লেখাটি প্রসঙ্গে এক নজরে:
সাফল্যের পথ কিভাবে পাড়ি দিতে হয়, তা সফলদের থেকে আর কে ভাল জানে? এমনই ১২টি অমূল্য পরামর্শ দিয়ে সাজানো হয়েছে এই লেখাটি।
বিশ্বের সবচেয়ে সফল ১২জন মানুষ যেমন মার্ক জুকারবার্গ, বিল গেটস, জ্যাক মা -তাঁদের সাফল্যের পেছনের অনুপ্রেরণার কথা তুলে ধরেছেন বিভিন্ন সময়ে। এই লেখায় সেইসব অনুপ্রেরণা আর পরামর্শের কথা থাকছে। আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরা সাফল্য অর্জনকারী মানুষদের কথা তুলে আনতে। আপনিই দেখে নিন কোনটি আপনার সাথে সবচেয়ে ভাল মানিয়ে যায়।
সত্যি কথা বলতে সবাই আসলে সফল হতে চায় না। যদিও সবারই নিজের প্রতি ধারণা তারা জীবনে সফল হতে চায়, কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা মুখে বলেই সার – তাদের জীবনে সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন দেখা যায় না।– এখানে সেইসব মানুষের কথাই বলছি। তারা মুখে বলে তারা সফল হতে চায় কিন্তু নিজেরাই জানে না আসলে কোন ক্ষেত্রে তারা সাফল্য চায়। অথবা সেটা জেনে মনে মনে সফল হওয়ার ইচ্ছা পুষলেও সেই ইচ্ছা বা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য যে কাজ করা দরকার তা তারা করেন না। কারণ? কারণ একটাই, তারা তাদের অনুপ্রেরণার জায়গায় দুর্বল।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা প্রত্যেক নতুন বছরের শুরুতেই সবকিছু নতুন ভাবে শুরু করার প্রতিজ্ঞা করেন। সপ্তাহখানেক ধরে সেই প্রতিজ্ঞার প্রতি নিবেদিতও থাকেন। কিন্তু তারপর সব আবার আগের মত হয়ে যায়। এখানেই সফল মানুষদের সাথে বাকিদের পার্থক্য।
তাঁরা তাঁদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বাসগুলো একদিন বা এক সপ্তাহের জন্য ধরে রাখেন না, অথবা শুধু বছরের শুরুতেই কোনওকিছু করার শপথ করেন না। তাঁরা সারাজীবন ধরেই প্রেরণার জায়গায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন। তাঁদের কাছে অনুপ্রেরণা একটা সারাজীবনের ব্যাপার। বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, ইলন মাস্ক – সবার ক্ষেত্রেই এই একই ব্যাপার ঘটেছে। কিন্তু কিভাবে তাঁরা তাঁদের অনুপ্রেরণা ও তার পেছনের বিশ্বাসকে এতটা দীর্ঘ সময় ধরে একইভাবে ধরে রেখেছেন? কিভাবে সেই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন? আপনাকে সেটা জানানোর জন্যেই এই লেখা।ওপরে উল্লেখ করা তিনজন সহ ১২ জন শ্রেষ্ঠ সফল ব্যক্তিদের ১২টি টিপস আমরা আপনার জন্য সাজিয়েছি যাতে করে আপনিও আপনার অনুপ্রেরণা আর আত্মবিশ্বাসকে ধরে রাখতে পারেন সারাজীবনের জন্য।
তো চলুন দেখে নেয়া যাক এই ১২জন সফল মানুষের দেয়া ১২টি টিপস।
০১. যাই হোকনা কেন, আপনি থামবেন না (ইলন মাস্ক)
আজকের প্রযুক্তির জগতে ও প্রযুক্তি জগতের বাইরে ইলন মাস্কের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পে-পালের উদ্ভাবক, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পেটেন্টধারী টেক জায়ান্ট টেসলার মালিক, জিনিয়াস – তাঁর বিশেষণের শেষ নেই। ইলন মাস্ক নিজেই একটি অনুপ্রেরণার নাম। কিন্তু আপনি কি জানেন এতবড় সাফল্যের পরও তাঁর ব্যবসা ও ব্যক্তিগত জীবনে কতবড় ধ্বস নেমেছিল? কতটা লড়াই করে তাঁকে ঘুরে দাঁড়াতে হয়েছিল? অথবা কি কারণে অতবড় ধ্বসের পরও তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিলেন?
