আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হন, বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে লিডার হন, তবে সব কঠিন সিদ্ধান্তু আপনাকেই নিতে হবে। এবং এর ফলও আপনাকেই সবচেয়ে বেশি ভোগ করতে হবে।
একটি সঠিক সিদ্ধান্ত যেমন আপনাকে অনেক উঁচুতে উঠিয়ে দিতে পারে। তেমনি একটি ভুল সিদ্ধান্ত আপনার দীর্ঘদিনের অর্জনকে শেষ করে দিতে পারে। কোনও বড় ম্যাচে ব্যর্থ হলে কিন্তু পুরো দলকে বাদ দেয়া হয় না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অধিনায়ককেই দায় মাথা পেতে নিতে হয়।
একজন দলনেতার কিছু সিদ্ধান্ত সবাই একবারে মেনে নেয়। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তও একজন লিডারকে মাঝে মাঝে নিতে হয়, যা কারও পছন্দ হয় না। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই আপাতত আপনাকে সবাই ভুল ভাবলেও দিন শেষে দেখা যায় আপনিই সঠিক। তখন নিন্দুকেরাও আপনাকে বাহবা দিতে থাকবে। কিন্তু সেটাই যদি কোনও ভাবে কাজ না করে – তাহলেই আপনি শেষ। অপমান আর যন্ত্রণার একশেষ।
এসব কারণে লিডারের অবস্থানে থাকাটা সব সময়ে খুব একটা সুখকর নয়।
কিন্তু যাঁরা লিডার বা নেতা হন, তাঁরা অন্যদের চেয়ে চৌকস ও দক্ষ বলেই সেখানে যেতে পারেন। আর তাঁদের মাঝে মাঝে এমন কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় যা অন্যদের চোখে সঠিক নয়, এবং তা মাঝে মাঝে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আর এই কারণেই অনেক লিডারেরই কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। বাইরের চাপ তো আছেই; সেই সাথে ওপরে বলা ব্যাপারগুলোর কারণে, নিজের ভেতরেও চলে দ্বিধাদ্বন্দের লড়াই। কিন্তু নেতৃত্ব দিতে হলে কঠিন সিদ্ধান্ত তো নিতেই হবে। প্রতিষ্ঠানের কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা, ব্যবসায়ের পার্টনারকে বাদ দেয়া, ঝুঁকিপূর্ণ কোনও নতুন ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা – এই সবই কঠিন সিদ্ধান্ত।
এই জন্য মাঝে মাঝে নিজের ওপর কঠোর হওয়ারও প্রয়োজন পড়ে। যা আমরা আগের একটি লেখায় আলোচনা করেছি।
আজ আমরা আলোচনা করব এমন ৬টি উপায় নিয়ে, যেগুলো লিডার হিসেবে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়াকে আপনার জন্য কিছুটা হলেও সহজ করবে।
০১. মস্তিষ্কের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী অংশকে চাঙ্গা রাখুন
আমাদের মস্তিষ্কের প্রতিটি অংশই ২৪ ঘন্টায় একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় কাজ করতে পারে। এই মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে সেই অংশ ক্লান্ত হয়ে যেতে থাকে। এরপর যদি আপনি সেই অংশকে ব্যবহার করতে চান, তবে আপনি চাপ অনুভব করবেন। আপনার ক্লান্তি লাগতে পারে, নার্ভাস লাগতে পারে, কখনওবা শরীরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
আমাদের মাথার সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী অংশটিও এর বাইরে নয়। এখানে আপনাকে একটি তথ্য জানিয়ে রাখা প্রয়োজন:
