কঠোর পরিশ্রম দিয়ে আপনি এমন অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারবেন – যা হয়তো আপনি নিজেও আশা করেননি। আপনি হয়তো কখনওই সবচেয়ে মেধাবী বা প্রতিভাবান হতে পারবেন না। কিন্তু আপনি চাইলেই সবচেয়ে পরিশ্রমী হতে পারবেন। এবং সেই পরিশ্রম দিয়েই নিজের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিভাবান, মেধাবী, ও সুযোগ প্রাপ্ত মানুষকে পেছনে ফেলে সেরাদের সেরা হয়ে উঠতে পারবেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্যগুলোর একটি হল, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। আপনি যদি সঠিক পথে ধারাবাহিক ভাবে পরিশ্রম করে যেতে পারেন – তবে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।
কিন্তু এসব জানার পরও অনেকে পরিশ্রম করতে চেয়েও তা করতে পারে না। কঠোর পরিশ্রমের ক্ষেত্রে শারীরিক শক্তিই একমাত্র শক্তি নয়। আপনি যতই শক্তিশালী হন না কেন – সেই শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারলে আপনি সত্যিকার কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন না। কঠোর পরিশ্রম করতে পারার জন্য শারীরিক শক্তির পাশাপাশি কিছু মানসিক বিষয়ও জড়িত। সেইসাথে জড়িত বেশকিছু নিয়ম ও শৃঙ্খলা।
আজ আপনাকে সেইসব নিয়ম-শৃঙ্খলা আর মানসিক ব্যাপার বলব – যেগুলো জানলে আপনাকে আর কঠোর পরিশ্রম করার উপায় ভেবে সময় নষ্ট করতে হবে না। কঠোর পরিশ্রম করার উপায় হিসেবে এই ৮টি বিষয়ই আপনার দারুন কাজে আসতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।
কঠোর পরিশ্রম করার ৮ উপায়:
০১. বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট কাজে ভাগ করুন
আপনি যখন খুব বড় কোনও কাজ করবেন – তখন আপনার মস্তিষ্কে এমনিতেই চাপ পড়ে। আমাদের মস্তিষ্কের একটি মজার দিক হল, এটি সব সময়ে আপনাকে কঠিন কাজ করা থেকে রক্ষা করতে চায়। সে যদি দেখে যে আপনার সামনে বিশাল একটি কাজ – তাহলে সে আপনাকে বার বার মেসেজ পাঠাবে যে, আপনার এখন বিশ্রাম নেয়া উচিৎ। আপনি না চাইলেও কিছুটা কাজ করার পরই আপনার একটু বিশ্রাম নিতে ইচ্ছা করবে। এর কারণ আপনার মস্তিষ্ক চাইছে – আপনি যেন কাজ থেকে দূরে চলে যান। মস্তিষ্কের এই বৈশিষ্টের কারণে আমরা অনেক সময়েই ইচ্ছা থাকার পরও কঠোর পরিশ্রম করতে পারি না।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি একটি বড় কাজকে ছোট ছোট কাজে ভাগ করতে পারেন। আমাদের মস্তিষ্ক কল্পনা ও বাস্তবে মোটামুটি ভাবে একই প্রতিক্রিয়া দেখায়। যার কারণে আমরা অনেক সময়ে হাসির বিষয় কল্পনা করে হেসে ফেলি, বা দু:খের স্মৃতি মনে হলে মন খারাপ করে ফেলি। এই ট্রিকটি আপনি কঠোর পরিশ্রম করার উপায় হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার হাতে যখন কোনও বড় প্রজেক্ট থাকবে – তখন আপনি তাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে ফেলবেন। এবং সেই ছোট অংশগুলো পূর্ণ মনযোগের সাথে করবেন। ধরুন, আপনাকে ৩০ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট লেখার দায়িত্ব দেয়া হল। আপনি ৩০ পৃষ্ঠার কথা না ভেবে, ভাবুন প্রথম ১০ পৃষ্ঠায় আপনি কি লিখবেন? – ৩০ পৃষ্ঠা নিয়ে একবারে চিন্তা করতে গেলে মস্তিষ্ক আপনাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে চাইবে। তাই প্রথমে ১০ পৃষ্ঠায় কি কি বিষয় লিখবেন – সেটা নিয়ে চিন্তা করুন – এবং প্রথমে শুধু তা নিয়েই কাজ করুন। এটা শেষ হলে পরের ১০ পৃষ্ঠা নিয়ে চিন্তা করুন। এভাবে করলে দেখবেন, যে কাজ করতে গেলে আপনার ৩ ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হত – সেই কাজই আপনি ১ ঘন্টা বিশ্রাম নিয়েই শেষ করে ফেলেছেন।
একটু মাথা খাটালে যে কোনও কাজকেই আপনি ছোট ছোট কাজে ভাগ করে নিতে পারবেন। এতে যেমন দ্রুত কাজ করার উপায় খুঁজে পাবেন, তেমনি আপনার পরিশ্রম করার ক্ষমতাও বেড়ে যাবে।
০২. একটি কাজে ফোকাস করুন/মাল্টি টাস্কিং বাদ দিন
অনেকেই মনে করেন, যে মাল্টি টাস্কিং বা এক সময়ে একাধিক কাজ করা একটি ভালো গুন। মাঝে মাঝে প্রয়োজনে এটা করা যেতে পারে – কিন্তু আপনি যদি সব সময়েই একসাথে একাধিক কাজ করেন, তবে আপনার মাঝে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, একই সময়ে একটির বেশি কাজে ফোকাস করলে মস্তিষ্ক কোনও কাজেই ঠিকমত ফোকাস করে না। সেইসাথে শরীরেও দ্রুত ক্লান্তি চলে আসে।
সব সময়ে চেষ্টা করুন এক সময়ে মাত্র একটি কাজে ফোকাস করার। যদি হাতে একটির বেশি জরুরী কাজ থাকে, তবে একটি শেষ করে আরেকটি ধরুন। এর ফলে আপনি ক্লান্ত না হয়ে আরও দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারবেন।
কাজের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া চেক করা ও চ্যাট করা থেকে বিরত থাকুন। কাজের সাথে সম্পর্কিত না হলে – ফোনেও কথা বলবেন না। কাজের মাঝে এগুলো করাও মাল্টি টাস্কিং এর পর্যায়ে পড়ে – যা আপনাকে দ্রুত ক্লান্ত করে ফেলে। কাজেই দীর্ঘ সময় কঠোর পরিশ্রম করার জন্য, এক সময়ে মাত্র একটি কাজেই মনোযোগ দিন।
০৩. সঠিক ভাবে খাওয়াদাওয়া করুন
কঠোর পরিশ্রম করার জন্য অবশ্যই শরীরকে চাঙ্গা রাখা জরুরী। এমন অনেক খাবার আছে – যা খেতে ভালো হলেও মানুষকে অলস করে ফেলে। রিচ ফুড – যেমন, পোলাও, মাংস, বেশি তেল দেয়া খাবার – ইত্যাদি শরীরে চর্বি জমায়। এর ফলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে – এবং আপনি অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। এই খাবারগুলো এবং ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় থাইরয়েড হরমোনের সঠিক নিঃসরণে বাধা দেয়। থাইরয়েড হরমোন সঠিক ভাবে নি:সরণ না হলে আমরা অল্প কাজ করেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি। শরীরের জয়েন্টগুলো সব সময়ে ম্যাজম্যাজ করে, মেমোরি ঠিকমত কাজ করতে চায় না। এর ফলে আপনি চাইলেও দীর্ঘ সময় ধরে পরিশ্রম করতে পারবেন না। কাজেই, একান্ত বাধ্য না হলে এই খাবারগুলো না খাওয়ার চেষ্টা করুন। আমিষ ও প্রয়োজনীয় চর্বির জন্য মাংসের বদলে ডিম ও মাছ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপির মত সব্জি কম খেয়ে, মিষ্টি কুমড়া, সবুজ শাক, ফল জাতীয় সব্জি – যেমন, পটল, বরবটি – ইত্যাদি বেশি করে খান।
রিচ ফুড ও ফাস্ট ফুড খাবার বাইরেও আরও কিছু বিষয় মেনে চলা উচিৎ। সকালের নাস্তা করাটা সারাদিন চাঙ্গা থেকে কাজ করার জন্য খুব জরুরী।
অনেকেই এনার্জির জন্য প্রচুর পরিমান চা-কফি খান। অল্প সময়ের জন্য এটা চাঙ্গা করলেও, দীর্ঘ মেয়াদে এগুলোর খারাপ প্রভাব পড়ে আপনার কাজ করার ক্ষমতার ওপর। কাজেই চা-কফি খাওয়া কমিয়ে দিন। প্রচুর পানি পান করার পাশাপাশি গ্রীণ টি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
০৪. একটানা অনেক্ষণ কাজ করবেন না
‘বোর হওয়া’ বা ‘একঘেয়ে লাগা’ কথাটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। অনেক্ষণ ধরে একটি জিনিসে মনযোগ দিলে মনযোগ নষ্ট হয়ে যায়। মানুষের মস্তিষ্ক বা মন এমন একটি জিনিস – যা একঘেয়েমি সহ্য করতে পারে না। একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর তার সামনে কিছু পরিবর্তন ঘটতে হয়। যদি তা না ঘটে, তখন সে নিজের কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে সেই পরিবর্তন ঘটায়, অথবা ঘুমিয়ে পড়তে চায়। এই কারণে আমরা কাজের মাঝে অনেক সময়ে কল্পনায় হারিয়ে যাই, বা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বাধা।
ইংরেজীতে “Attention Span” বলে একটা কথা আছে। সোজা বাংলায় এর মানে হল, একটানা মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, বেশিরভাগ মানুষই একটানা বেশিক্ষণ একদিকে মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করার জন্য মনোযোগ ধরে রাখাটা জরুরী। আরও একটা ব্যাপার, একটানা অনেক্ষণ বসে কাজ বা পড়াশুনা করলে, শরীরও দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাহলে উপায় কি?