খুলেই বলা যাক: ২০০৮ সালে এই জিনিয়াস ও ধনকুবের ব্যবসায়ী প্রায় নিজের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। তাঁর স্পেস এক্স প্রোগ্রামের জন্য পর্যাপ্ত ফান্ড ফুরিয়ে যাওয়ার অবস্থা হওয়ায় Falcon 1 রকেট প্রোগ্রাম শুরুর পথেই বন্ধ হতে বসেছিল, সেই সাথে টেসলা কোম্পানীরও বন্ধ হওয়ার হওয়ার দশা হয়েছিল। মাস্ক নিজের ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে তাঁর কোম্পানীকে রক্ষা করার জন্য টাকা ঢালেন। সেই সময়েই তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছিল, আমেরিকায় বিবাহ বিচ্ছেদ মানে একজন পুরুষের সম্পদের বিরাট অংশ বিদায়ী স্ত্রীর হাতে চলে যাওয়া। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে ব্যক্তিগত খরচ চালানোর জন্য তাঁকে ধার করতে হয়েছিল!
এমন একটি অবস্থায় বেশিরভাগ মানুষই হাল ছেড়ে দিত। সবকিছু বাদ দিয়ে হতাশায় ডুবে যেত। এমন অবস্থায় মানুষের আত্মহত্যা করারও নজির আছে। কিন্তু মাস্ক অন্য ধাতুতে গড়া। তিনি হাল তো ছাড়লেনই না, বরং আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। যার ফলে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি আগের অবস্থান ফিরে পেরেছিলেন।
মাস্কের একটি গুন এই গল্পকে একটি শুভ পরিনতিতে নিয়ে গিয়েছিল, আর তা হল – যত বাধাই আসুক না কেন হাল ছেড়ে না দেয়া। আমাদের সবারই জীবনে এমন একটা সময় আসে, যখন সকল স্রোত আমাদের বিপরীতে চলে যায়। সেই বিপরীমুখী স্রোত ঠেলে সামনে এগিয়ে যাবার মানসিক দৃঢ়তা যাদের থাকে, তারাই শেষ পর্যন্ত সকল বাধা পার করে সফল হয়। “যাই ঘটুক না কেন আমি পারব” – এই বিশ্বাস আর অনুপ্রেরণাই আপনাকে আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে।
০২. আপনার পরিশ্রমী স্বভাবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন (মেলোডি হবসন)
যদিও আমরা এরিয়েল ইনভেস্টমেন্টের প্রেসিডেন্ট মেলোডি হবসনের কথা বলব, তার আগে “How to get people to do stuff” এর রচয়িতা ও Weinschenk Institute এর প্রতিষ্ঠাতা সুসান উইন্সহেঙ্ক এর একটি উক্তি শোনা যাক “সম্ভবত জীবনের সবচেয়ে জরুরী বিষয়টা হল আমাদের জীবনের একটি উদ্দেশ্য আছে এই কথাটি উপলব্ধি করা”
মেলোডি হবসন অর্থের পেছনে ছুটে তাঁর আজকের পর্যায়ে আসেননি। তিনি তাঁর কাজ করে গেছেন এবং তাঁর কাজ করার ক্ষমতার জন্য তিনি নিজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁর ভাষ্যমতে “মানুষ আমার কাজের পরিমান দেখে বলে যে আমি অতি পরিশ্রম করি, কিন্তু আমার কাছে এটা মোটেই সেরকম কিছু নয়। আমি আমার কাজ (শুরু করলে) শেষ করি। আমি খুবই গোছানো একজন মানুষ, আর এসবকিছুই একটি জিনিসেরই বিভিন্ন অংশ। ”
তাঁর আরেকটি প্রচলিত উক্তি “আমি (আমার ব্যাপারে) একটি কথাই জানতাম, আমি সবার থেকে বেশি পরিমানে কাজ করতে পারব।” হবসনের এই উচ্চাকাঙ্খা এবং কাজের প্রতি নিবেদনের জন্ম হয়েছিল তাঁর শিশু বয়সেই – যা ছিল কাঠিন্য ও দারিদ্রতায় পূর্ন। এই সংগ্রামের অভ্যাস তাঁকে সাহায্য করেছিল যখন তিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন শুরু করেন, এবং এরিয়েল ইনভেস্টমেন্টের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভের সদস্য হন। বর্তমানে তিনি সেই কোম্পানীর শীর্ষ কর্মকর্তা হয়ে তাঁর সাধ্যমত সংখ্যালঘু ও নারীদের সাফল্যের পথে সাহায্য করে চলেছেন।
