স্টিভেন স্পিলবার্গ এর চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়ে ওঠার পেছনের গল্প


স্পিলবার্গ চলচ্চিত্র জগতে আধুনিক যুগের সবচেয়ে পরিচিত নামগুলোর একটি। বর্তমানে হলিউডের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ও বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম স্টিভেন স্পিলবার্গ । জুরাসিক পার্ক, ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান – ইত্যাদি বেশকিছু বিখ্যাত ব্লকবাস্টার সিনেমার নির্মাতা ও কাহিনীকার তিনি। আমরা আজ এই প্রতিভাবাsteven spielberg biographyন ও সফল চলচ্চিত্র নির্মাতার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের খুঁটিনাটিতে নজর বোলাবো।


স্টিভেন স্পিলবার্গকে চেনেন না কিন্তু চলচ্চিত্র ভালবাসেন – এমন লোক খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব আধুনিক হলিউডি সিনেমার সবচেয়ে বিখ্যাত গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার, নির্মাতা ও প্রযোজক খুব সম্ভবত স্পিলবার্গ।

ই.টি, ব্যাক টু দ্যা ফিউচার, ওয়ার হর্স, জুরাসিক পার্ক, ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান – এর মত বহু বিখ্যাত ও ক্লাসিক সিনেমার নির্মাতা ও কাহিনীকার এই একাধিক অস্কার বিজয়ী। পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসা সফল নির্মাতাও ধরা হয় তাঁকে।

সব মিলিয়ে তাঁর নির্মিত সিনেমাগুলোর আয় এখন পর্যন্ত ৯০০ কোটি ডলারের বেশি! আজকের চলচ্চিত্র জগতের সবথেকে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের অন্যতম স্পিলবার্গ। বহু বড় বড় সফল নির্মাতার আদর্শ এবং সরাসরি শিক্ষক তিনি। চলুন জেনে নেয়া যাক এই জীবন্ত কিংবদন্তীর সাফল্যের পেছনের কথা।

এক নজরে স্পিলবার্গ:

স্টিভেন স্পিলবার্গের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৮ই ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সিনসিনাটিতে। একদম শিশু বয়স থেকেই তিনি ছোট ছোট চলচ্চিত্র বানাতে শুরু করেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম সফল একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা যাঁর নামের পাশে শোভা পাচ্ছে একাধিক অস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।

চলচ্চিত্র নির্মানের পাশাপাশি তিনি গল্পকার চিত্রনাট্যকার (স্ক্রিপ্ট রাইটার) ও প্রযোজক হিসেবেও দারুন সাফল্যের অধিকারী। ১৯৯৪ সালে তিনি বিশ্বখ্যাত ড্রিমওয়ার্কস স্টুডিও’র সহ প্রতিষ্ঠা করেন যা ২০০৫ সালে  প্যারামাউন্ট পিকচার্স স্পিলবার্গের কাছ থেকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে কিনে নেয়।

শুরুর কথা:

স্টিভেন ‘অ্যালান’ স্পিলবার্গের মা লিয়াহ্ ছিলেন একজন পেশাদার পিয়ানিস্ট, এবং বাবা আরনল্ড স্পিলবার্গ ছিলেন একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। স্পিলবার্গের দাদা-দাদী ছিলেন ইউক্রেন থেকে আগত ইহুদী অভিবাসী। ওহাইওতে জন্ম নেয়া স্পিলবার্গ বেড়ে ওঠার সময়ে পিতামাতার সাথে বেশ কিছু জায়গায় বসবাস করেন।

তাঁর বাল্যকালের কিছু সময় তিনি আরিজোনাতে কাটান। একদম ছোটবেলা থেকেই তিনি ছোট ছোট বিভিন্ন ভিডিও ছবি বানান। ষাটের দশকের শেষ দিকে ইউনিভার্সেল পিকচারস এর ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী পরিচালক হিসেবে টেলিভিশনের জন্য ভিডিও ছবি নির্মানের কাজ শুরু করেন।

বড় পর্দার জন্য সিনেমা বানানোর প্রথম সুযোগ আসে তাঁর ১৯৭২ এ নির্মিত একটি টেলিভিশন ফ্লিম ব্যাপক প্রশংসিত হওয়ার পর। এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সফল সিনেমা তাঁকে ব্যবসায়িক ভাবে সর্বকালের সবচেয়ে সফল চিত্র পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