আপনি কি রঙের পোশাক পরবেন, দুপুরে কি খাবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতে মস্তিষ্ককে যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, টেন্ডার ড্রপ করার কোটেশনে কি পরিমান বাজেট দেবেন – সেই সিদ্ধান্ত নিতেও একই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কাজেই বুঝতেই পারছেন আপনার মস্তিষ্কের খাটনি কিন্তু এসব ‘সাধারন’ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়েও কম হয় না। অন্যদিকে এইসব ‘ছোট’ ‘ছোট’ সিদ্ধান্ত যদি এক করে দেখা যায়, তবে দেখা যাবে বড় বড় সিদ্ধান্তকেও তারা একজোট হয়ে ছাড়িয়ে গেছে।
এই কারণে, আপনাকে ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে, যাতে করে বড় বা কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়ে আপনি কম চাপ অনুভব করেন।
এই সমস্যার সমাধানে কয়েক দিনের ছোট ছোট সিদ্ধান্তগুলো একবারে নিয়ে রাখুন। যাতে প্রতিদিন আপনার মস্তিষ্কের শক্তি এর পেছনে খরচ না হয়। যেমন প্রতিদিন কি পরবেন, এটা নিয়ে প্রতিদিন ভাবনা চিন্তা না করে, সপ্তাহের শেষ দিন আধঘন্টা ব্যয় করে পরের সপ্তাহের কোন দিন কি পরবেন, কোন বেলায় কি খাবেন তা ঠিক করে একটি লিস্ট বানিয়ে রাখুন।
“এসব ছোটখাট ব্যাপারে ভাবার সময় নেই” – বলে অনেকে ব্যাপারটি এড়িয়ে যান। কিন্তু এগুলো আপনার জরুরী কাজ গুলোর কি পরিমান ক্ষতি করছে, তা সত্যিই অবাক করার মত। সাইকোলজিস্টরা একে বলেন “decision fatigue”
এই ছোট ছোট বিষয়গুলোকে আগে সমাধান করে রাখলে, বড় বা কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়ে আপনার মস্তিষ্ক অনেক চাঙ্গা থাকবে। আপনি অনেক কম চাপ অনুভব করে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
০২. নিজেকে “দূরের কেউ” বানিয়ে ফেলুন
নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ে নিজেকে যদি প্রতিষ্ঠান বা দল থেকে দূরের কেউ হিসেবে কল্পনা করা যায়, তবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।
আপনার হয়তো ব্যাপারটি হাস্যকর মনে হচ্ছে, কিন্তু অনেক্ষণ ধরে এক ধ্যানে বসে যদি আপনি ব্যাপারটি ভাবেন, তবে আপনার মস্তিষ্ক সেটি বিশ্বাস করতে শুরু করবে। কারণ, আমাদের মস্তিষ্ক কল্পনা ও বাস্তবের ঘটনায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই কারণেই আমরা সিনেমায় দেখা ঘটনা গুলো বানানো জেনেও হাসি, কাঁদি, রাগ করি, বা দু:খ করি।
আপনি কল্পনা করতে পারেন, এটি আপনার নিজের প্রতিষ্ঠান নয়। এটি আপনার বন্ধুর কোম্পানী, এবং আপনি তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। এই মনোভাবটি নিজের মাঝে এনে তারপর ব্যাপারটিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করুন।
এরপর যখন আপনি আপনার সিদ্ধান্ত জানাবেন, তখনও ভাবুন যে আপনার সামনে বসা মানুষেরা আপনার অপরিচিত। আপনি শুধু আপনার বন্ধুর হয়ে সিদ্ধান্তটি জানাচ্ছেন। – এই পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে, যখন কোম্পানীর ভালোর জন্য আপনি অনেক দিন ধরে কাজ করে আসা কাউকে ছাঁটাই করছেন। এটা অবশ্যই বেশ মানসিক চাপের সৃষ্টি করে। এই চাপ অনেকটাই কমে আসে যখন মস্তিষ্ক মনে করে যে সে আসলে দূরের কাউকে ছাঁটাই করছে। সিদ্ধান্ত নেয়াটাও স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
০৩. কড়া সময়সীমা বেঁধে দিন