আপনি হয়তো ভাবছেন এর মধ্যে প্রথম উক্তিটির তেমন কোনও ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। যদি আপনি সেটা ভেবে থাকেন – তবে আপনাকে অনুরোধ করব আরেকটু গভীরে গিয়ে চিন্তা করুন। মেলোডি কখনওই বলেননি ও তাঁর কাজে কর্মে কখনওই প্রকাশ পায়নি যে তিনি শুধুমাত্র অর্থের জন্য কাজ করেছেন। তিনি কাজ করতে ভালবাসেন। তাঁর জীবণের উদ্দেশ্য হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন যত বেশি সম্ভব তাঁকে কাজ করে যেতে হবে। কাজের প্রতি এই আগ্রহই তাঁকে এতদূর নিয়ে এসেছে। জীবনে সফল হওয়ার জন্য আসলে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলাফল কি হবে না ভেবে কাজকে ভালবাসুন, কাজকে ভালবেসে এগিয়ে যান। সাফল্য নিজ থেকেই ধরা দেবে।
০৩. অন্যদের অনুপ্রাণিত করুন (শেরিল স্যান্ডবার্গ)
আপনার নিজের সাফল্যের পালে হাওয়া লাগাতে অন্যদের সাহায্য করাটা বড় অবদান রাখতে পারে। অন্যকে উৎসাহিত করার মধ্য দিয়ে আপনি প্রতিনিয়ত নিজেকেও উৎসাহের কথা শোনাবেন যা আপনাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা যোগাবে। অন্যদের পরামর্শ দেয়ার মধ্য দিয়ে আপনার নিজের সমস্যার ক্ষেত্রেও নতুন নতুন সমাধানের খোঁজ পাবেন।
এর সবচেয়ে বড় উদাহরন হতে পারেন ফেসবুকের চিফ অপারেশনাল অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ। যদিও তাঁর বর্তমান দেখে কোনওভাবেই মনে হবে না যে তাঁর কোনও ধরনের অনুপ্রেরণার প্রয়োজন আছে। তবুও তিনি প্রতিনিয়ত অন্যদের অনুপ্রানিত করার মধ্য দিয়ে নিজের উৎসাহকে ঝালাই করে নেন। তিনি তাঁর উৎসাহমূলক বক্তৃতা ও লেখনীর মাধ্যমে নিজেকে একজন সামাজিক আইকনে পরিনত করেছেন। বহু মানুষ তাঁর অনুপ্রেরণামূলক কথা ও কাজে উৎসাহিত হয়ে সাফল্যের পথে হাঁটছেন। তিনি অন্যদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে তাঁর এই অনুপ্রেরণামূলক কাজে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় যোগ করে যাচ্ছেন।
তাঁর অনুপ্রেরণামূলক বই “Lean in” এর নতুন সংস্করণে তিনি ব্যক্তিকেন্দ্রিক সাফল্য (নিজেকে সমর্থন করুন) থেকে পরিবর্তিত হয়ে গণকেন্দ্রিক (Collective) (অন্যদের সমর্থন করুন, যেমনটি আপনি নিজের জন্য করেন) সাফল্যের ওপর আলোকপাত করেছেন।
আপনি যদি শেরিলের মত সাফল্য চান, তবে নিজের পাশাপাশি অন্যদেরও সাফল্যের পথে যতটা পারা যায় সহায়তা করুন। দিন শেষে আপনারই সাফল্যের পাল্লা ভারী হবে।
০৪. বাধাগুলোকে সুযোগ হিসেবে দেখুন (জ্যাক মা)
আলিবাবা ডট কমের নাম কে শোনেনি? আপনি যেহেতু ইন্টারনেটের সামনে বসে আছেন – ধরে নিচ্ছি আপনি শুনেছেন, দু’একবার অথবা তারও বেশি সাইটটিতে ঢুঁ-ও মেরেছেন হয়তো। আর যদি না শুনে থাকেন তবে বলব আপনি আজই প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়ে আলিবাবা ডট কমের সাথে পরিচিত না থাকাটা কিছুটা লজ্জার ব্যাপারই!
