যে ৬টি প্রধান কারণে নতুন উদ্যোগ বা স্টার্টআপ ব্যর্থ হয়: হলিহার্ন ও হার্ভের গবেষণা


পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১০০টি নতুন ব্যবসার উদ্যোগের মধ্যে মাত্র ১০টি সফল হয়। আবার এই ১০টির মধ্যে ৯টিই ৫ বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। – কখনও কি ভেবে দেখেছেন, কেন এমন হয়?

“The Entrepreneurial Culture, 23 Ways to Engage & Empower Your People” একটি নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার বই। বইয়ের লেখক দুইজন। মাইকেল হলিহার্ন ও বনি হার্ভে। এই দুইজন আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পানীয় কোম্পানী “বেয়ারফুট ওয়াইন” এর প্রতিষ্ঠাতা।

তাঁরা তাঁদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা থেকে তরুণ উদ্যোক্তাদের শেখাতে চান। উদ্যোক্তা বিষয়ে তাঁদের আরও একটি বেস্ট সেলার বই রয়েছে: “The Barefoot Spirit: How Hardship, Hustle, and Heart Built America’s #1Wine Brand”

বই লেখার সময়ে তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করেন। নিজেদের ব্যবসা নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি, বহু সফল এবং ব্যর্থ উদ্যোক্তাদের সাক্ষাৎকার ও মতামন নেন তাঁরা।

এই গবেষণা করতে গিয়েই তাঁরা দারুন একটি আবিষ্কার করেন। সফল ও ব্যর্থ উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে, এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে, নতুন উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার প্রধান ৬টি কারণ তাঁরা বের করে ফেলেন।

এই ৬টি কারণ তাঁরা বেশ কিছু উদ্যোক্তার নিজস্ব মতামত সহ তাঁদের ব্লগে লেখেন।

চলুন জেনে নেয়া যাক, নতুন উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার ৬টি প্রধান কারণ:

 

০১. যথেষ্ঠ পরীক্ষা নীরিক্ষা না করা (তাড়াহুড়া করা)

যথেষ্ঠ পরীক্ষা নীরিক্ষা না করে, তাড়াহুড়া করে কাজ করা নতুন ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ বলে মতামত দিয়েছেন বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা।

একটি আইডিয়া মাথায় এলেই তা নিয়ে মার্কেটে নেমে যাওয়াটা বোকামী। আইডিয়াটা মার্কেটে কতটা চলবে, মানুষ আসলেই এই জিনিস চায় কিনা, আইডিয়া বাস্তবায়ন করার খরচ মার্কেট থেকে দ্রুত উঠিয়ে আনা সম্ভব কিনা – ইত্যাদি অনেক বিষয় মাথায় রেখে কাজ করা উচিৎ।

বিশেষ করে তরুণ উদ্যোক্তারা যে কোনও একটি ভালো আইডিয়া পেলে উত্তেজনার কারণে খুব বেশি চিন্তা না করেই কাজে নেমে পড়েন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই আইডিয়াকে সফল করতে পারেন না। এর কারণ খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে তাড়াতাড়ি করা।
সফল হওয়ার আশা করাটা অবশ্যই ভালো। কিন্তু পুরোপুরি আবেগ দিয়ে ব্যবসা হয় না।

কোনও একটি আইডিয়া মাথায় আসলে, প্রথমেই বড় বিনিয়োগ না করে অল্প অল্প করে পরীক্ষামূলক ভাবে পন্য বা সেবা বাজারে ছাড়া উচিৎ। সেটার সম্ভাবনা কতটুকু, মানুষ সেগুলো কিভাবে গ্রহণ করছে, ভালো ভাবে না চললে কি ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে – ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা না করলে উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
একটি নতুন পন্য বা সার্ভিসের আইডিয়া প্রথমে অল্প কিছু মানুষের ওপর পরীক্ষা করতে হয়। সেখান থেকে পাওয়া মতামত ও ফলাফলের ভিত্তিতে পারফেক্ট প্রোডাক্টটি গড়ে তুলতে হয়।

এভাবে না করে, তাড়াহুড়া করে বাজারে নামলে, ব্যবসা বা উদ্যোগ কখনওই সফল হবে না।

 

০২. টিম মেম্বারদের মাঝে বোঝাপড়ার অভাব

হয়তো তিন বন্ধু মিলে একটি ব্যবসা শুরু করল। ব্যবসা শুরু আগে আড্ডার সময়ে তাদের মাঝে ছোটখাট ভুল বোঝাবুঝি, আর তর্ক হতো। এতে কেউ কিছু মনে করতো না।