স্পিলবার্গ এর চলচ্চিত্র:

স্পিলবার্গ মোটামুটি সব ধরনের সিনেমাই বানিয়েছেন। এ্যাকশান, ড্রামা, কমেডি, এ্যানিমেশন, ক্লাসিক ঘরানা, ফ্যান্টাসি – ইত্যাদি।  সিনেমার সব শাখাতেই তাঁর সমান  বিচরন।

১৯৭৫ সালে নির্মিত “জ’স” এর মত ভীতিকর গা শিরশিরে সিনেমা যেমন তিনি বানিয়েছেন তেমনি ই.টি অথবা ক্লোজ ইনকাউন্টারস অব দি থার্ড কাইন্ড – এর মত শিশুতোষ সিনেমাও বানিয়েছেন।

বিখ্যাত উপন্যাস ভিত্তিক ক্লাসিক ঘরানার সিনেমার মধ্যে ১৯৮৫ সালে নির্মিত ‘দি কালার পার্পল’ এবং ১৯৮৭ সালে নির্মিত ‘এম্পায়ার অব দি সান’ উল্লেখযোগ্য।

ইন্ডিয়ানা জোন্সের এ্যাডভেঞ্চার কাহিনীর মুভি সিরিজ বানিয়ে পুরো বিশ্ববাসিকে যেমন মোহমুগ্ধ করে রেখেছেন, তেমনি পিটার প্যান দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ফ্যান্টাসী ঘরানার ‘হুক’ (১৯৯১) নির্মান করে ফ্যান্টাসী প্রেমীদের মনও জয় করে নিয়েছেন।

তাঁর নির্মিত মন্সটার হরর এ্যাকশান ঘরানার জুরাসিক পার্ক তো এখনও আধুনিক সংস্কৃতির আইকন হিসেবে বিবেচিত। সাইন্স ফিকশন মুভি সিরিজ ব্যাক টু দ্যা ফিউচারের সবগুলো সিনেমা আশির দশকের মত এখনও সমানভাবে জনপ্রিয়।

স্টিভেন স্পিলবার্গ চলচ্চিত্র

স্পিলবার্গের ইতিহাস ভিত্তিক সিনেমাগুলোও দারুন ভাবে প্রশংসিত ও জনপ্রিয়। ১৯৯৩ সালে নির্মিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঘটা গণহত্যাকে বিষয় করে তৈরী ‘সিন্ডার’স লিস্ট’ সাতটি অস্কার জিতে নেয়। এই সিনেমা থেকেই তিনি প্রথম বার শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে অস্কার জেতেন।

১৯৯৮ সালে তিনি আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কাজ করেন ‘সেভিং প্রাইভেট রায়ান (Saving Private Ryan)’ চলচ্চিত্র নির্মানের মধ্যদিয়ে। এই সিনেমায় ইউরোপে যুদ্ধ করতে যাওয়া কয়েকজন আমেরিকান সৈনিকের গল্প দেখানো হয়। এই সিনেমাটি নির্মানের জন্য স্পিলবার্গ আবারও শ্রেষ্ঠ পরিচালকের অস্কার জিতে নেন।

প্রযোজক হিসেবেও দারুন সফল স্পিলবার্গ। ১৯৮২ সালে তাঁর নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘এ্যাম্বলিন এন্টারটেইনমেন্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থা থেকেই ‘ব্যাক টু দ্য ফিউচার’ এর তিনটি সিনেমা, এবং ‘হু ফ্রেমড্ রজার র‌্যাবিট’ (১৯৮৮) – এরম মত সিনেমাগুলো বের হয়।

ড্রিমওয়ার্কস এবং সাইফাই এ্যাডভেঞ্চারের জগতে বিচরন:

১৯৯৪ সালে স্পিলবার্গ জেফরি ক্যাটজেনবার্গ এবং ডেভিড গ্রিফিন এর সাথে মিলে বিশ্বখ্যাত ‘ড্রিমওয়ার্কস এস কে জি’ স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন। স্টুডিওটি ২০০৫ সালে আরেক বিশ্বখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্ট পিকচারস এর কাছে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়।

২০০১ সালে স্পিলবার্গ স্ট্যানলি কুবরিকের শুরু করা ‘এ আই: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ প্রকল্পটি শেষ করেন। পরের সিনেমাটি ছিল একটি সাইফাই এ্যাডভেঞ্চার: ২০০২ সালে নির্মিত ‘মাইনরিটি রিপোর্ট’ এবং ২০০৫ সালে নির্মান করেন অস্কার মনোনীত চলচ্চিত্র ‘মিউনিখ’।