হ্যাঁ আলিবাবা ডট কম এমনই একটি নাম। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও বিখ্যাত অনলাইন স্টোর। আর উপরের দর্শনটি এই আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা’র। বলা যায় তিনি এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন শুধুমাত্র বাধাগুলোকে সুযোগ হিসেবে দেখে ও সেই অনুযায়ী কাজ করে।
তাঁর বর্তমান সম্পদের পরিমান প্রায় ৪২০ কোটি মার্কিন ডলার। বর্তমানে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী মানুষ জ্যাক মা’র নিজের কথায় “সুযোগ আসলে সবসময়ে সমস্যার ভেতরেই লুকিয়ে থাকে”।
একটি দরিদ্র চীনা পরিবারের তিন সন্তানের একজন জ্যাক বরাবরই সুযোগের সঠিক ব্যবহার করায় দক্ষ ছিলেন। ১৯৭২ সালে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন তাঁর শহরে আসেন, প্রেসিডেন্টের পেছনে পেছনে আসা আমেরিকান পর্যটকদের গাইড হিসেবে জ্যাক কাজ করেন। পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি টাকার বদলে তিনি তাদের কাছ থেকে ইংরেজীর লিসন নেন!
জ্যাক মা পড়াশুনা করেছিলেন শিক্ষকতা বিষয়ে, কিন্তু তিনি মনেপ্রাণে ছিলেন একজন উদ্যোক্তা। অল্পকিছুদিন শিক্ষকতা করার পর তিনি সেই পেশা ছেড়ে দিয়ে নিজের অনুবাদ ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে যখন তিনি একটি চীনা কোম্পানীর কাজে সাহায্য করতে তাদের সাথে আমেরিকায় যান, তখনই তিনি প্রথম আলিবাবার আইডিয়াটি পান। ইন্টারনেট তখনও পৃথিবীতে একেবারেই নতুন। জ্যাক অনলাইনে বিয়ারের জন্য সার্চ দিয়ে দেখতে পেলেন সেখানে কোনও চীনা বিয়ারের নাম আসছে না। এই সমস্যাটিই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্যের সুযোগ এনে দিয়েছিল।
আমাদের আশেপাশে তাকালেই আমরা বহু সমস্যা দেখতে পাই। কিন্তু খুব কম মানুষই এই সমস্যাগুলোর ভেতর থেকে নতুন সুযোগ বের করে নিয়ে আসতে পারেন। আপনি যদি আপনার নিজের ও আশপাশের সমস্যাগুলোর দিকে সঠিক দৃষ্টিতে তাকাতে পারেন – তার মধ্য থেকেই নিজের সাফল্যের আইডিয়ার দেখা পেতে পারেন – যেমনটি পেয়েছেন জ্যাক মা। প্রয়োজন শুধু সঠিক ভাবে সেগুলোর দিকে তাকানোর।
আরও পড়ুন: জ্যাক মা’র সাফল্যের ১০ সূত্র
৫. প্রতি সপ্তাহে নিজেকে উজ্জিবিত করার জন্য কিছু বিষয় যুক্ত করুন (বিল গেটস)
আপনি চারিদিকে তাকিয়ে একটু খুঁজলেই নিজের আত্মবিশ্বাসকে উজ্জিবিত করার অসংখ্য বিষয় পেয়ে যাবেন। এর কোনওটা হতে পারে ইউটিউবের মটিভেশনাল ভিডিও, ওয়েব আর্টিকেল, বই, ধ্যান, সিনেমা, অটোসাজেশান অথবা হতে পারে আপনার কোনও শখ।
প্রতি সপ্তাহে আপনার আত্মবিশ্বাসকে উজ্জিবিত করার জন্য কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন যে সময়টা আপনি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চর্চায় ব্যয় করবেন।
