বিশেষজ্ঞ কারা? – এই প্রশ্নের উত্তরে সাধারণ ভাবে বলা যায়, এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞ বলতে আমরা বুঝি, কোনও বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা। কিন্তু বিশেষজ্ঞ এরচেয়েও বেশি কিছু। এই লেখায় আপনি জানতে পারবেন, সত্যিকার বিশেষজ্ঞ কারা, এবং কিভাবে কোনও বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হওয়া যায়:
সত্যিকার বিশেষজ্ঞ কারা?
কোনও বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে গেলে সেই বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও দক্ষতা থাকাটা অবশ্যই জরুরী। কিন্তু এগুলো আসলে বিশেষজ্ঞ হওয়ার অনেকগুলো শর্তের মাঝে দু’টি শর্ত। আরও যে শর্ত গুলো আছে, চলুন, সেগুলো একে একে জেনে নিই:
## সমস্যা সমাধানে দক্ষতা:
কোনও বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা থাকলেই তাকে বিশেষজ্ঞ বলা যায় না। এই দু’টি গুণের পাশাপাশি একজন বিশেষজ্ঞকে একজন ‘Top-Level Problem solver’ বা প্রথম শ্রেণীর সমস্যা সমাধানকারী হতে হয়। একদম নতুন কোনও সমস্যা, যা সেই সেক্টরে আগে কখনও দেখা যায়নি, একজন সত্যিকার বিশেষজ্ঞ সেই সমস্যায়ও বিচলিত না হয়ে তার সমাধান বের করে ফেলতে পারেন।
বহু “নকল” বিশেষজ্ঞ পাওয়া যাবে, যারা কোনও একটি বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান রাখেন, কাজও খুব ভালো পারেন – কিন্তু নতুন কোনও সমস্যার সামনে পড়লেই তাঁরা ঘাবড়ে যান। এরা এখনও বিশেষজ্ঞ হতে পারেনি, এদের বড়জোর ‘দক্ষ শিক্ষানবিশ’ অথবা ‘উপযুক্ত কর্মী’ বলা যায়। এগুলো নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করব।
## কৌতুহল:
একজন বিশেষজ্ঞের সবচেয়ে বড় একটি গুণ, তিনি কখনওই নিজেকে সবজান্তা মনে করেন না। পৃথিবীর কোনও বিষয়েই জানার কোনও শেষ নেই। একজন সত্যিকার বিশেষজ্ঞ সব সময়েই শেখার জন্য আগ্রহী থাকেন। যে বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞ, সব সময়ে তিনি সেই বিষয় সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে চান। এভাবেই তিনি সেই বিষয়ের খুঁটিনাটি সম্পর্কে আপডেট থাকেন। এবং যে কোনও সমস্যার কার্যকর সমাধান দিতে পারেন।
## পরীক্ষা নীরিক্ষা:
একজন বিশেষজ্ঞ তার নিজস্ব বিষয়ে সব সময়েই নতুন কিছু আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। বিভিন্ন প্রশ্ন ও সমস্যা খুঁজে বের করে সেগুলো নিয়ে গবেষণা ও পরীক্ষা নীরিক্ষা করেন। বারবার ব্যর্থ হয়েও তিনি দমে না গিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যান। কার্যকর সমাধান খুঁজে পেলেই তিনি থামেন। নিজের ক্ষেত্রে অবদান না রাখতে পারলে একজন মানুষকে কখনওই বিশেষজ্ঞ বলা যাবে না।
## অন্যদের শেখানোর আগ্রহ:
এমন অনেক ‘বিশেষজ্ঞ’ দেখা যায়, যারা নিজেদের দক্ষতা আর জ্ঞানকে গুপ্তধনের মত আগলে রাখেন। তাদের কাছে কিছু জানতে চাইলে এমন ভাব করেন, যেন অন্যদের শেখালে সর্বনাশ হয়ে যাবে। এই ধরনের মানুষদের কখনওই বিশেষজ্ঞ বলা যাবে না। একজন সত্যিকার বিশেষজ্ঞ সব সময়েই অন্যদের শেখাতে আগ্রহী হবেন। অন্যকে নিজের জ্ঞানের অংশীদার করা প্রত্যেক সত্যিকার বিশেষজ্ঞের প্যাশন।