কিন্তু ব্যবসা করতে এসে দেখা গেল – যে বন্ধুটি সব কিছুতে তর্ক করতো, সে ব্যবসায় নেমেও সবকিছুতে তার মতামত চাপাতে চেষ্টা করছে। অন্যের কোনও যুক্তি সে শোনে না। তার নিজের কাছে যেটা ভালো লাগছে, সেটাই সে এ্যাপ্লাই করতে চাইছে। এতে করে তিন জনের টিম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এল-স্পার্ক এর ডিরেক্টর ও সফল উদ্যোক্তা এলিজা সেরেগিলি এই বিষয়ে লেখকদের বলেন, “যদি কোনও নতুন টিমের সদস্যরা চিন্তাশীল হয়, ও যুক্তি দিয়ে সবকিছু বিচার করতে পারে – তবে তাদের মাঝে কোনও সমস্যা হবে না। যে কোনও সমস্যাই তারা আলোচনার মাধ্যমে সফল ভাবে সমাধান করতে পারবে। কিন্তু টিমের মাঝে যদি একপেশে চিন্তা ভাবনার কোনও লোক থাকে, (যেমন সবকিছুই সে একাউন্টিং এর দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করে) তাহলে সেই টিমের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম”

টিম মেম্বাররা যদি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের চেয়ে ব্যক্তিগত মতামত প্রতিষ্ঠা করাকে বেশি গুরুত্ব দেয়, তাহলে সেই টিম ব্যর্থ হতে বাধ্য।

লাঞ্চ-আলাস্কা এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ্যালসে ডাউনিস বলেন “অনেক সময়ে দেখা যায় একদল মানুষ একটি ভালো আইডিয়া পেয়ে, খুব দ্রুত কাজে নেমে পড়ে। কিন্তু তারা সেটা থেকে কি চায় – তা নিয়ে আলোচনা করে না। এটা পরে ঝামেলা বাধায়। কারণ একটি আইডিয়া নিয়ে এক এক জনের আলাদা আলাদা স্বপ্ন আর চাওয়া থাকে। টাকা পয়সা, খ্যাতি, সাফল্য, প্রজেক্ট কিভাবে কাজ করবে, কতটা সময় আর শ্রম দেবে – এইসব ব্যাপারে সবার আলাদা আলাদা ভাবনা থাকে। যদি প্রজেক্ট শুরুর আগে আলোচনা করে সবাই মিলে এক মত না হয় – তবে পরে গিয়ে ব্যবসা বন্ধও হয়ে যেতে পারে”

আদর্শ টিম হওয়ার জন্য সেরা লোকের দরকার নেই। বেশি ভালো হলে তারা সবখানেই নাক গলাতে চাইবে। একটি ভালো টিমের প্রয়োজন সঠিক লোক, যারা অন্যদের সাথে মিলে মিশে কাজ করতে পারে, এবং অন্যদের মতামতের প্রতি সম্মান দেখাতে পারে। টিমের সবার লক্ষ্য এক না হলে, সেই টিম যত দক্ষই হোক, তাদের দিয়ে কিছু হবে না।

 

০৩. লক্ষ্যে অটল না থাকতে পারা ও ধৈর্য্যের অভাব

লক্ষ্যে অটল না থাকতে পারা নতুন ব্যবসার উদ্যোগ বা স্টার্টআপ ব্যর্থ হওয়ার জন্য ৫০% এর ও বেশি দায়ী।

আপনি যখন নতুন একটি আইডিয়া নিয়ে ব্যবসায় নামবেন, তখন ধরে নিতে হবে যে, এটাকে সফল করতে গেলে অনেক সময় লাগবে, শ্রম দিতে হবে, আর ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

একবার, দুইবার ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিলে সেই ব্যবসা শুরু করাই উচিৎ নয়। চ্যালেঞ্জ নেয়ার মানসিকতা ও আঘাত সহ্য করার শক্তি না থাকলে একটি নতুন উদ্যোগকে কখনওই সফল করা যায় না। প্রতিটি সফল উদ্যোগই আসলে বার বার পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়ানোর গল্প। সেই সাথে লক্ষ্যে অটল থেকে এগিয়ে যাওয়ার গল্প।

লাঞ্চ আলাস্কা এর এ্যালসে ডাউনিস বলেন, “একজন উদ্যোক্তাকে অবশ্যই মানতে হবে যে নতুন উদ্যোগ সফল করা অনেক কঠিন একটা কাজ। এর জন্য অনেকটা সময় দিতে হয়, এবং অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়”

অসীম ধৈর্য্য, আর সহনশীলতা বা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকলে, আপনি পড়ে গিয়ে আর উঠে দাঁড়াতে পারবেন না। বেশিরভাগই ঝোঁকের মাথায় ব্যবসায় নামেন, কিন্তু সাফল্যের পথ কতটা কঠিন, তা তাঁরা চিন্তা করেন না। পরিস্থিতি খারাপ হলে, তারা সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করার বদলে কাজ করাই ছেড়ে দেন। এই একটি কারণেই ৫০% এর বেশি স্টার্টআপ ব্যর্থ হয়।