এটি কার পরামর্শ জানেন? বিল গেটস স্বয়ং! এই মানুষটির সম্বন্ধে কিছু বলার থাকতে পারে না। অর্থ ও খ্যাতির বিচারে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সফল মানুষ খুব সম্ভবত তিনি। বিল গেটস তাঁর আত্মবিশ্বাস অর্জনের শক্তি খুঁজে পান বইয়ের পাতায়।
বছরে তিনি প্রায় ৫০ টির মত বই নিয়ম করে পড়ে শেষ করেন। যার অনেকগুলেই অনুপ্রেরণামূলক বই। আপনাকে যে বিল গেটসের মত পড়তে হবে এমন কোনও কথা নেই – কিন্তু প্রতি সপ্তাহে নিজের উদ্দিপনাকে ঝালাই করতে আপনি কিছু না কিছু করুন। ইন্টারনেটে খুঁজলেই প্রচুর পজিটিভ মুভি পাবেন। এছাড়া সফলদের লেকচার, তাদের নিয়ে করা ডকুমেন্টারিও দেখতে পারেন, ধ্যান করতে পারেন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকেই নিজে উৎসাহমূলক বাক্য বলতে পারেন। এর যে কোনওটিই আপনাকে উজ্জিবিত করায় ভূমিকা রাখবে।
৬. নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন আপনি যা করছেন সেটাই আপনার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান কিনা (মার্ক জুকারবার্গ)
উদ্দেশ্য অর্জন করা অনেক সহজ হয়ে যায় যখন আপনি সেটিকে অতি মূল্যবান কোনওকিছু হিসেবে দেখেন। যেমন, ওজন কমানো ও ফিটনেস বাড়ানোর কারণ হিসেবে দীর্ঘদিন বেঁচে থেকে ছেলেমেয়েদের বড় হতে দেখার ইচ্ছা অবশ্যই নতুন প্যান্ট ফিট করানোর ইচ্ছার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ শুধুমাত্র অর্থ ও খ্যাতির জন্য তথ্যপ্রযুক্তির জগতে প্রবেশ করেননি। মানুষে মানুষে যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার প্রতি আগ্রহ তাঁর বহুদিনের। এই পথে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ফেসবুক প্রতিষ্ঠার অনেক আগেই, যখন তিনি ১২ বছরের এক বালক ছিলেন।
সেই বয়সেই তিনি তাঁর দাঁতের চিকিৎসক বাবার কাজের সুবিধার্থে একটি একটি ডিজিটাল ম্যাসেজিং সিস্টেম তৈরী করে দেন। হাইস্কুলে পড়া অবস্থাতেই তিনি বড় অঙ্কের অর্থ কামাতে পারতেন কারণ সেই সময়েই মাইক্রোসফট ও এওএল এর মত দু’টি কোম্পানী তাঁর তৈরী করা মিউজিক সফটওয়্যার কিনতে চেয়েছিল। দু’টি কোম্পানীই তাঁকে মোটা বেতনে চাকরিও দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি অর্থ ও লোভনীয় চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বরং হার্ভাডে পড়াশুনা করাটাকেই বেছে নিয়েছিলেন এবং সেখানে দ্বিতীয় বর্ষে পড়া অবস্থাতেই তিনি ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন।
তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ফেসবুক প্রতিষ্ঠার আগে অন্যসব সুযোগ ছাড়ার কারণ কি , জুকারবার্গের উত্তর ছিল “আমি প্রায় প্রতিদিন নিজেকে যে প্রশ্নটা করি সেটি হল আমি কি সেটাই করছি যেটা আমার জন্য করা সবচেয়ে জরুরী?”