তিনি ক্লিন্ট ইস্টউড পরিচালিত দুইটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমার (‘ফ্ল্যাগর অব আওয়ার ফাদার্স’, ‘লেটারস্ ফ্রম আইও জিমা’) প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন। দু’টি সিনেমাই ২০০৬ সালে মুক্তি পায়।

স্পিলবার্গ চলচ্চিত্র

২০০৮ সালে ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজের এখন পর্যন্ত সর্বশেষ কিস্তি ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স এ্যান্ড দি কিংডম অব ক্রিস্টাল স্কাল’ নির্মানের জন্য আরেকবার হ্যারিসন ফোর্ড ও জর্জ লুকাসের সাথে কাজ করেন।

হার্জের জনপ্রিয় কমিক সিরিজ টিনটিন এর এ্যানিমেশন সিনেমা তৈরীর জন্য ২০১১ সালে আরেকবার পরিচালকের চেয়ারে বসেন স্পিলবার্গ। তবে টিননি খুব বেশি প্রশংসিত না হলেও সেই একই বছরে তাঁর নির্মিত ‘ওয়ার হর্স’ ছয়টি বিভাগে অস্কারের জন্য মনোনয়ন পায়।

war horse movie poster

২০১২ সালের নভেম্বরে স্পিলবার্গ আরো একটি বিশাল প্রকল্প নিয়ে সামনে আসেন। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন কে নিয়ে নির্মিত ‘লিংকন’ সিনেমাটি নিয়ে প্রায় সবারই অনেক উচ্চ প্রত্যাশা ছিল এবং পরিচালক স্পিলবার্গ লিংকনের চরিত্রে ড্যানিয়েল ডি লুইস, তাঁর ছেলে রবার্টের চরিত্রে জোসেফ গর্ডন লেভিট, এবং লিংকনের স্ত্রী মেরি টড লিংকনের চরিত্রে স্যালি ফিল্ড কে সঙ্গে নিয়ে সেই প্রত্যাশার পুরোটা পূরণ করেন। সিনেমাটি অস্কারে মোট বারোটি বিভাগে মনোনয়ন পায় এবং তার মধ্যে দুইটি পুরস্কার জিতে নেয়।

পরিচালনা, প্রযোজনার পাশাপাশি বেশকিছু সফল উদ্যোগের সাথে স্পিলবার্গ নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন। নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে তিনি ‘টেরা নোভা’, ‘স্ম্যাশ’, ‘ফলিং স্কাইস’ এবং ‘এক্সট্যান্ট’ এর মত জনপ্রিয় ও প্রশংসিত কিছু টিভি সিরিজকে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসেন।

২০১৫ সালের আয়ের রেকর্ড ভাঙা ব্লকবাস্টার ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ এর নির্বাহী প্রযোজক হিসেবেও তিনি কাজ করেন। সেই বছরই তাঁর পরিচালনায় বের হয় টম হ্যাংকস অভিনীত কোল্ড ওয়ার এর ঘটনাবলী নিয়ে নির্মিত থ্রিলার ‘ব্রিজ অব স্পাইস’ যা অস্কারের জন্য মনোনীত হয়। টম হ্যাংকস কে নিয়ে এর আগেও তিনি কয়েকটি সফল প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন যার মধ্যে রয়েছে ‘ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান’, ‘দি টার্মিনাল’ এবং ‘সেভিং প্রাইভেট রায়ান’।

২০১৬ সালে রোলাল্ড ধাল এর উপন্যাস অবলম্বনে এ্যানিমেশন সিনেমা ‘বিএফজি’ নির্মানের পর ২০১৭ সালে ‘দি পোস্ট’ এর জন্য তিনি আবার টম হ্যাংকস কে প্রধান চরিত্রের জন্য বেছে নেন।

হ্যাংকস কে পঞ্চম বারের মত নিজের সিনেমায় নেয়ার পাশাপাশি এই সিনেমায় আরেক কিংবদন্তী অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপকে ওয়াশিংটন পোস্ট এর প্রকাশকের চরিত্রে নিয়ে প্রথমবারের মত কাজ করেন। সিনেমার কাহিনীতে দেখা যায় বিশ্বখ্যাত পত্রিকাটির প্রকাশক (স্ট্রিপ) ও সম্পাদক (হ্যাংকস) কিভাবে পেন্টাগনের নথি ফাঁস করার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের প্রশাসনের দুর্নীতির গোপন খবর জনসম্মক্ষে আনার চেষ্টা করেন। এই ছবিটির মাধ্যমে স্পিলবার্গ শ্রেষ্ঠ পরিচাক হিসেবে গোল্ডেন গ্লোবের মনোনয়ন পান।

