পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় যদি রপ্ত করতে চান, তবে প্রথমেই আপনাকে মানসিক ভাবে পেশাদার হিসেবে সেরা মনোভাব অর্জনের কথা ভাবতে হবে।
অনেকেই ভাবেন সেরা পেশাদাররা জন্ম থেকে কিছু বিশেষ পেশাগত দক্ষতা নিয়ে পৃথিবীতে আসেন। ইলন মাস্ক, স্টিভ জবস কিংবা জ্যাক মা এর মত বিশ্বসেরা পেশাদার ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে যে কোনও অফিসের সেরা পেশাদার কর্মীটিকে অনেকেই জন্মগত জিনিয়াস বলে ভাবেন।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই আসলে টপ লেভেলের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের সম্ভাবনা থাকে। কিছু বিশেষ মাইন্ডসেট বা মনোভাব, কাজ ও কঠোর পরিশ্রম এর ফলে কিছু মানুষ অন্যদের ছাপিয়ে যান।
এই মাইন্ডসেট বা বিশ্বাস তাঁরা জীবনের কোনও না কোনও পর্যায়ে অর্জন করেন, যা তাঁদের এক একজন হাই পারফর্মারে পরিনত করে – তাঁরা একটি লক্ষ্যের দিকে সবকিছু ভুলে দিন রাত পরিশ্রম করেন – এবং বিরাট সফলতা অর্জন করেন।
হয়তো কোনও আইডিয়া, কোনও ঘটনা, লিসন – যে কোনও একটা কিছুর ফলে তাঁদের মধ্যে এই মনোভাব জন্ম নিয়েছে।
বিখ্যাত ৮০/২০ প্রিন্সিপাল অনুযায়ী, একজন মানুষের সাফল্যের ৮০% নির্ভর করে তার মনোভাব বা মাইন্ডসেট এর ওপর, আর বাকি ২০% নির্ভর করে কাজের ওপর। তাহলে বুঝতেই পারছেন, সর্বোচ্চ পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় হিসেবে নিজের মাইন্ডসেট বা মনোভাবকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াটা কত জরুরী।
সব ক্ষেত্রের সেরা পারফর্মার বা সেরা সফল মানুষদের মনোভাবই থাকে অন্যরকম। সেরা ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, ছাত্র, রাজনীতিবিদ, শিল্পী ও লেখক, ধর্মীয় গুরু – এদের সবার মাইন্ডসেটই ‘সাধারণ’ মানুষদের চেয়ে আলাদা।
আজ আপনার সাথে আমরা এমনই ৪টি মাইন্ডসেট শেয়ার করব, যেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রের সেরা পারফর্মারদের মধ্যে দেখা যায়। সেরা পেশাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য, বা সেরা পারফর্মার হওয়ার উপায় হিসেবে এই মাইন্ডসেট বা মনোভাবগুলো চর্চা করলে দারুন ভাবে উপকৃত হবেন।
পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়: সেরা মানুষদের ৪টি মনোভাব:
০১. সেরা পেশাগত দক্ষতা সম্পন্ন মানুষ সাফল্যকে ’ভালোবাসেন’
আমরা তাদের জন্যই যে কোনওকিছু করতে রাজি থাকি, যাদের আমরা ভালোবাসি। রক্তের সম্পর্ক, বা আত্মার সম্পর্ক যাদের সাথে আছে, তাদের ব্যাপারে আমরা কখনও হাল ছাড়ি না। কোনও সম্ভাবনা না দেখলেও আমরা তাদের সাহায্য করি, তাদের বাঁচাতে নি:স্বার্থ ভাবে নিজের জীবনও দিতে চাই। কারও প্রতি ভালোবাসা থাকলে হাসি মুখে তার জন্য যে কোনও কষ্ট মেনে নিই।
সেরা পেশাগত দক্ষতা সম্পন্ন মানুষরাও তাঁদের কাজ, লক্ষ্য ও সাফল্যকে অতি আপনজনের মত করে ভালোবাসেন। সামনে যত বাধা আর কঠিন পরিস্থিতিই আসুক – লক্ষ্য অর্জন করার ব্যাপারে তাঁরা কখনও হাল ছাড়েন না।
লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় কোনওকিছু না জানলে নতুন করে শেখেন, ভুল হলে আবার শুরু করেন, কৌশল বদল করেন – কিন্তু কখনও লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হন না।
মানুষ যেভাবে নিজের সন্তানকে সফল মানুষ হিসেবে দেখতে চায়, তাঁরাও তাঁদের প্রজেক্ট বা উদ্যোগ গুলোকে নিজের সন্তানকে সফল করার মত করে সফল করতে চান। তাই কোনও বাধাই তাঁদের থামাতে পারে না।