## নিজের বিষয়ে অন্যদের বোঝানোর ক্ষমতা:
অনেকেই আছেন, কোনও একটি বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান ও দক্ষতা রাখেন, কিন্তু তাদের নিজেদের সেক্টরের বাইরের মানুষকে নিজের বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে পারেন না। এদেরকে কোনওভাবেই বিশেষজ্ঞ বলা যাবে না।
সত্যিকার বিশেষজ্ঞরা খুব সুন্দর ভাবে নিজেদের বিষয়ে অন্যদের বোঝাতে পারেন। তাঁরা একজন লেখাপড়া না জানা মানুষকেও নিজেদের কাজের ক্ষেত্রের বেসিক বিষয়গুলো সহজে বোঝাতে পারেন। এই বোঝাতে পারার ক্ষমতার কারণেই আসলে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে কাজ করতে পারেন।
————
আমরা অনেক সময়েই একজন মানুষ সত্যিকার বিশেষজ্ঞ না হলেও, তাকে বিশেষজ্ঞ ভেবে বসি। আগেই বলেছি, কোনও বিষয়ে জ্ঞান আর দক্ষতা থাকলেই তাকে বিশেষজ্ঞ বলা যায় না।
যে কোনও বিষয়ে ৫ ধরনের মানুষ কাজ করেন। কোনও বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আসলে সেই বিষয়ে ৫ম বা সর্বোচ্চ ধাপের মানুষ। এর বাইরে আরও ৪টি ধাপ রয়েছে, যেগুলোর কোনও কোনওটিতে অবস্থানরত মানুষকে বিশেষজ্ঞ বলে ভুল হয়।
৫টি ধাপ যথাক্রমে: ১. শিক্ষানবিশ, ২. দক্ষ শিক্ষানবিশ, ৩. উপযুক্ত কর্মী , ৪. দক্ষ বা পেশাদার, ৫. বিশেষজ্ঞ
সব বিশেষজ্ঞকেই ৪টি ধাপ পার করতে হয়। সত্যিকার বিশেষজ্ঞ হওয়া ও চিনে নেয়ার জন্য এই ৫টি ধাপ সম্পর্কে জানা জরুরী। নিচের ইনফোগ্রাফিক চিত্রটিতে এই ৫টি ধাপ দেয়া আছে।
আশা করি বিশেষজ্ঞ হওয়ার ধাপগুলো বুঝতে এই চিত্রটি আপনাকে সাহায্য করবে:
[ছবিটি চাইলে ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। বিশেষজ্ঞ হওয়ার পথে আপনি কোন পর্যায়ে আছেন, এই ছবি থেকে একটি ধারণা পাবেন]
বিশেষজ্ঞ হওয়ার উপায় কি?
আপনি যে বিষয়েই বিশেষজ্ঞ হতে চান না কেন, প্রথমেই আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, বিশেষজ্ঞ হওয়া খুব সহজ কাজ নয়। কোনওকিছু নিয়ে প্রচুর পড়াশুনা করলেই বিশেষজ্ঞ হওয়া যায় না। এটি একটি দীর্ঘ সাধনার বিষয়। শুধুমাত্র একটি বিষয়ে বিশাল জ্ঞান থাকলেই সেটা সম্ভব নয়। আসলে কোনও বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রথম ধাপ মাত্র।
চলুন তাহলে সত্যিকার বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠার উপায়গুলো আমরা ধাপে ধাপে জেনে নিই:
## একটি বিষয়েই নিবেদিত থাকতে হবে:
কোনও বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে গেলে প্রথমেই একজন মানুষের মাঝে যা নিয়ে আসতে হবে, তা হল, সেই বিষয়ের প্রতি নিবেদন বা কমিটমেন্ট। সেই ক্ষেত্রটিকে নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় প্যাশন হিসেবে দেখতে শিখতে হবে। আপনি যদি রসায়নের একজন বিশেষজ্ঞ হতে চান, তবে রসায়নের প্রতি আপনার জীবনকে নিবেদন করতে হবে। আপনার লক্ষ্য থাকবে রসায়ন বিষয়ে পৃথিবীর যত জ্ঞান আছে, তার যতটা সম্ভব অর্জন করা।
একাধিক বিষয় নিয়ে কাজ করলে আপনি কখনওই একটি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হতে পারবেন না। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে; যা আমরা পরের একটি পয়েন্টে আলোচনা করব।
## আজীবন ছাত্র হতে হবে:
পৃথিবীতে যত সত্যিকার বিশেষজ্ঞ আছেন, তাদের সবাই শুরু করেছেন ছাত্র হিসেবে। তবে দক্ষ আর জ্ঞানীদের সাথে বিশেষজ্ঞদের প্রধান পার্থক্য, তারা কখনওই শেখা বন্ধ করেন না। তারা নিজেকে নিজের বিষয়ের একজন আজীবন ছাত্র হিসেবে ভাবতে পছন্দ করেন। আপনিও যদি ঠিক করেন যে একটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হবেন – তবে কখনওই শেখা বন্ধ করবেন না।