পাঠক আপনিও নিজেকে নিজে এই প্রশ্নটা করে দেখতে পারেন। এই প্রশ্নের উত্তর মিলে গেলেই আপনি আপনার কাঙ্খিত কাজটি পেয়ে যাবেন। যা আপনার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান, যা করে আপনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ লাভ করেন – সেটা করলেই আপনি সবচেয়ে বেশি সাফল্য পাবেন। যেমনটা পেয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ।
৭. নিজের জন্য একান্ত উপভোগের জন্য কিছুটা সময় আলাদা করুন (রিচার্ড ব্র্যানসন)
সাফল্য পাওয়ার জন্য অক্লান্ত ও ধারাবাহিক পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু আপনি আপনার কাজকে যতই ভালবাসুন, আপনার উদ্দেশ্যের প্রতি আপনি যতই নিবেদিত হোন, একটি দিন আপনার ক্লান্তি আসতেই পারে। যদি ক্লান্তি এসেই পড়ে, যদি একটু মুক্তির আশায় মন ছটফট করেই – তাতে দোষের কিছু নেই। কিছু সময়ের জন্য নিজেকে একটু মুক্তি দিলে আপনার ক্ষতির বদলে আপনার লাভই হবে।
কাজের ফাঁকে একটু বিনোদন নিয়ে নিজের মন ও শরীরকে একটু ছাড় দিলে পরবর্তীতে বড় একটা সময়ের জন্য আপনি নতুন করে কাজের উদ্যম পাবেন।
ভার্জিনের মালিক ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন নিজের বিশ্রামের জন্য পুরো একটি দ্বীপই কিনে নিয়েছেন। তিনি তাঁর ব্লগে লিখেছেন, যখন তিনি নেকার দ্বীপে যান, তিনি কাইটসার্ফিং করেন। তাঁর ভাষ্যমতে “এটি একটি অসাধারণ শরীরচর্চা, বিনোদন, শীথিলায়ন ও মানসিক চাপ কমানোর উপায়”। আপনি হয়তো এখনই একটি দ্বীপ কেনার মত অবস্থায় নেই (তবে আশা করি একদিন সেই অবস্থায় যাবেন) কিন্তু একটু সিনেমা দেখা, একটু গল্পের বই পড়া, ঘুরতে যাওয়া – এগুলো আপনাকে পরবর্তী কাজ সুন্দরভাবে করার জন্য আরও বেশি চাঙ্গা করবে ।
০৮. ইচ্ছা না করলে আপনি কোনকিছুই করতে বাধ্য নন। (জন র্যাম্পটন)
আপনি আপনার জীবনে যা-ই করেন না কেন, সেটি আপনি আসলে আপনার নিজের ইচ্ছাতেই করেন। অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্যি যে আপনি না চাইলে খাওয়া বন্ধ করে থাকতে পারেন, অথবা অফিসে না গিয়ে থাকতে পারেন – ইত্যাদি ইত্যাদি। হয়তো ফলাফল বিচারে সেগুলো কোনও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না – কিন্তু আপনার মর্জি না হলে আপনি যে কোনও কিছুই না করে থাকতে পারেন। এবং এটি মানুষ হিসেবে আপনার খুব বড় একটি ক্ষমতা – যা হয়তো এখন পর্যন্ত আপনি বুঝতেই পারেননি।
জীবনে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে ভয়, সন্দেহ, দ্বিধা, পরিস্থিতি, অবিশ্বাস ইত্যাদি অনেক বিষয় আমাদের সবসময়ে নিরুৎসাহিত করে, কখনওবা পিছিয়েও দেয়। এসবের প্রভাবে অনেক সময়ে আমাদের ভেতর থেকেই উৎসাহ মরে যায়।
আমাদের পেছনে টেনে রাখা এইসব বিষয়গুলোর সাথে লড়াই করার জন্য এবং লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার জন্য বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর একজন উদ্যোক্তা জন র্যাম্পটন একটি অসাধারণ সমাধান দিয়েছেন তাঁর ব্লগে। যার সারাংশ হল প্রথমেই আমাদের এইসব বাধাগুলোর উৎস খুঁজে বের করতে হবে।
এই উৎস সাধারণত আমাদের মনের ভেতরে বাজতে থাকা কিছু নেতিবাচক কথার প্রভাব। যেমন – “আমাকে করতে হবে,” “এটা আমার কথা উচিৎ নয়,” “আমি পারব না” – ইত্যাদির আমাদের মনের উৎসাহ নষ্ট করে। এইসব কথা মনে আসাটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ইতিবাচক ও দৃঢ় মানসিকতার মানুষেরা এইসব নেতিবাচকতাকে প্রতিহত করেন একটি শক্তিশালী বিশ্বাস দিয়ে। আর তা হল মানুষের ইচ্ছার বাইরে তাকে দিয়ে কিছু করানো যায় না। আপনার মনের লাগাম যদি আপনি নিজের হাতে নেন এবং বিশ্বাস করেন আপনি কাজ করছেন কারণ আপনি করতে চান – তাহলেই দেখবেন আপনার উদ্যম বেড়ে গেছে। “আমাকে করতে হবে”, “আমাকে পারতে হবে” এসবের বদলে বলুন “আমি করতে চাই”, “আমি পারতে চাই।” আপনার নিজের চাওয়াটাই আপনার অবচেতন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