মানুষের সবচেয়ে শক্তিশালী আবেগ আর অনুপ্রেরণার নাম ভালোবাসা। এই ভালোবাসা যেমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে অনুভব করা যায়, তেমনি বস্তুর ক্ষেত্রে বা নিজের কাজের ক্ষেত্রেও সম্ভব।
আপনি যদি হাই পারফর্মার হতে চান, অথবা নিজের কাজের ক্ষেত্রে সেরা পেশাগত দক্ষতা অর্জন করতে চান – তবে প্রথমেই আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে – কোন বিষয়টির প্রতি আপনার সবচেয়ে বেশি টান। জীবনে কোন কাজের ক্ষেত্রে আপনি সেরা হতে চান।
যে কাজকে আপনি সবচেয়ে ভালোবাসেন, যে লক্ষকে আপনি সবচেয়ে বেশি অর্জন করতে চান – তার জন্য আপনাকে যে কোনও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ঠিক যেমনটি আমরা অতি আপনজনের জন্য করে থাকি। তাহলেই পেশাগত ভাবে সফল হওয়া সম্ভব।
রিলেটেড পোস্ট: জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্থির করার উপায়: “সাকসেস প্রিন্সিপালস” – (বুক রিভিউ)
০২. পেশাগত দক্ষতা সম্পন্ন মানুষ ভয়কে মোটিভেশনে পরিনত করেন
ভয় মানুষের একটি সহজাত বৈশিষ্ট। পৃথিবীর সবচেয়ে সাহসী মানুষটিও ভয় পায়। কিন্তু সাহসী মানুষদের সাথে ভিরুদের পার্থক্য হল, সাহসী মানুষরা ভয় পেলেও পিছিয়ে যান না।
”ফাইফ সেকেন্ড রুল” এর লেখিকা মেল রবিন্স একটি সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলেনঃ
“ফিজিওলজিক্যাল দিক থেকে ভয় পাওয়া এবং এক্সাইটেড হওয়ার অনুভূতি একই। আপনার হার্টবিট বাড়বে, গলা শুকিয়ে যাবে, কান গরম হয়ে যাবে, শরীরে ঘাম দেখা দেবে। আপনি যদি প্রেজেন্টেশন দিতে গিয়ে বা ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে এমন অনুভূতির শিকার হন, তবে মনে মনে নিজেকে বলুন, আমি উত্তেজনা বোধ করছি। – আপনি যখন এটা বলবেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক ভয়কে উত্তেজনা হিসেবে ধরে নিতে অভ্যস্ত হবে – এবং আপনি ভয় পাওয়ার বদলে কাজটি করতে চাইবেন।”
ভয়কে উত্তেজনায় পরিনত করতে পারলে ভয়কে আর ভয় মনে হবে না। এবং আপনি যদি ভয়ের সময়ে নিজেকে বোঝান, এটি আসলে উত্তেজনার প্রকাশ – তবে আপনার মস্তিষ্কও ব্যাপারটি মেনে নেবে – এবং আপনি ভয় পাওয়ার পরও কাজে এগিয়ে যাবেন।
সেরা পারফর্মাররা কোনও বড় বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ দেখে মনে মনে ভয় পেলেও, কাজটি করলে কি ফলাফল হবে – তা দেখার জন্য উত্তেজিত থাকেন। তাঁরা নিজেদের বার বার মনে করিয়ে দেন – কাজটি করলে তারা কি পাবেন। এই নতুন কিছু পাওয়ার উত্তেজনাই মানুষকে ভয় পাওয়ার পরও এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। তাঁরা ভয়কে উপভোগ করেন, কারণ চ্যালেঞ্জ জয় করার উত্তেজনাকে তাঁরা কাজে লাগাতে চান।
এছাড়া, আরেক ভাবে সেরা পেশাদাররা তাঁদের ভয়কে মোটিভেশন বানিয়ে নেন। বেশিরভাগ মানুষ ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে কাজেই হাত দেন না। আর সেরা পারফর্মাররা একে পেশাদারী দক্ষতা অর্জন ও কাজে লাগানোর উপায় বানিয়ে ফেলেন।
ব্যর্থ হলে কি হবে – এই ভয় তাঁদের মধ্যে আসলেও, তাঁরা সেই ভয়ে কাজ বন্ধ না করে, সেই ভয়কে কাজে লাগিয়ে সাফল্য নিশ্চিত করার মোটিভেশন খুঁজে নেন। মনের ভেতর ব্যর্থতার ভয়কে অনুপ্রেরণা বানিয়ে যে কোনও মূল্যে তাঁরা সাফল্য পেতে চান।