উপায় হল, নির্দিষ্ট সময় পর পর অল্প সময়ের ব্রেক নিয়ে আবার কাজ করা। সাধারণত মানুষ ৩০ মিনিট বা আধা ঘন্টা একটানা কোনও বিষয়ে মনোযোগ ধরে রাখতে পারে। এরপরই একটু একটু করে মনোযোগ সরে যেতে থাকে।
আপনি যদি প্রতি আধা ঘন্টা পরপর ৫/৭ মিনিটের জন্য একটু হাঁটাহাঁটি করেন, বা চোখ বন্ধ করে থেকে আবার কাজে বসেন – তবে আপনি আবার প্রথম বারের মত গভীর মনোযোগ দিতে পারবেন। এটা একদম পরিক্ষিত কৌশল। পৃথিবীর অনেক বড় বড় স্কলার ও কর্মী এই পদ্ধতি ব্যবহার করে, অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি পরিমানে পরিশ্রম করে থাকেন। আপনি চাইলে পমোডরো টেকনিক এর মত টেকনিকও এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন।
০৫. বিশ্রাম ও ঘুমকে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিন
অনেকেই নিজেকে পরিশ্রমী বানানোর জন্য বিশ্রাম ও ঘুমকে গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু এটা দীর্ঘ মেয়াদে আপনার পরিশ্রম করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়।
পুরো এনার্জিতে সারাদিন পরিশ্রম করার জন্য রাতে ঠিকমত ঘুমানোর কোনও বিকল্প নেই। ঠিকমত না ঘুমিয়ে যদি আপনি টানা অনেকদিন পরিশ্রম করেন – তবে এরপর আরও অনেকদিন পরিশ্রম করতে পারবেন না। কারণ, সময়মত বিশ্রাম না নিয়ে যখন আপনি শরীরের ওপর বাড়তি চাপ দেবেন, শরীর তার জমানো অতিরিক্ত শক্তিকে তখন সেই চাপ সামলানোর কাজে লাগাবে।
এভাবে কিছুদিন চললে শরীর তার স্বাভাবিক শক্তি হারিয়ে ফেলবে, এবং সেই শক্তি উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি আর কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন না। ফলে, দীর্ঘদিনের জন্য আপনি পরিশ্রম করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন।
কাজেই, দিনের কাজের শেষে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের রাতে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। তা না পারলেও অন্তত ৬ ঘন্টা ঘুমাতেই হবে। আর অবশ্যই চেষ্টা করবেন ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার এবং ৭টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠার। পৃথিবীর বেশিরভাগ সফল মানুষের সাফল্যের একটি প্রধান সূত্রই হল, সকাল সকাল ঘুমিয়ে সকাল সকাল ওঠা। এই অভ্যাস না করতে পারলে কাজের সময়ে শরীর ও মস্তিষ্ককে পূর্ণ মাত্রায় খাটাতে পারবেন না। অথবা কিছুদিন বেশি পরিশ্রম করার পর আর পরিশ্রমই করতে পারবেন না।
০৬. পরিশ্রম শেষের ফলাফল ভেবে কাজ করুন
টমাস আলভা এডিসন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, জ্যাক মা – এর মত জিনিয়াস মানুষরা জীবনে অনেক কিছু অর্জন করার পাশাপাশি পৃথিবীকেও অনেক কিছু দিয়েছেন।
তাঁদের অর্জন দেখে ঈর্ষা হতেই পারে। কিন্তু তাঁরা এসব বিশাল অর্জন করার পথে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কাজ করতে আর ভালো না লাগলেও কাজ করেছেন।
আপনি কি মনে করেন, বড় অর্জনের পথে সব কাজই মজার ও উপভোগ্য? –মোটেই তা নয়। আসলে কঠোর পরিশ্রম যাঁরা করেন – তাঁরা সব সময়ে পরিশ্রমের ফলাফলের দিকে চোখ রাখেন। তাঁরা মাথায় রাখেন, আজ কষ্ট করলে কাল সুখে থাকা যাবে।