উদ্যোক্তা বা যাঁরা নিজের কাজ নিজে করেন, এদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়া বিষয়ে একটি সমস্যা প্রায়ই দেখা যায় – এরা সিদ্ধান্ত নেয়াকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দীর্ঘায়িত করেন। অর্থাৎ কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সময় নেন। একে বলে “Parkinson’s Law” : একটি কাজের জন্য বেশি সময় পেলে মানুষ পুরো সময়টি লাগিয়ে কাজ করতে চায়। এর ফলে প্রায়ই কাজটি শেষ মূহুর্তে গিয়ে ঠেকে।
আপনি যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য নিজেকে এক মাস সময় দেন, তবে পুরো এক মাস লাগিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়াটাই বেশি স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি নিজেকে এক সপ্তাহ বা এক দিন দেন – তবে সেই একই সিদ্ধান্ত আপনি এক সপ্তাহ বা এক দিনের মধ্যেই নিয়ে নেবেন। এটা পরীক্ষিত সত্য।
অন্যদিকে আপনার সামনে যদি কোনও সময়সীমা বা ডেডলাইন না থাকে, তবে আপনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। মাসের পর মাস একটি ছোট্ট ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ফেলে রাখার বহু নজির আছে।
সামনে কঠিন কোনও সিদ্ধান্ত পড়ে থাকলে, এবং তার যদি কোনও সময়সীমা না থাকে – তবে আপনি সময় পার করে নিজের মাঝে একটি শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু আপনি হয়তো বুঝতেও পারবেন না, এটা আপনার স্বাভাবিক কাজের কি পরিমান ক্ষতি করবে। কাজেই সিদ্ধান্ত যত কঠিনই হোক, নিজের সামনে একটি কড়া ডেডলাইন দিন। এরপর সেই সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন। ফেলে রাখার চেয়ে সিদ্ধান্তে আসার এটাই সহজতর উপায়।
০৪. অপশন কমিয়ে ফেলুন
কোনও বিষয়ে চিন্তা করতে গেলে পরস্পর বিরোধী ভাবনা মানুষের মনে এসেই যায়। বাজারে সবজি কিনতে গেলেও দুই দোকান দেখার পর মনে হয় আগের দোকান ভালো ছিল, আবার আগের দোকানে গেলে মনে হয় পরের দোকানের সবজি ভালো ছিল।
এটা মানব মনের খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু আপনি যখন নেতা হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়ে এই অবস্থায় পড়বেন – তখন আপনার ওপর দারুন চাপ সৃষ্টি হবে।
এই চাপ কমাতে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে চিন্তা করার পর যতগুলো অপশন বা বিকল্প আপনার মাথায় আসে সেগুলোর থেকে একটি বেছে নিন। দীর্ঘ সময় চিন্তা করার ফলে অনেক বিকল্পই আপনার মাথায় আসবে। কিন্তু অতিরিক্ত সময় চিন্তা করলে একই অপশন ভিন্ন রূপে বার বার ঘুরে ফিরে আসতে থাকে। আর আপনিও সেই ঘোরে বন্ধী হয়ে যান।
এই জন্য কতক্ষণ এবং কখন চিন্তা করবেন, তা নির্ধারণ করে নিন। এই সময়ের মধ্যে আপনার মনে যে অপশন গুলো আসবে, সেগুলো লিখে ফেলুন বা মনে রাখুন। এরপর সেগুলোর মাঝ থেকেই একটি বেছে নিন। সাধারনত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে, এক দিন কোনও জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তা করলে একজন মানুষের মনে যতগুলো বিকল্প আসা সম্ভব – সবগুলোই এসে যায়। খুব বেশি বিকল্প নিয়ে চিন্তা করতে গেলে সিদ্ধান্ত নেয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে। কাজেই, যখন দেখবেন একই বিকল্প একটু ভিন্ন ভাবে মাথায় আসছে – সেগুলোকে আর পাত্তা দেবেন না। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন।
০৫. অঙ্কের হিসাবে নিয়ে আসুন
বিশেষ করে আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন, তবে আপনার জন্য এটা সবচেয়ে কাজের।