”৫০ বিলিয়ন ডলার ম্যান” নামে বিখ্যাত আমেরিকান বিলিওনেয়ার ও বিজনেস কোচ ড্যান পীনা এর একটি বিখ্যাত উক্তি এই ব্যাপারটিকে বুঝতে সাহায্য করবে:
”একজন ব্যর্থ মানুষ ও সফল পেশাদারের প্রধান পার্থক্য হল ভয়ের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া। আমরা সবাই ভয় পাই। কিন্তু একজন সেরা পারফর্মার তার ভয়কে কাজ করার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে লাগায়”
০৩. অতীত নিয়ে পড়ে থাকেন না, এবং ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানে কষ্ট স্বীকার করেন
অন্য সব মানুষের মতই সেরা পেশাগত দক্ষতা সম্পন্ন মানুষরাও জীবনকে উপভোগ করতে চান। কোনও খারাপ ঘটনা ঘটলে মনে কষ্ট পান।
কিন্তু সাধারণ মানুষ যখন অতীতে পাওয়া কষ্ট বা ব্যর্থতাকে বর্তমানে আঁকড়ে ধরে থাকেন, অথবা বর্তমানে যা সামনে পায় তাই উপভোগ করতে চায় – হাই পারফর্মার মানুষরা তা করেন না।
তাঁরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেন – কিন্তু অতীত নিয়ে আফসোস করেন না। অথবা বর্তমানে যা-ই সামনে পান – তা উপভোগ করার চেষ্টা করেন না। তাঁদের চোখ সব সময়ে থাকে ভবিষ্যতের দিকে।
ভবিষ্যতে আপনি যত বড় সাফল্য চান, বর্তমানে আপনাকে তত বড় ত্যাগ স্বীকার করতে হতে পারে।
ছাত্র অবস্থায় টিভির মজার প্রোগ্রাম বাদ দিয়ে যারা সময়মত পড়াশুনা করেছে – তারা আজ সফল ছাত্র।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া বাদ দিয়ে যে উদ্যোক্তা নিজের মনে কাজ করে গেছে – সে সেইসব বন্ধুদের সাফল্যকে অনেক দূর ছাড়িয়ে গেছে।
– এমন হাজার হাজার উদাহরণ দেয়া সম্ভব। তবে আসল ব্যাপারটা আশা করি ধরতে পেরেছেন।
সেরা দক্ষতা অর্জন করতে হলে আপনাকে অন্যদের চেয়ে বেশি প্রাকটিস করতে হবে, বেশি খাটতে হবে।
আমেরিকান বিলিওনেয়ার ব্যবসায়ী মার্ক কিউবান বলেন, “সাফল্য পাওয়ার জন্য টাকা বা কানেকশন কোনও সমস্যা নয়, আপনার শুধু অন্যদের চেয়ে বেশি কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। — আপনার হয়তো সবচেয়ে বেশি ট্যালেন্ট নেই, হাতে হয়তো টাকা নেই – কিন্তু আপনি চাইলে সব সময়ে অন্যদের চেয়ে বেশি খাটতে পারেন”
প্রায় সব সফল মানুষ একটা কথাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলেন, একটি লক্ষ্য ঠিক করে সবকিছু ভুলে সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা।
আপনার লক্ষ্য পূরণের জন্য বর্তমানের প্রতিটি মূহুর্তকে কাজে লাগান। যে কোনও কাজ করার আগে নিজের লক্ষ্যের কথা ভাবুন। যদি সেটি লক্ষ্য অর্জনকে সামান্য হলেও বাধাগ্রস্থ করে – তবে সেই কাজ করবেন না।
প্রথমে ছোট ছোট করে শুরু করুন। দিনে এক ঘন্টা ফেসবুক ঘাঁটা বাদ দিয়ে লক্ষ্য অর্জনের পেছনে এক ঘন্টা এক্সট্রা সময় দিন। পেশাগত দক্ষতা অর্জন করার জন্য পড়াশুনা করুন বা প্রাকটিস করুন। এভাবে করতে পারলে আপনার লক্ষ্য আরও কাছে চলে আসবে।
মনে রাখবেন, আজ লক্ষ্যের পেছনে দুই ঘন্টা বেশি ব্যয় করলে লক্ষ্য আপনার দিকে দুই ঘন্টা এগিয়ে আসবে।
অযথা বিনোদন বা অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় না কাটিয়ে বর্তমানের প্রতিটি মূহুর্তকে কাজে লাগানো, যে কোনও বড় লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম শর্ত।
০৪. সত্যিকার পেশাগত দক্ষতা অর্জন কারীরা লোভে পড়েন না
লোভ আর উচ্চাকাংখা বা এ্যামবিশন সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। এ্যামবিশন মানে নিজের চেষ্টায় কিছু পাওয়ার আকাংখা, অন্যদিকে লোভ করা মানে যে কোনও একভাবে পেলেই হল – সেখানে ন্যায়নীতির কোনও জায়গা নেই।
পেশাগত দক্ষতা অর্জন করে সফল হওয়ার জন্য লোভের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। আপনার যদি লক্ষ্য হয় আপনি সফটঅয়্যার বানিয়ে কোটি টাকা আয় করবেন, বা আধুনিক কৃষি ফার্ম করে বিপুল অর্থ আয় করবেন – তবে সেটা হবে উচ্চাকাংখা।
কিন্তু এটা করার পথে যদি কেউ আপনাকে বলে, নিজের লক্ষ্য বাদ দিয়ে অন্য কিছু করলে আপনি আরও বেশি অর্থ আয় করতে পারবেন – এবং সেই কথা শুনে আপনি যদি নিজের কাজ বাদ দিয়ে সেই টাকার পেছনে ছোটেন – তাহলে আপনি লোভী।
কোনও বিষয়ে পেশাগত দক্ষতা অর্জন করে অর্থ উপার্জন করা, আর যে কোনও উপায়ে অর্থ উপার্জন করার মধ্যে বিরাট পার্থক্য আছে।
যারা সত্যিকার অর্থেই হাই পারফর্মার – তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যের দিকে পূর্ণ ফোকাস রেখে কাজ করেন। যত লোভই দেখানো হোক না কেন, তাঁরা পথ পরিবর্তন করেন না। কারণ তাঁরা তাঁদের কাজকে ভালোবাসেন।
সত্যিকার হাই পারফর্মাররা তাঁদের হাতে যে কাজটি থাকে, সেটিতেই সব ফোকাস এক করেন। সেই কাজটি শেষ করার পর তাঁরা নতুন কাজে হাত দেন। এভাবে ধাপে ধাপে তাঁরা নিজেদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর সাথে সাথে নিজেদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের দিকে নিয়ে যান।
যদি কম কষ্টে বেশি লাভের লোভ সামলে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন – তবে একটু একটু করে আপনি আপনার পেশার সবচেয়ে দক্ষ একজন মানুষে পরিনত হবেন। আর পেশাগত দক্ষতা স্থায়ী সাফল্য অর্জন করার সবচেয়ে ভালো উপায়।
পরিশিষ্ট:
পৃথিবীতে যত সেলফ ডেভেলপমেন্ট কোচ আছেন, অথবা যত সফল ব্যক্তি আছেন – বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের বিভিন্ন মতামত আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত। কিন্তু একটা জায়গায় সবাই একমত – যে কোনও বিষয়ে সাফল্য পাওয়ার জন্য সবার আগে নিজের মনকে প্রস্তুত করতে হবে।
আপনি যে ক্ষেত্রেই সেরা পেশাগত দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করেন না কেন, সর্ব প্রথম ও প্রধান উপায় হচ্ছে – নিজের মনকে প্রস্তুত করা।
নিজের মধ্যে সঠিক মনোভাব আনতে পারলে দক্ষতা অর্জন করা এবং চূড়ান্ত সফলতা পাওয়া শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
পেশাগত দক্ষতা অর্জন করার বিষয়ে এই পরামর্শগুলো যদি আপনাকে একটুও সাহায্য করে – তাহলেই আমাদের প্রচেষ্টা সফল।
লেখাটির বিষয়ে আপনার যে কোনও মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানান। আপনার সব মতামতই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
লেখাটি ভালো লাগলে এই পোস্টের নিচে রেটিং দিয়ে অনুপ্রাণিত করুন। যদি কোনও বিশেষ বিষয় নিয়ে অনুপ্রেরণামূলক বা শিক্ষনীয় লেখা চান – তবে সেটাও কমেন্ট করে জানান। চাইলে নিজেও লিখে পাঠাতে পারেন write@test.edaning.com – ইমেইল এ।
আর যদি মনে হয় এই লেখাটি পড়ে অন্যরাও উপকৃত হবেন – তবে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।
প্রতিদিন অনুপ্রেরণামূলক লেখা ও টিপসের জন্য নিয়মিত আমাদের সাথে থাকুন। সাফল্যের পথে লড়াকু সব সময়ে আপনার সাথে আছে।