যে কোনও অসম্ভবকে সম্ভব করার ৫টি ধাপ


“অসম্ভবকে সম্ভব করা” – এটা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। এবং অনেকেই এটা বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। এই লেখার পাঁচটি ধাপ অনুসরন করে আপনিও হয়তো হতে পারবেন তাঁদের একজন।


আমাদের সবারই জীবনে এই মূহুর্তটি এসেছে, যখন কোনওকিছু দেখে বা শুনে আমাদের মনে হয়েছে – “আমি অমন হতে পারলে ভাল হতো”, অথবা, “ওটা আমার চাই”। নিজেকে বড় ভাবতে সবারই ভালো লাগে। অর্থ, ক্ষমতা, জ্ঞান, ব্যক্তিত্ব – এসব আমরা প্রায় সবাইই চাই। আমরা চাই পুরো পৃথিবীটা ঘুরে দেখতে, সমস্ত মানুষের দু:খ ঘুচিয়ে দিতে, সমাজ থেকে অনিয়ম দুর্নীতি দূর করতে; অথবা পুরো পৃথিবীটা বদলে দিতে। – এমন সব চাওয়ার কথা ভাবতে কার না ভাল লাগে! – কিন্ত একটু পরেই আবার মনে হয়, “এটা অনেক বড় চাওয়া, এটা আমার পক্ষে পূরণ করা অসম্ভব”। আসলেই কি অসম্ভব বলতে কিছু আছে?

আমরা ওড়ার ইচ্ছা করি, আকাশের দিকে তাকাই – কিন্তু পর মূহুর্তেই মনে হয় “আমার তো পাখা নেই”। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, ওড়ার জন্য পাখার প্রয়োজন হয় না। একটা সময় পর্যন্ত ওড়ার কল্পনা করাই ছিল মানুষের জন্য পাগলামির সমান; কিন্তু আপনি নিজেও জানেন মানুষের জন্য আকাশে ওড়া এখন আর অসম্ভব নয়।

এই অসম্ভবটি সম্ভব হয়েছে মানুষের বুদ্ধি আর ইচ্ছেশক্তির ফলে। কিছু মানুষ বিশ্বাস করেছিল যে মানুষের পক্ষে আকাশে ওড়া সম্ভব। একের পর এক ব্যর্থ গবেষণার পর অবশেষে কিন্তু সফলতা এসেছে। এভাবে প্রতিটি অসম্ভবকেই কিন্তু সম্ভব করা যায়। নিজের চিন্তা ও মানসিক অবস্থা ধীরে ধীরে পরিবর্তন করে এমন কিছু অর্জন করা যায়, যা কোনওদিন চিন্তায়ও আসেনি।

চলুন জেনে নিই সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার ৫টি ধাপ:

০১. অদৃশ্য থেকে বাস্তব

সবকিছুরই প্রথম বার বলে একটা কথা আছে। কোনও বিষয় যখন আমাদের অজানা থাকে, তখন তা থাকে ‘অদৃশ্য’ পর্যায়ে। এই পর্যায়ে আমরা জানিই না যে কোনও একটি বিষয়ের অস্তিত্ব আছে। এরপর যখন আমরা দেখা, পড়া বা শোনার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনও বিষয়ে জানতে পারি, তখন তা ‘অদৃশ্য’ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসে।

Image result for visible

কয়েকটি উদাহরন দেয়া যাক:

# ইব্রাহিম হামাতো একজন টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। এই মানুষটির দুই হাত নেই। তিনি তাঁর মুখ ও গলা ব্যবহার করে খেলেন। এবং তাঁর প্রতিপক্ষরা কিন্তু প্রতিবন্ধী নন – সুস্থ সবল মানুষদের সাথেই তিনি সমানে সমান প্রতিযোগীতা করেন।

# চীনে ৬ দিনে ১৫ তলা দালানের কাজ শেষ করা অতি সাধারন একটি ব্যাপার!

# চার্লি মানগার নামে এক ব্যক্তি প্রতিদিন ৫০০ পৃষ্ঠা করে পড়েন। একটি বইয়ে গড়ে ২৫০ পৃষ্ঠা ধরলে তিনি দিনে ২টি বই পড়ে শেষ করেন, এবং বছর শেষে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৫০-৭০০টি! যেখানে গড় মানুষ বছরে ৪টি বই পড়তে পারে।

এই তথ্যগুলোর সবক’টি বা যে কোনওটি যদি আপনার আগে জানা না থাকে, তবে এগুলো ছিল ‘অদৃশ্য’ পর্যায়ে।

 

উপরে যেই ধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে, বেশিরভাগ মানুষের কাছেই সেগুলো অসম্ভব ব্যাপার। অনেকেই হয়তো বলবেন, “তারা করেছে, ঠিক আছে – কিন্তু এটা সবার পক্ষে সম্ভব নয়; আমার পক্ষে তো একদমই না।“ , আবার অনেকে ভাবেন –“চেষ্টা করলে এটা আমার পক্ষে সম্ভব” – খুবই ভাল একটি ভাবনা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সেই ‘চেষ্টা’ খুব কম মানুষই বাস্তবে করেন।

অদৃশ্য ধাপটির শেষ এখানেই। এখান থেকেই ‘অসম্ভব’ এর শুরু।

০২. আকাশকুসুম চিন্তা থেকে বাস্তব চিন্তা

আমরা সবাই ছোটবেলায় বাগধারায় ‘আকাশকুসুম’ বাগধারাটি পড়েছি। এর মানে হলো অসম্ভব কল্পনা করে সুখ পাওয়া। প্রথমেই বলেছি, নিজেকে বড় করে ভাবতে, ভাল অবস্থানে ভাবতে সবারই ভালো লাগে। এবং মানুষ যা চিন্তা করে তা সে অর্জনও করতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কিছু মানুষ সেই চিন্তা করে পরের মূহুর্তেই ধরে নেয়, সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর কিছু মানুষ ভাবে যে চেষ্টা করলে তাদের পক্ষে এগুলো সত্যিতে পরিনত করা সম্ভব – কিন্তু সেই চেষ্টাটি তারা আর করে না।

এই দুই দলই আসলে আকাশকুসুম চিন্তার মাঝে বাস করে। তারা চিন্তা করে, যদি অলৌকিক ভাবে, অথবা ভাগ্যের কোনও খেলায় যদি তাদের এই ইচ্ছা গুলো পূরণ হতো, তবে কতই না ভালো হতো। সবাই চায় অর্থের মালিক হতে, নিজের ও আপনজনদের জন্য একটি সুন্দর জীবন গড়তে – কিন্তু সেই অর্থের জন্য যথেষ্ঠ পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করতে খুব কম লোকই পারে। আর যারা তা পারে না, তারাই এই অলৌকিক সৌভাগ্যের আশায় থাকে। আর এইসব মানুষই প্রতারকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয়।

Image result for reality

প্রতারকরা বিভিন্ন ক্সিমের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন দেখায় রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাওয়ার। আর সেই আকাশকুসুমের পেছনে ছুটে অনেকেই সবকিছু হারায়। আবার বাস্তবিকই কিছু মানুষ ভাগ্যের জোরে রাতারাতি ধনসম্পদের মালিক হয়ে যায়। হঠা‌ৎ করে সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাওয়া, লটারির টিকিট জেতা, রিয়েলিটি শো জেতা – ইত্যাদি উ‌ৎস থেকে অনেকেই হঠা‌ৎ অর্থ পেয়ে যায়।

কিন্তু এই হঠা‌ৎ করে লাফ দিয়ে সৌভাগ্য পেয়ে যাওয়াটা কিন্তু মোটেই ভাল কিছু নয়। বেশিরভাগ লটারী বিজেতাই তাদের টাকা ধরে রাখতে পারে না। আমেরিকাতে এমন হঠা‌ৎ বড়লোকদের বেশিরভাগই ডিপ্রেশনে ভোগেন, অনেকে এমনকি আত্মহত্যাও করেছেন। অনেকেই স্বীকার করেন যে তাঁরা লটারী জেতার আগে বেশি সুখে ছিলেন।

এতকিছু বলার কারন অসম্ভববে সম্ভব করতে হলে আকাশকুসুম চিন্তা বা হঠা‌ৎ পাওয়া সৌভাগ্য কোনও কাজে আসে না। হঠা‌ৎ পাওয়া সৌভাগ্য কখনওই স্থায়ী হয় না। একবারে অনেক কিছু পেয়ে গেলে সেটা হজম করা যায় না – এই প্রমান অনেকবারই পাওয়া গেছে। অসম্ভবকে সম্ভব করতে চাইলে আপনার চিন্তাকে বাস্তবমুখী করতে হবে। মেনে নিতে হবে যে আপনার পথচলা কঠিন হবে। এক লাফে গন্তব্যে না গিয়ে, আপনাকে ধাপে ধাপে, ধীরে ধীরে সেখানে পৌঁছানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনাকে বুঝতে হবে সাফল্যের প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করলেই আপনি চূড়ান্ত সাফল্যকে ধরে রাখতে পারবেন। সোজা বাংলায় ‘হজম করতে’ পারবেন।