০৯. সিদ্ধান্ত নিন যে আপনি এমন একজন হবেন যে ‘বলার বদলে, করে দেখাবে’ (টমি ল্যাসোর্ডা)
বেসবল গ্রেট টমি ল্যাসোর্ডা একবার বলেছিলেন “বেসবল ও ব্যবসার জগতে তিন ধরনের মানুষ আছেন। যারা করে দেখায়, যারা হতে দেখে, আর যারা ভাবে কি হল। ”
আমরা সবাই কমবেশি এইসব মানুষদের চিনি, যারা সবসময়ে বলে বেড়ায় তারা কি করতে চলেছে – কিন্তু বাস্তবে তারা তা করার ধারেকাছেও যায় না। অথবা সেইসব লোকেদের যারা ঈর্ষার সাথে অন্যদের সাফল্য পেতে দেখে আর ভাবে “এটাতো আমিও করতে পারি।” আর তারপর তারা বসেই থাকে।
সফল হতে গেলে আপনাকে সামনে থেকে আপনার নিজের জীবনের নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হবে। তা সে প্রতি সকালে জিমে যাওয়াই হোক আর আপনার অপছন্দের চাকরি ছেড়ে বহুদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে স্বাধীন ব্যবসায় নামাই হোক। আপনাকে করে দেখাতে হবে যে আপনি পারেন। অন্যথায় এসব ভাবনার কোনও মূল্য নেই। ভাবনাকে কাজে পরিনত করলেই অন্যরা আপনাকে সম্মান করবে। সেই সাথে নিজের ওপরও নিজের সম্মান বেড়ে যাবে। তাই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি মনে মনেই সফলতার স্বপ্ন দেখে যাবেন, নাকি পরিকল্পনাকে কাজে রূপান্তর করে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবেন? – আপনার একটি সিদ্ধান্তই আপনাকে সফল করবে।
১০. আপনার চারপাশে উদ্যমী মানুষের একটি চক্র গড়ে তুলুন (দিপ প্যাটেল)
আপনার চারপাশের মানুষজন আপনার সাফল্য ও ব্যার্থতায় সরাসরি প্রভাব ফেলে। আপনি যদি ইতিবাচক মানসিকতার, দৃঢ়চেতা, এবং সফল মানুষদের দিয়ে আপনার চারপাশে একটি চক্র তৈরী করেন তাহলে আপনারও সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আপনি নিজেই নিজেকে তাদের কাতারে দেখতে চাইবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবেন। তাছাড়া হাত বাড়ালেই আপনি অনেক পরামর্শদাতা পেয়ে যাবেন, যা সফল হওয়ার জন্য খুবই জরুরী।
অন্যদিকে, আপনি যদি নেতিবাচক ও দূর্বল মানসিকতার মানুষ দিয়ে আপনার চারপাশ ঘিরে রাখেন, তাহলে তারা আপনাকে ব্যর্থতা ও নেতিবাচকতার দিকে ক্রমশ টেনে নেবে। আপনার সমস্ত উৎসাহ, অনুপ্রেরণা তারা তাদের নেতিবাচক প্রভাব দিয়ে ধীরে ধীরে শুষে নিয়ে আপনাকে তাদের মত মানুষে পরিনত করবে।
“A Paperboy’s Fable: the 11 Principles of Success” এর লেখক দিপ প্যাটেল লিখেছেন, এইসব নেতিবাচক মানুষদের আপনার উদ্দেশ্য সফল করার পথে উৎসাহ প্রদানের কোনও কারণই নেই। কাজেই এদের থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যতটা পারা যায় দূরত্ব তৈরী করুন।
১১. আপনার লক্ষ্য ও অগ্রগতি শেয়ার করুন (জ্যানডার স্যুট্জ)
আপনি কোন মাধ্যমে আপনার লক্ষ্য ও অগ্রগতির কথা শেয়ার করবেন, সেটা কোনও বিষয় নয়। আপনি আপনার কথাগুলো আপনার সমমনা কোনও গ্রুপের সাথে শেয়ার করতে পারেন, অথবা সহকর্মীদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। বন্ধু, পরিবার, অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায়ও শেয়ার করতে পারেন (যদিও এখানে কিছুটা চিন্তাভাবনার অবকাশ রয়েছে)। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা সব সময়ে ভালো না-ও হতে পারে।
কিন্তু এসব করে লাভ কি? – এতে বেশ বড় একটি লাভ হয়। আপনি নিজের কথাগুলো বলে অন্যদের কাছে নিজেকে তুলে ধরছেন। যারা জানছে তারা পরবর্তীতে আপনার কাছে আপনার কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চাইবে। এর ফলে আপনার কাজের উৎসাহ বেড়ে যাওয়ার একটি বড় সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও, তারা আপনার উদযাপনের সঙ্গী হবে, আপনার বিপদে পাশেও দাঁড়াবে।
একটি ওজন কমানো বিষয়ক গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, যেসব অংশগ্রহণকারী টুইটারে নিজেদের ওজনের বিষয়ে নিয়মিত আপডেট দিয়েছেন তারা অন্য অংশগ্রহণকারীদের চেয়ে বেশি ওজন কমাতে পেরেছেন!
