যে ছয়টি কারনে বেশি বেশি বই পড়া উচিৎ।


যে ছয়টি কারনে বেশি বেশি বই পড়া উচিৎ।

বই পড়ার শখ বা অভ্যাস কেন অত্যন্ত ভাল তা এই লেখায় বর্ননা করা হয়েছে।

ধরুন আপনি বেশ একটা ছুটি পেয়েছেন, ছুটির এই অবসর সময়টুকু সঠিক কাজে লাগতে চাচ্ছেন, যেন সময়টাও ভাল কাটে আবার ‍কিছুটা জ্ঞানও অর্জন করা যায়। এ রকাম ভেবে থাকলে নিশ্চিন্তে একটি ভাল বই পড়া শুরু করে দিন। কথা দিচ্ছি আপনার অবসর সময়টুকু মনের মতো কাটবে। এই সময়টাতে আপনি আপনার পছন্দের যে কোন বই পড়তে পারেন। বই পড়ার ফলে শুধু আনন্দদায়ক এবং গঠনমূলক ভাবে সময়তো যাবেই। সাথে আরও ছয়টি বিষয় আছে যা মানুষিক এবং বুদ্ধিভিত্তিক উৎকর্ষন সাধনে সহায়ক হবে।

১. আপনাকে মিশুক করে তুলবে (আপনাকে কার্যকরী যোগাযোগ রক্ষা কারী হতে সহায়তা করবে)

বই পড়লে আপনার যোগাযোগের ক্ষমতা খুব ভাল ভাবে বেড়ে যাবে। বলার অপেক্ষা রাখেনা ভাল যোগাযোগের ক্ষমতা আপনার কর্মস্থলে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে। যা আপনার সফল্যের সম্ভাবনা বহুগুনে বৃদ্ধি করবে। যত বেশি পড়বেন তত বেশি আপনার শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হবে, আপনি সহজে চমৎকার ভাবে আপনার চিন্তা ভাবানা তুলে উপস্থাপন করতে পারবেন। একই সাথে আপনার লেখা অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে। যা আপনার সফল্যের জন্য খুবই সহায়ক হবে।

 

২. সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করবে

বই পড়া আপনার চিন্তা এবং কল্পনার সীমাবদ্ধতা দূর করতে সহায়তা করবে। বেশি বেশি বই পড়লে চিন্তা-ভাবনা উন্মুক্ত হতে থাকে, চিন্তা শক্তিকে আরও বেশি সৃষ্টিশীল এবং খুরধার করে তুলবে। এক কথায় ভাবনার মুক্তি ঘটবে গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ভাবনা রসদ যোগায়।

কথা সর্বজন স্বীকৃত যে সৃষ্টিশীলতা, নতুনত্ব এবং গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে ভাবতে পারলে জীবন এবং কর্মস্থল দুই জায়গায়ই সাফল্য পাওয়া সম্ভব।

 

৩.বই পড়লে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়

বই পড়ার  আরেকটি বিশেষ গুন স্মৃতিশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। সাধারনত আমারা যখন কোন বই পড়ি, তখন আমাদের সাথে বইয়ের বিভিন্ন চিরিত্র, দৃশ্য, প্রেক্ষাপট, ইতিহাসের সাথে পরিচয় ঘটে। বইয়ের এ সমস্ত চরিত্র,ঘটনা, পটভূমি, ইতিহাস আমাদের বাস্তব সমাজের থেকেই উঠে আসে। তাই বই পড়ে যখন আমারা বাস্তবে একই রকমের পরিস্থির মুখোমুখি হই, তখন আমাদের জন্য ঘটনাক্রম মনে রাখা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা সহজ হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে  আমরা যে কোন কিছু  অনেক সহজেই মনে রাখতে পারি।

 

৪. আপনাকে বুদ্ধিমান করে তুলবে

বই সব সময় জ্ঞান বৃদ্ধি করে, ধ্রুব সত্য হচ্ছে যার যত বেশি জ্ঞান তার তত বেশি বুদ্ধি। বই পড়ার ফলে আপনি বিভিন্ন রকমের মানুষ এবং চরিত্র সম্পর্কে জানতে পারবেন, এবং একই সাথে তাদের চিন্তার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

সফল এবং সুখী জীবনযাপন করার জন্য বু্দ্ধিমত্তার কোন বিকল্প নেই। তবে একট বিষয় বই পড়ে সর্বচ্চ লাভবান হতে হলে অবশ্যই ভাল বই পড়তে হবে। যেমন বিখ্যাত ব্যাক্তিদের জীবনি, অনুপ্রেরণা মূলক বই ইত্যাদি।

 

৫. মনোযোগ বৃদ্ধি করে

কিছু সময় আমারা কর্মস্থলে খুববেশি মনোযোগ দিতে পারিনা বিভিন্ন রকমের ঝামেলার জন্য। যা আমাদের কর্ম বা চাকরীর জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে মনোনিবেশ করাও সহজ হয় যায়। হ্যা আমারা যখন বই পড়ি তখন জাগতিক সমস্ত বিষয়ের থেকে আলাদ হয়ে সম্পর্ন মনোযোগ বই এর গল্পের দিকে দিয়ে থাকি। অথবা গল্প আমাদের মনোযোগ নিয়ে থাকে, যা খুবেই ভাল একটা অভ্যাস নিজের ভেতরে থাকর জন্য। এ কারনেই বই  বই পড়ার চর্চা নিরবিচ্ছিন্ন মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

 

৬. মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে

বর্তমান সময়ে প্রায় সবারই মানুষিক চাপ বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে বই মানুষিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। বই পড়ার মাধ্যমে কিছু ইতিবাচক এবং সৃজনশীল চিন্তা পাওয়া যায় । যা মানুষিক যন্ত্রনা কমাতে সহায়তা করে। হ্যাঁ  বই পড়তে পড়তে যখণ আপনি বই এর একটি প্রেক্ষাপটের ভেতরে ঢুকে যাবেন, তখন আপনার খারাপ পরিস্থিতির কথা ভুলে যাবেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই মানুষিক চাপ কমে আসবে।

 

বই পড়ার আরও অসংখ্য উপকারিতা আছে, যেগুলো বই পড়া শুরু করলে নিজেই বুঝতে পারবেন। এর আগে যদি আপনার বই পড়ার অভ্যাস না থেকে থাকে, তাহলে এখনই সঠিক সময় বই পড়া শুরু করুন। আর জীবনে সুখী এবং সাফল্য মন্ডিত করুন।

 

পোস্টটি শেয়ার করুন !