যে ছাত্রটি বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা খেলা বাদ দিয়ে দিন-রাত বই নিয়ে পড়ে থাকে, আপনি কি মনে করেন, তার খেলতে বা আড্ডা দিতে ইচ্ছে হয় না? – অবশ্যই হয়। কিন্তু তার মাথায় এই কথাও থাকে যে, এই কষ্ট করে পড়াশুনা করা একদিন তাকে অন্য সবার চেয়ে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে।
আপনি যেটাই অর্জন করতে চান, তার পেছনে কঠোর পরিশ্রম করতে হলে সব সময়ে আপনাকে পরিশ্রমের দারুন ফলাফলটির কথা মনে রাখতে হবে। যখনই মনে হবে, আর পারছেন না – তখনই কি কারণে এত পরিশ্রম করছেন – তা মনে করুন। দেখবেন নিজের ভেতরে আবারও পরিশ্রম করার উদ্দীপনা পাচ্ছেন।
০৭. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
দীর্ঘ সময় কঠোর পরিশ্রমের শক্তি ধরে রাখতে ফিট থাকার কোনও বিকল্প নেই। আর ফিট থাকতে হলে নিয়মিত শরীরচর্চা অবশ্যই করতে হবে।
বেস্ট সেলিং লেখক হ্যাল ইলরোড তাঁর “মিরাকেল মর্নিং” বইয়ে লিখেছেন যে, প্রতিদিন সকালে কিছুটা সময় ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলে সারাদিনে ক্লান্তি সহজে আপনাকে কাবু করতে পারবে না।
দিনের শুরুতে যদি মাত্র ১০ মিনিট এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কিছু হাল্কা এক্সারসাইজ করেন, তবে সারাদিন আপনার শরীর অনেক বেশি চাঙ্গা থাকবে – এবং আপনি অনেক বেশি পরিমানে পরিশ্রম করতে পারবেন।
০৮. পরিশ্রমী মানুষদের সাথে চলার চেষ্টা করুন
আমাদের পরিচিত মানুষদের মধ্যে অনেক ধরনের মানুষ দেখা যায়। কিছু মানুষ অলস, কিছু মানুষ পরিশ্রমী। আপনার পরিচিত গন্ডির মধ্যে কোন মানুষগুলো সবচেয়ে পরিশ্রমী – তা ভেবে বের করুন। এবং সেই মানুষগুলোর সাথে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা বেশিরভাগ সময়ে যে ধরনের মানুষের সাথে চলি, নিজেরাও অনেকটা তাদের মত হয়ে উঠি। কাজেই, আপনি যদি বেশিরভাগ সময়ে পরিশ্রমী মানুষের সাথে থাকেন, তবে আপনার নিজের মাঝেও পরিশ্রম করার ইচ্ছা আর অভ্যাস সৃষ্টি হবে।
পরিশিষ্ট:
প্রতিটি মানুষেই আসলে কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা আছে। কিছু অতি সাধারণ উপায় অবলম্বন করেই সেই ক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়। আর সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারলে যে কোনও সাধারণ মানুষই অসাধারণ মানুষ হয়ে যেতে পারে।
সেই অসাধারণ মানুষ হওয়ার পথে আপনাকে একটু সাহায্য করতেই এই লেখা। কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পথে যদি এই লেখা আপনাকে একটু হলেও সাহায্য করে – তবেই আমাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে।
আমরা আপনাকে কতটা সাহায্য করতে পেরেছি, তা আমাদের কমেন্ট করে জানান। আপনার প্রতিটি মতামতই আমাদের কাছে অমূল্য।
আপনার নিজের যদি এমন কোনও ফর্মূলা জানা থাকে, তবে আপনিও লড়াকুর জন্য লিখতে পারেন। মোটিভেশনাল ও সেলফ ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরির যে কোনও ভালো লেখা আমরা আপনার নাম সহ লড়াকুতে প্রকাশ করব। আপনার লেখা ইমেইল করুন এই এ্যাড্রেসে: Write@test.edaning.com.
আর সব শেষে, যদি মনে হয় এই লেখাটি পড়ে অন্যরাও উপকৃত হবেন, তবে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।
এই ধরনের আরও লেখার জন্য নিয়মিত আমাদের সাথে থাকুন। সাফল্যের পথে লড়াকু সব সময়ে আপনার সাথে আছে।