অনুপ্রেরণা:

সময়ের চলমান প্রেক্ষাপটের সাথে তাল মিলিয়ে ছবি নির্মান ও গল্প নির্বাচন করার প্রতি স্পিলপার্গের একটি বিশেষ ঝোঁক রয়েছে। সেইসাথে প্রশাসনের অস্বচ্ছতা প্রকাশ করার প্রতিও তাঁর আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়

প্রতিটি ছবির পেছনেই দর্শকদের একটি বার্তা দেয়ার একটি প্রবণতা তাঁর সব সময়েই কাজ করে। যেমন তাঁর সর্বশেষ সিনেমা ‘দি পোস্ট’ এ তিনি প্রশাসনের দুর্নীতির পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে একজন নারীর অবস্থাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ।

তাঁর চলচ্চিত্র নির্মানের অনুপ্রেরণার কথা বলতে গিয়ে স্পিলবার্গ বলেন – “যে কোনও সিনেমা বানানোর পেছনে আমার একটি বিশেষ অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়। আমি যখন  (পোস্ট এর) চিত্রনাট্যের প্রথম ড্রাফট পড়া শেষ করি, (আমার মনে হয়েছিল) এটা এমন কিছু যা নির্মানের জন্য আমার পক্ষে দুই-তিন বছর অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আমার মনে হয়েছিল এটি এমন একটি গল্প যা আজই বলা প্রয়োজন।”

অন্যান্য পুরস্কার সম্মাননা:

চলচ্চিত্র জগতে অবদানের জন্য একাধিক অস্কারের পাশাপাশি স্পিলবার্গ তাঁর জীবনে আরও অনেক পুরস্কার সম্মাননা পেয়েছেন।

১৯৮৬ সালে তিনি একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস এ্যান্ড সাইন্স থেকে ‘ইরভিং জি. টালবার্গ মেমোরিয়াল এ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। এছাড়া ২০০৪ সালে তিনি ডিরেক্টর গিল্ডস অব আমেরিকা থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের জন্য ‘ফ্রেঞ্চ লিজিয়ন অব অনার’ লাভ করেন। পরের বছর তিনি সাইন্স ফিকশন হল অব ফেম এর সভ্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০১৫ সালে আমেরিকার সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ এ ভূষিত হন এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।

পারিবারিক জীবন:

স্পিলবার্গ এ পর্যন্ত দুইবার বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী এ্যামি লারভিং এর সাথে তাঁর একটি ছেলে, এবং বর্তমান স্ত্রী আরেক অভিনেত্রী কেট ক্যাপসোর সাথে তাঁর পাঁচ সন্তান রয়েছে।

পরিশিষ্ট:

অসাধারন প্রতিভাবান এই নির্মাতা এত সাফল্যের পরও প্রতিনিয়ত নিজেকে আরও ওপরে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন কাজের প্রতি তাঁর ভালবাসা আর অনুরাগের থেকে। স্পিলবার্গ তাঁর কর্মজীবনে একটি কথাই সবচেয়ে ভালভাবে প্রমান করেছেন, কাজের প্রতি ভালবাসা আর আন্তরিকতা থাকলে সেই কাজ মানুষকে সাফল্য এনে দেবেই

সিনেমাকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালবাসতে পেরেছেন বলেই আজ তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে সফল চলচ্চিত্র পরিচালকদের একজন হতে পেরেছেন। যতদিন বেঁচে থাকবেন, দর্শকদের জন্য আরও ভাল ভাল সিনেমা দিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই তিনি তাঁর জীবনের পূর্ণতা খুঁজে নেবেন।

লেখাটি ভাল লাগলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। লেখাটির বিষয়ে আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান। আপনাদের প্রতিটি মতামতই আমাদের জন্য অমূল্য।

এই ধরনের আরও লেখার জন্য নিয়মিত আমাদের সাথে থাকুন। সাফল্যের পথে লড়াকু সব সময়ে আপনার সাথে আছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন !