এক পর্যায়ে একটি জনপ্রিয় লোকাল ফুডশপ কিনে ফেললেন। তাঁর ব্যবসার অবস্থা এখন বেশ জমজমাট।

জেসন ফ্রাই:

২০০৭ সালে ১৩ মিলিয়ন ডলার জেতার পর ফ্রাই বেশ কিছুদিন বিলাসী জীবন কাটান। নতুন গাড়ি, বাড়ি ইত্যাদি কেনেন, এবং বিনোদনের পেছনে যথেষ্ঠ খরচ করেন।
কিন্তু একটা পর্যায়ে তাঁর হুঁশ ফেরে। তিনি একটি গল্ফ রেঞ্জে বিনিয়োগ করেন – যা থেকে বর্তমানে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ডলার।
এর বাইরে তিনি ইলেকট্রনিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। যা থেকে তাঁর বছরে ১ মিলিয়ন ডলার আয় হয়।

ব্রাড ডুক:

ডুক ২০০৫ সালে ৮৫ মিলিয়ন ডলার জেতার পর বলেছিলেন তিনি এই টাকাকে ১ বিলিয়ন ডলারে পরিনত করতে চান।

এরপর তিনি একাধিক কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেন। বিলিয়ন ডলারের পথে তাঁর যাত্রা এখনও চলছে। এবং ভালোভাবেই চলছে। Kiplinger ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষা‌ৎকারে তিনি বলেছিলেন “আমি আমার ভবিষ্য‌ৎ প্রজন্মকে তিনটি জিনিস দিয়ে যেতে চাই: শিক্ষা, আমার কোম্পানীতে চাকরি (যদি তারা চায়), তাদের নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য যথেষ্ঠ আর্থিক সামর্থ্য”।

brad duke lottery winner success


এই যে দুই ধরনের লটারী বিজয়ীর কথা আপনি পড়লেন – এদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কোথায় বলে আপনি মনে করেন?

এক দল টাকা পাওয়ার সাথে সাথে খরচের উ‌ৎসবে মেতে উঠেছে। আরেকদল টাকা পাওয়ার সাথে সাথে বা কিছুটা পরে বুঝতে পেরেছে – এই টাকা দিয়ে কিছু একটা করতে না পারলে এই সৌভাগ্য বেশিদিন ধরে রাখা যাবে না।

যারা সফল হয়েছেন, তাদের মধ্যে দু’টো কমন জিনিস দেখা যায় – এক, লক্ষ্য; দুই. পরিকল্পনা।
টাকা পাওয়ার পর তাঁরা লক্ষ্য ঠিক করেছেন, তাঁরা এই টাকাকে কোথায় কিভাবে কাজে লাগাবেন, এবং সেই কাজ করার জন্য একটি পরিকল্পনা করেছেন। জেসন ফ্রাই টাকা ওড়ানোর একটা পর্যায়ে বুঝতে পেরেছিলেন এভাবে টাকা ওড়াতে থাকলে একটা সময়ে ফতুর হয়ে যাবেন। তাঁকে এমন কিছু করতে হবে যাতে সারাজীবন ধরে এই টাকা থেকে তিনি লাভ পান, সেই কারণে তিনি বেশ কয়েকটি লাভজনক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন, এবং এখন বছরে মিলিয়ন ডলারের ওপরে আয় করছেন।
এই যে সাফল্য ও ব্যর্থতার ব্যাপার – এটা শুধু লটারী বিজেতাদের মধ্যেই দেখা যায় না। প্রতিটি ক্ষেত্রের সফল আর ব্যর্থ মানুষদের নিয়ে গবেষণা করলে একটি ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে ওঠে – সফল মানুষেরা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে কাজ করেন।

জীবনের যে ক্ষেত্রেই আপনি বড় কিছু অর্জন করতে চান না কেন, লক্ষ্য ও পরিকল্পনা ছাড়া কোনওভাবেই তা সম্ভব নয়। এমনকি হঠা‌ৎ যদি কোনও অভাবনীয় সাফল্য হাতের মুঠোয় চলে আসে, তা ধরে রাখতেও পরিকল্পনা জরুরী। যে কোনও কাজে আপনি কেমন সাফল্য চান, এবং কিভাবে তা অর্জন করতে চান – তার একটা পরিস্কার ছবি আপনার মনে থাকতে হবে। গন্তব্য না থাকলে, সেখানে পৌঁছানো যায় না।

লক্ষ্য ও পরিকল্পনা:

জীবনে কোনওকিছু অর্জন করতে হলে লক্ষ্য ঠিক করার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু সমস্যা হল, অনেক মানুষ শুধু লক্ষ্য ঠিক করে বসে থাকে। কিন্তু সেই লক্ষ্যে কিভাবে পৌঁছতে হবে, তার কোনও পথ তাদের জানা থাকে না।

অনেকেই ভাবে লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য কঠোর পরিশ্রমই সবচেয়ে ভালো উপায়। হ্যাঁ – কথাটা দিনের আলোর মত সত্যি। পরিশ্রম ছাড়া সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। কিন্ত সেই পরিশ্রম করতে হবে সঠিক পন্থায়। কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া পরিশ্রম করে গেলে লাভের লাভ কিছুই হবে না, পরিশ্রমটাই বৃথা যাবে।

aim and plan, পরিকল্পনার গুরুত্ব

পরিকল্পনা না থাকলে আপনি লক্ষ্য অর্জনের জন্য কোন পথে এগুবেন তার কোনও সঠিক রোডম্যাপ আপনার হাতে থাকবে না।

লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা করলে, যে কোনও বড় লক্ষ্যকে আপনি ছোট ছোট লক্ষ্যে ভাগ করতে পারবেন – এবং কোনও ভুল হলে সহজেই সেই ভুল ধরতে পারবেন। এবং সেগুলো শুধরে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন। অনেক প্রতিভাবান মানুষ তাঁদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেননি শুধু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে। আপনার লক্ষ্যের সাথে যখন একটি পরিকল্পনা যোগ হবে, তখন কখন কোন অবস্থায় কি করবেন, তা আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে দেখা দেবে।

কোনও অসাধারণ অর্জনই আসলে এ্যাকসিডেন্ট নয়। এর পেছনে থাকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য, পরিকল্পনা ও পরিশ্রম।

অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দেয়া:

যে কোনও লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আপনাকে নানান ধরনের কাজ করতে হবে। আপনি যদি একজন বড় ব্যবসায়ী হতে চান, তবে আপনাকে পন্য নির্বাচন, বিনিয়োগ, পন্য তৈরী, মার্কেটিং, বিক্রী, আয়-ব্যয়ের হিসাব – ইত্যাদি নানান ধরনের জরুরী কাজ করতে হবে।

কিন্তু এসব কাজের মাঝে অনেক কাজ চলে আসে যেগুলো না করলেও চলে। এগুলো বাদ দিতে পারলে জটিলতা যেমন কমে, তেমনি প্রচুর সময় বেঁচে যায় – যা আপনি সত্যিকার কাজে লাগাতে পারেন।

লক্ষ্য অর্জনের জন্য কোন কাজগুলি করা জরুরী এবং কোন কাজগুলি বাদ দিতে হবে – তার ব্যাপারে ধারনা থাকাটা খুব জরুরী।

এবং এটা ভালমত বোঝার জন্য আপনাকে অবশ্যই কাজে নামার আগে পরিকল্পনা নিয়ে বসতে হবে।
আপনি যখন আপনার লক্ষ্য অর্জনের ছক কেটে তার সামনে বসবেন – তখন দরকারী ও অদরকারী বিষয়গুলো আপনার সামনে স্পষ্ট হয়ে ধরা দেবে। পরিকল্পনার ছক যদি আপনার সামনে না থাকে, তবে সব কাজই আপনার কাছে জরুরী মনে হবে। এবং এতে আপনার শ্রম, মেধা, সময় – সবই নষ্ট হবে।

কাজেই ছোট, বড় যে কাজই করুন না কেন, একটি পরিকল্পনার ছক সাজিয়ে নিয়ে তারপর কাজে নামুন। তখন দেখবেন অনেক কঠিন কাজও আপনার কাছে সহজ মনে হচ্ছে।

ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে সমতা:

দিন শেষে আমরা সব কাজই করি নিজেদের সুখ শান্তির জন্য। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কাজের ব্যস্ততার কারনে আপনজনদের সময় দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি নিজের জন্যও অনেকে সময় পান না।