কাজের ক্ষেত্রে আবেগ দিয়ে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো বেশিরভাগ সময়েই ভুল হয়। আবেগ দিয়ে চিন্তা না করে, সাধারন অঙ্কের মত করে হিসাব করুন। আপনার কোনও কর্মী যদি কোম্পানীর জন্য তাকে দেয়া বেতনের চেয়ে বেশি লাভ আনতে না পারে অথবা সামনেও যদি সেই সম্ভাবনা দেখা না যায়, তবে তাকে রাখার কোনও মানে হয় না।
আবার ধরুন, নতুন কর্মী নেয়ার সময়ে দুইজন দক্ষ কর্মীর মাঝে আপনার সিদ্ধান্ত আটকে গেছে। এখানেও অঙ্কের হিসাব নিয়ে আসুন। কার কয় বছরের অভিজ্ঞতা দেখুন। কে কতগুলো জায়গায় কতদিন ধরে কাজ করেছে – হিসাব করুন। কে কাজের কথা বেশি বলেছে আর কে কাজের বাইরের কথা বেশি বলেছে – মিলিয়ে দেখুন। সবকিছু একটি ছকে ফেলে দেখার চেষ্টা করুন – তাহলেই আপনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে যাবে।
০৬. দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও চিন্তার দিকে বেশি ফোকাস রাখুন
একটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত যত খারাপ ফলাফলই বয়ে আনুক না কেন, সর্বোচ্চ ২ বছরের মধ্যে সেখান থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব। যদি এরপর ঠিকমত কাজ করা যায়। আপনি যত বড় ভুল সিদ্ধান্তই নেন না কেন, তার ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক প্রভাব আপনি ৫ বছরের মধ্যে পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
আর একারণে Entrepreneur ম্যাগাজিনের পরামর্শ, আপনার ব্যবসা নিয়ে আপনি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রাখুন। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাকে এরপর ছোট ছোট পরিকল্পনায় ভাগ করুন। এরপর এক এক করে সেগুলো বাস্তবায়ন করুন। এতে আপনাকে ছোট ছোট ব্যাপার নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়তো নিয়মিত নিতে হবে – কিন্তু উদ্দেশ্য থাকবে এগুলোর মাধ্যমে মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।
ছোট ছোট পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তাতে মূল পরিকল্পনার খুব একটা ক্ষতি হবে না। কোনও ভুল হলে সেটাকে আপনি আবার শুধরে নিয়ে মূল পরিকল্পনার দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।
আর এই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় লাভ যেটা হবে, তা হল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার ওপর থেকে চাপ অনেক কমে যাবে। আপনার মাথায় থাকবে যে ছোট ভাগ গুলোতে ভুল হলেও তা আপনার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাকে নষ্ট করতে পারবে না।
পরিশিষ্ট
কোনও একটি টিম বা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের পর্যায়ে থাকাটা যেমন উপভোগ্য, তেমনি চ্যালেঞ্জিং। চাপ এখানে নিত্য সঙ্গী। কিন্তু এই চাপ সামলে যাঁরা সঠিক ভাবে নেতৃত্ব দিতে পারেন, তাঁরাই সফল নেতা হন।
আমরা আশা করব, নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে এই লেখাটি একটু হলেও আপনার কাজে আসবে। লেখাটির বিষয়ে যে কোনও মতামত আমাদের কমেন্টে জানান। আপনার কাছে কোনও আইডিয়া থাকলে সেটাও কমেন্টে লিখুন – এতে লেখাটি আরও সমৃদ্ধ হবে। আমাদের সাথে থাকুন। সাফল্যের পথে প্রতিটি পর্যায়ে লড়াকু আপনার সাথে আছে।