প্রোডাক্টিভিটি এ্যাপ “কমপ্লিট (Complete)” এর সিইও জ্যান্ডার স্যুট্জ এর ভাষ্যমতে “যারা সর্বসম্মুখে তাদের উদ্দেশ্যের কথা বলে, তাদের কাজ সমাধা করার সম্ভাবনা যারা নিশ্চুপে কাজ করে তাদের চেয়ে ৪ গুন বেশি।”
১২. মাল্টিটাস্কিং এর কথা ভুলে যান! (জেমস্ রোউস)
মাল্টিটাস্কিং বর্তমান সময়ে দারুন প্রচলিত একটি শব্দ। কম্পিউটার বা মোবাইলের মত আমরাও মাঝে মাঝে মাল্টিটাস্কিং করার চেষ্টা করি। অনেকেই ধারনা করেন এটি একটি ইতিবাচক যোগ্যতা। ব্রেকিং নিউজ: এটি একটি ভুল তথ্য!
সত্যি কথা বলতে, মানুষের মস্তিষ্ক মাল্টিটাস্কিঙের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। এমনকি গান শুনতে শুনতে কাজ করলেও আপনার মগজ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। সেইসাথে আপনার কাজের ফলাফলও ভাল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। আমরা যখন একসাথে একাধিক কাজ করি, তখন প্রতিনিয়ত আমরা এক কাজ থেকে আরেক কাজে শিফ্ট হই। এর ফলে কোনও কাজেই পুরো মনযোগ থাকে না, কাজও হয় অপূর্ন। বুদ্ধিমানের কাজ হল একই সময়ে একটি মাত্র কাজ করা ও তাতেই সমস্ত মনযোগ নিয়োগ করা।
শুনতে সহজ মনে হলেও, বর্তমানে হাজারটা গেজেট আর নেট কন্টেন্টের ভিড়ে কাজটা যথেষ্ঠ কঠিন। বিখ্যাত নিউরোপ্যাথিক চিকিৎসক এবং লেখক জেমস্ রোউসের মতে “যখন আমরা একই সাথে একাধিক কাজের প্রতি মনযোগ দেই, তখন আমাদের কাজের ফলাফল প্রায় ৫০% খারাপ হয় । সবচেয়ে ভাল উপায় হল কাজে এক এক করে এক একটি কাজ পুরো মনযোগ দিয়ে করা।”
পরিশিষ্ট :
ওপরে বর্ণিত ১২টি টিপসের অনেকগুলোই হয়তো আপনারা এর আগে বহুবার শুনেছেন। পড়ার পরে হয়তো কেউ কেউ আফসোসও করছেন। তাদের উদ্দেশ্যে বোনাস হিসেবে রকমারি ডট কম এর কর্ণধার ও প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান সোহাগ এর একটি উক্তি দিয়ে শেষ করা যাক। একটি কনফারেন্সে তিনি বলেছিলেন : “গোপন বিষয়কে গোপন রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল, সেটিকে সস্তা বানিয়ে ফেলা। অর্থাৎ সর্বসাধারণের সামনে ছেড়ে দেয়া। তাহলে সেটিকে আর কেউ গুরুত্ব দেবে না।” তো পাঠক, কথাটা একটু চিন্তা করে দেখুন, আমাদের সামনেই আসলে সবকিছু আছে ।জ্যাক মা’র মত শুধু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু পরিবর্তন করতে হবে।
লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে, তবে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। এই বিষয়ে আপনার যে কোনও মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানান। আপনার প্রতিটি মতামতই আমাদের কাছে অতি মূল্যবান। আমাদের সাথে থাকুন, সাফল্যের পথে প্রতিটি পদক্ষেপে লড়াকু আপনার সাথে আছে।