এই অতি ব্যস্ততা কিন্তু আপনার মানসিক শান্তির জন্য খারাপ। এতে করে অনেক সময়েই আপনি আপনজনদের থেকে দূরে সরে যেতে পারেন। তার সাথে নিজের মানসিকতাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অনেকেই বলেন, তাঁরা চাইলেও নিজের ও পরিবারের জন্য সময় বের করতে পারেন না। কিন্তু আসলেই কি কথাটি সত্যি? সপ্তাহে একদিন, বা দিনে এক-আধ ঘন্টা সময় কি আসলেই বের করা সম্ভব নয়?

Image result for keep the balance between professional and personal life

পৃথিবীর বড় বড় সফল মানুষেরা কিন্তু তাঁদের কর্মজীবনে যেমন সফল, তেমনি তাঁরা পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনেও সুখী।

“Smarter Faster Better” বইয়ের লেখক, চার্লস ডুহিগ বহু সফল মানুষের জীবনের ওপর গবেষণা করে দেখেছেন, তাঁরা তাঁদের প্রতিদিনের কাজই পরিকল্পনা মাফিক করেন। একটি কাজের সাথে অন্য একটি কাজকে কখনওই গুলিয়ে ফেলেন না।

তাঁরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজের পেছনে কতটা সময় দেবেন, এবং ব্যক্তিগত জীবনে কতটা সময় দেবেন – তার একটি ছক সাজিয়ে রাখেন। সেই কারণে তাঁদের কর্ম জীবনের মত ব্যক্তিগত জীবনও দারুন হয়।

আপনি যখন দুই জীবনের মাঝে সমতা রাখতে ব্যর্থ হবেন, তখন তার বিরূপ প্রভাব দুই জায়গাতেই পড়বে। কাজেই এখানেও আপনাকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রাখতে হবে।

আমাজনের মালিক ও পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জেফ বিজোস একবার বলেছিলেন – “আমি যদি অফিসে ভালো সময় কাটাই, তবে একজন ভালো স্বামী, ভালো বাবা হিসেবে ঘরে ফিরি। আবার যখন ঘর থেকে ভালো মন নিয়ে অফিসে যাই, তখন আমি একজন ভালো বস, একজন ভালো সহকর্মী হয়ে উঠি”।

জীবনে সুখী হতে, ও নিজের কাজ ঠিকমত করতে চাইলে, আপনাকে কর্মজীবন ও পারিবারিক জীবনে একটি সমতা অবশ্যই ধরে রাখতে হবে, এবং পরিকল্পনা ছাড়া সেটা সম্ভব নয়।

পরিশিষ্ট:

কথায় বলে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। কথাটি সত্য হলেও, পুরোপুরি নয়। পৃথিবীর সফল মানুষেরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছেন “পরিকল্পিত পরিশ্রমই সৌভাগ্যের চাবিকাঠি”। সফল মানুষদের পুরোটা দিনই পরিকল্পনার ছকে বাঁধা থাকে। সকালে তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন। বিছানায়ও যান ঘড়ি ধরে। তাঁদের খাদ্যাভ্যাস, চলাফেরা, কাজ – সবই চলে ঘড়ি ধরে ও নিয়ম মেনে।
সফল হতে চাইলে আপনাকেও নিজের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরী করতে হবে। এবং এই পরিকল্পনা যখন “perfect” হয়ে উঠবে, তখন তাকে নিয়ম বানিয়ে ফেলতে হবে।

কাজ বা লক্ষ্য যত ছোট হোক বা বড় হোক, একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রাখুন। দেখবেন আপনার সামনে চলার পথ কতটা সহজ হয়ে গেছে। জীবনে বড় কিছু অর্জন তখন শুধুই সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।


লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যে কোনও মতামতই আমাদের জন্য অমূল্য পাথেয়। যদি মনে হয় লেখাটি অন্যদের কাজে আসবে, তবে শেয়ার করার মাধ্যমে তাদের দেখার সুযোগ করে দিন। আমাদের সাথে থাকুন। আপনার সাফল্যেই আমাদের সার্থকতা।

পোস্টটি শেয়ার করুন !