বড় লক্ষ্যকে অসম্ভব মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা মনে হলে হাল না ছেড়ে অথবা, আকাশকুসুম চিন্তায় ডুবে না গিয়ে আপনাকে ভেবে বের করতে হবে সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে। বড় লক্ষ্যটিকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিয়ে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করতে হবে – এই মানসিকতার ফলে আর আপনি আকাশকুসুমের ফাঁদে পড়বেন না।

০৩. সম্ভবের পথে পা বাড়ানো

আকাশকুসুম বা অবাস্তব চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে আপনি পা বাড়াবেন সত্যিকার অর্জনের পথে। আসলে অসম্ভবকে সম্ভব করার পথে এটাই আপনার প্রথম ধাপ। আগের দু’টিকে প্রস্তুতি বলা যায়।

আকাশ কুসুম কল্পনার ফাঁদ থেকে বের হয়ে আপনি যখন আপনার বড় লক্ষ্যটিকে ছোট ছোট লক্ষ্যে ভাগ করবেন, তখন দেখবেন আপনার আর সেগুলোকে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। আপনার নিজেকে সেইসব মানুষদের একজন বলে মনে হবে, যাঁরা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছেন।

আপনি অনুভব করবেন, সঠিক পথ খুঁজে পেলে কোনওকিছুই অসম্ভব নয়। আপনি বুঝতে পারবেন, বিশ্বাস, ধৈর্য আর কঠোর পরিশ্রমই আসলে সব ‘অসম্ভব’ সৌভাগ্য আর অর্জনকে হাতের মুঠোয় এনে দেয়।

এবার আপনাকে বুঝতে হবে সেই ছোট ছোট লক্ষ্যগুলো পূরণ করে চূড়ান্ত লক্ষ্যটি অর্জন করতে হলে আপনাকে কি কি জ্ঞান আর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনাকে খুঁজে দেখতে হবে আপনার আগে যাঁরা এই বড় বড় লক্ষ্যগুলি অর্জন করেছেন, তাঁরা কোন কোন বিষয়ে জ্ঞান আর দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। এই ব্যাপারটি বুঝে ফেলার পর আপনাকে পরের ধাপে যেতে হবে।

০৪. অনুশীলন ও দক্ষতা অর্জন

আগের ধাপগুলিতে আপনি যা করেছেন, তার পুরোটাই প্রায় মনস্তাত্বিক। ধাপে ধাপে আপনি নিজেকে এমন একটি মনোভাবের মাঝে নিয়ে এসেছেন, যার ফলে আপনার কাছে অসম্ভবকে আর অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। এবং সেই সাথে আপনি জানেন যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনাকে কি কি জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখানেই আপনার মনের চাওয়া পার্থিব বা বাস্তব রূপ নেবে।

এই পর্যায়ে আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা নিবিড় অনুশীলনের মাধ্যমে রপ্ত করবেন। ধীরে ধীরে আপনি আপনার স্বপ্ন ও কল্পনাকে বাস্তব রূপ দেয়ার বিদ্যা শিখবেন। আপনি যেটাই করতে চান, যেটাই হতে চান – নিবিড় অনুশীলন করতে করতে সেটার ‘মাস্টার’ হয়ে উঠবেন।

এই অংশেই আপনি আপনার কাজকে প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিনত করবেন। যতক্ষন না আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাচ্ছেন, আপনার কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জন করছেন – ততক্ষণ সব কষ্ট মুখ বুজে সহ্য করে আপনার জ্ঞান ও দক্ষতার চর্চা করে যান। এই সময়টাতে আপনি হয়তো বার বার হতাশ হবেন, হাল ছেড়ে দিতে চাইবেন। বার বার মনে হবে এটা বোধহয় আসলেই সম্ভব নয় – কিন্তু আপনাকে লেগে থাকতে হবে। দাঁতে দাঁত পিষে হাল ধরে থাকতে হবে। যে কোনও দক্ষতাকে নিজের অভ্যাসের অংশ বানিয়ে নিয়ে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় অনেক ধৈর্যের।

Image result for master your craft

আবারও বলছি আপনি যদি আপনার কল্পনা ও স্বপ্নকে বাস্তবে পরিনত করতে চান, তবে যেসব দক্ষতা ও জ্ঞান আপনাকে সেই পরিনতির দিকে নিয়ে যাবে, সেগুলোর ‘মাস্টারি’ আপনাকে অবশ্যই অর্জন করতে হবে।

আর এই ‘মাস্টারি’ অর্জন করতে প্রয়োজন সাধনা। এই সাধনা আর কিছুই নয়, শত বাধা আর হতাশার মাঝেও নিজের অনুশীলনটি ঠিকভাবে করে যাওয়া। নিজের বিশ্বাসকে কোনওভাবেই টলতে না দিয়ে নিজেকে তাড়িয়ে নেয়া। এভাবে লেগে থাকলে একটা সময়ে আপনি দেখবেন সত্যিই আপনি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মাস্টারি অর্জন করতে পেরেছেন – আর একবার সেটা হয়ে গেলে ধরে নেবেন, আপনার ৯৯% লক্ষ্য অর্জন হয়ে গেছে। এবার শুধু শেষ একটি ধাপ বাকি।

০৫. অসম্ভবকে সম্ভব করা

আপনি যদি ঠিকমত আপনার দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করে থাকেন, তবে এবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। আগের ধাপ গুলো থেকে আপনি যা যা শিখেছেন, এখানে শুধু সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।

আপনি অবাক হয়ে দেখবেন, আপনার কাজগুলো কত সহজে হয়ে যাচ্ছে। একটা সময়ে যেটাকে আপনার মনে হতো মানুষের অসাধ্য কাজ, সেটাই আজ আপনি নিজে করছেন। যে অর্জনকে আপনার মনে হতো চিন্তারও বাইরে, তাই আজ আপনার হাতের মুঠোয় ধরা দিতে শুরু করেছে।

Image result for make impossible possible

এটা খুবই সম্ভব। আপনাকে শুধু বিশ্বাস করতে হবে, আকাশ কুসুমের বদলে বাস্তবমুখী চিন্তা করতে হবে। আর নিবিড় অনুশীলন করে আপনি যা চান, সেই বিষয়ে একজন মাস্টার হয়ে উঠতে হবে। – একটা সময়ে এই ধাপটিকেই হয়তো আপনার সবচেয়ে কঠিন আর অসম্ভব বলে মনে হতো – কিন্তু আগের ধাপগুলো সঠিক ভাবে পার করে আসতে পারলে এটাকেই মনে হবে সবচেয়ে সহজ ধাপ। মনে হবে সবকিছু যেন আপনা আপনি হয়ে যাচ্ছে। তবে বুদ্ধিমানেরা সব সময়ে অর্জনের আনন্দে গা ভাসিয়ে না দিয়ে সেটিকে ধরে রাখার আর নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন । সাফল্য ধরে রাখতে হলে আপনাকেও তা-ই করতে হবে।

পরিশিষ্ট:

পৃথিবীতে যত মানুষ সফল হয়েছেন, অসম্ভবকে সম্ভবে পরিনত করেছেন, তাঁদের সবাই কমবেশি এই পদ্ধতিতেই হয়েছেন। তাঁরা প্রথমে বিশ্বাস করেছেন, তারপর অবাস্তব চিন্তার থেকে বের হয়ে এসে বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে সম্ভাবনাগুলো দেখেছেন, বোঝার চেষ্টা করেছেন লক্ষ্যটি অর্জন করতে কি কি জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে, নিবিড় অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সেগুলোকে নিজের অভ্যাসে পরিনত করেছেন – এবং সবশেষে এইসব মনোভাব, দক্ষতা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করেছেন।

আসলে প্রতিটি কঠিন কাজই সহজ, যদি সেটা আপনার অভ্যাসে পরিনত হয়ে যায়। আপনি যদি নিয়মিত তার চর্চা করেন। মানুষ আসলে যুদ্ধ জয় করে না, পর্বত, সাগর, আকাশকেও জয় করে না – সে শুধু নিজেকে জয় করে। আর নিজেকে জয় করতে পারলে বিশ্বজয় করাও অসম্ভব নয়।

নেলসন ম্যান্ডেলা একবার বলেছিলেন: “অর্জন করার আগে সবকিছুই অসম্ভব বলে মনে হয়।“

 

 

পোস্টটি শেয়ার করুন !