## থিওরির পাশাপাশি বাস্তব অনুশীলন:
যদি আপনার আগ্রহের বিষয়ে সারাজীবন পড়াশুনাই করে যান, তবে থিওরি হয়তো অনেক জানতে পারবেন, কিন্তু বিশেষজ্ঞ হবেন না। বিশেষজ্ঞ হতে গেলে, যা-ই শিখবেন, তাকে বাস্তবে প্রয়োগ করে অনুশীলন করতে হবে।
ধরুন, আপনি ট্যাক্সের একজন বিশেষজ্ঞ হতে চান। সেজন্য ট্যাক্স নিয়ে প্রচুর পড়াশুনা করলেন, ট্যাক্সের আইন, হিসাব – ইত্যাদি বিষয়ে সব জ্ঞান আপনার ঠোটস্থ। কিন্তু বাস্তবে কখনও এগুলোর প্রয়োগ করেননি। এমনটা হলে, বাস্তব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না। কাজেই যেটাই শিখবেন, বাস্তবে তা অনুশীলন করার চেষ্টা করবেন।
## গুরু বা আইডল থাকতে হবে:
শুধু আধ্যাত্মিক বিষয়েই নয়, যে কোনও বিষয়ে অসাধারণ হতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই আরেকজন অসাধারণ ব্যক্তির শিষ্যত্ব নিতে হবে। ইংরেজীতে একে ‘Mentorship’ বলে।
একজন সত্যিকার বিশেষজ্ঞকে মেন্টর বা গুরু হিসেবে ধরলে, আপনি তাঁর জ্ঞান থেকে শিখতে তো পারবেনই, সেই সাথে তাঁর জীবনাচরন, শেখা ও শেখানোর প্রক্রিয়া দেখে দেখে সেগুলো রপ্তও করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞ হওয়ার ক্ষেত্রে এটা অপরিহার্য।
অনেক সময়ে অবশ্য এমন গুরু বা মেন্টর খুঁজে পাওয়া, বা তাঁর কাছে পৌঁছানোটা কঠিন বা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে আপনার আগ্রহের ক্ষেত্রে কোনও স্বীকৃত বিশেষজ্ঞকে আইডল হিসেবে ধরে, তাঁর স্টাইলে কাজ করতে পারেন। তাঁর জীবনী, উক্তি ইত্যাদি থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারেন।
## আগ্রহের বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত অন্য বিষয়গুলো জানতে হবে:
আগেই বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা হলেন প্রথম শ্রেণীর সমস্যা সমাধানকারী। কোনও বিষয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য, অন্য বিষয়ের সাথে তাকে মিলিয়ে দেখার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে, সমস্যাটি যদি হয় একদম নতুন। একটি বিষয়ের সাথে অন্যান্য আরও অনেক বিষয়ের সম্পর্ক থাকে। এটা ঠিক যে, বিশেষজ্ঞ হতে হলে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিবেদিত হতে হবে।
তবে তার মানে এই নয় যে আপনি শুধু সেই বিষয় নিয়েই পড়ে থাকবেন। নিজের নির্দিষ্ট বিষয়টিকে প্রধান রেখে, তার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়েও আপনাকে জানতে হবে। যাতে করে কোনও নতুন সমস্যা দেখা দিলে অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞানকে সমস্যা সমাধানের কাজে লাগাতে পারেন।
## গবেষণা ও সমস্যার সমাধান করা শিখতে হবে:
বিশেষজ্ঞ হতে আপনাকে এই কাজগুলো করতেই হবে। একজন বিশেষজ্ঞ তার বিষয়ে যে কোনও সমস্যার মুখে পড়লে সেই সমস্যার ধরন, ও তার সমাধান ভেবে ফেলতে পারেন। সেই সমস্যার সমাধান যদি আগে কেউ করে না থাকে, তবে দমে না গিয়ে নিজেই তার সমাধান আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। নিজের আগ্রহের বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করা বিশেষজ্ঞ হওয়ার উপায়গুলোর মাঝে অন্যতম।
## যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন করতে হবে:
আগেই বলেছি, বিশেষজ্ঞের অন্যতম একটি গুণ হল, অন্যদের নিজের বিষয়টি সহজ করে বোঝাতে পারা। কিভাবে বোঝালে যে কেউ আপনার বক্তব্য বুঝতে পারবে – সেই দক্ষতা একজন বিশেষজ্ঞের থাকতেই হবে।
মনে করুন, আপনি একজন কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞ। এমন একটি আইডিয়া আপনার মাথায় এসেছে, যা দেশের মানুষের জীবনই বদলে দেবে। এখন আপনি যদি মন্ত্রী-সচিবদের (যারা কেউ রসায়নে বিশেষজ্ঞ নন) সামনে প্রেজেন্টেশান দিতে গিয়ে রসায়নের জটিল তত্ব আওড়াতে শুরু করেন, তাহলে আপনার প্রজেক্টটি পাশ হওয়ারই কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। এখানে দোষ কিন্তু তাদের না। দোষ আপনার, কারণ আপনি তাদের বোঝাতে পারেননি।
আবার দেখা গেলো, আপনি একজন স্বীকৃত ইতিহাস বিশেষজ্ঞ শিক্ষক। কিন্তু প্রথম বর্ষের ছেলেমেয়েরা আপনার লেকচার বুঝতে পারে না। এটা কি ছাত্রছাত্রীদের ব্যর্থতা? নাকি আপনি সত্যিকার বিশেষজ্ঞ শিক্ষক হয়ে উঠতে পারেননি?
সত্যিকার বিশেষজ্ঞ হতে হলে অবশ্যই এমন যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে, যাতে আপনার কথা সবাই বুঝতে পারে। আপনার কাছ থেকে সহজেই শিখতে পারে। তাই, বিশেষজ্ঞ হতে হলে নিজের বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি, নিজের যোগাযোগের দক্ষতাও বাড়াতে হবে।
## বিনয়ী হতে হবে:
আগের টিপসগুলো অনুসরণ করলে, প্রায় নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, যে কোনও বিষয়েই দারুন দক্ষ ও জ্ঞানী হয়ে উঠতে পারবেন। একটা সময়ে অন্যরা আপনাকে মূল্য দিতে শুরু করবে। আর এটাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সময়। আপনি যদি দেখেন, এই মূল্যায়নের ফলে আপনার মাঝে সামান্য হলেও অহঙ্কার জমেছে – তবে ধরে নেবেন বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে পারেননি।
এই সময়ে অহঙ্কারকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। খুব গভীর ভাবে চিন্তা করতে হবে, কোন বিষয়ে আপনি জানেন না? সেই বিষয়ে ফোকাস করতে হবে। আর অবশ্যই আচরণে বিনয়ী হতে হবে। একবার অহঙ্কার স্থায়ী হয়ে গেলে, নতুন জ্ঞান অর্জন করার ইচ্ছে মরে যাবে। আপনার আর কখনওই সত্যিকার বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠা হবে না। বিশেজ্ঞ হওয়ার শেষ ধাপ হলো এই অহঙ্কারকে জয় করা।
পরিশিষ্ট:
আজকের ইন্টারনেটের যুগে কোনও বিষয়েই জানতে পারা কঠিন নয়। পৃথিবীর যাবতীয় জ্ঞান ইন্টারনেটের বিশাল ভান্ডারে জমা করা আছে। বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রথম ধাপ যে জ্ঞান অর্জন – তা আপনি চাইলেই করতে পারেন। আর এই লেখায় বাকি যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হল, সেগুলো চর্চা করলে নিজের আগ্রহের বিষয়ে আপনিও একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে পারবেন।
আপনার বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠার ইচ্ছে পূরণ হোক, লড়াকু সেই কামনাই করে।
লেখাটির বিষয়ে যে কোনও মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানান। আপনার প্রতিটি মতামতই আমাদের কাছে অমূল্য। আর যদি মনে হয়, লেখাটি অন্যদের কাজে আসবে, তবে শেয়ার করার মাধ্যমে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আমাদের সাথে থাকুন। সাফল্যের পথে প্রতি পদক্ষেপে লড়াকু আপনার সাথে আছে।