 

০৪. লোভ

লোভের ব্যাপারটি খুব কম লেখক বা বিজনেস এক্সপার্ট যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেন। কিন্তু এই লোভের কারণে যে কত সম্ভাবনাময় উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে – তা গুনে শেষ করা যাবে না।

সফল সিলিকন ভ্যালি স্টার্টআপ “ওয়াইল্ডকার্ড ইনকিউবেটর” এর ম্যানেজিং পার্টনার নাবু কুমাগাই বলেন. “ব্যবসার ক্ষেত্রে লোভ হয় দুই ধরনের। এক, Internal বা আভ্যন্তরীন লোভ, যা পার্টনারদের নিজেদের ভেতরের ব্যাপার। একজন পার্টনার হয়তো অন্যদের চেয়ে বেশি চায়, অন্যরা তাকে দিতে চায় না। এই কারণে বহু সম্ভাবনাময় স্টার্ট আপ শেষ হয়ে যায়।
দুই নম্বরে আছে, external বা বাইরের লোভ। এই লোভের কারণে একটি নতুন সম্ভাবনাময় ব্র্যান্ড তার ক্রেতাদের হারিয়ে ফেলে। হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দেয়া, টাকা বাঁচানোর জন্য পন্যের কোয়ালিটি খারাপ করে ফেলা – ইত্যাদি একটি নতুন ব্র্যান্ডকে শেষ করে দিতে পারে।

অভিজ্ঞতা ও শিক্ষার অভাবের কারণে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা এই ভুল করেন, এবং নিজের ব্যবসার বারোটা বাজান।

লোভ তখনই একটি স্টার্ট আপকে আক্রান্ত করে, যখন তারা দীর্ঘমেয়াদী বা লং টার্ম সাফল্যের বদলে স্বল্পমেয়াদী বা শর্ট টার্ম সাফল্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়।

 

০৫. পরিকল্পনা ও হিসাব রক্ষণের অভাব:

ধরুন আপনি একটি ব্যবসায় নেমেছেন, আপনার একটা পরিকল্পনা আছে যে আপনি ১০ বছর পর ব্যবসাটিকে একটি সেরা ব্র্যান্ড বানাবেন। কিন্তু এটা আসলে কোনও পরিকল্পনা নয়। এটা একটি লক্ষ্য। একটি বড় বা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যকে যদি ছোট ছোট পরিকল্পনায় ভাগ করে কাজ না করতে পারেন, তবে অল্প দিনের মধ্যেই আপনি ব্যর্থ হবেন।

লক্ষ্য যদি হয় ১০ বছরের, তবে তাকে ১ বছরের ১০টি ভাগে ভাগ করতে হবে, তারপর প্রতিটি বছরকে ১২ মাসে, প্রতিটি মাসকে ৪ সপ্তাহে, এবং প্রতিটি সপ্তাহকে ৭ দিনে ভাগ করে প্রতি দিনের প্ল্যান সাজাতে হবে। এভাবে প্ল্যান সাজিয়ে কাজ না করতে পারলে, আপনার ব্যর্থ হবার সম্ভাবনাই বেশি।

University of Central Florida Business Incubation Program এর এ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জেমস বোয়ি বলেন, “যদি একটি সেলস প্ল্যান, এবং সেই প্ল্যান ঠিকমত কাজ করছে কিনা – তা জানার উপায় না রাখা হয়, তবে ব্যবসা ব্যর্থ হতে বাধ্য”

প্ল্যান কতটা কাজ করছে, তাতে কি কি পরিবর্তন আনতে হবে – এসব প্রতিদিন চেক করতে হবে।

এর সাথে অবশ্যই টাকা পয়সার হিসাব ঠিকভাবে রাখতে হবে। প্রতিটি টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, কি পরিমান আয় হচ্ছে, বাজেট অনুযায়ী সব চলছে কি না, লাভ-লসের পরিমান কি, লস হলে সেই লস কিভাবে কাটানো যায় – এইসব হিসাব ঠিক মত রাখার ওপর একটি ব্যবসার টিঁকে থাকা অনেকটাই নির্ভর করে।

একটি নতুন ব্যবসার প্রোডাকশন, মার্কেটিং, সেলস, ঝুঁকি, আয়-ব্যয় – ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে যদি গোছানো পরিকল্পনা না থাকে, এবং নিয়মিত এগুলোর হিসেব না নেয়া হয়, তবে উদ্যোক্তারা যত বড় জিনিয়াস আর দক্ষই হোক – সেই উদ্যোগ সফল হবে না।

 

০৬. ভুল স্বীকার না করা:

যে কোনও জিনিস প্রথমবার করতে গেলে ভুল হবেই। ভুল থেকে যে যত শিক্ষা নিতে পারে, সে তত সফল হয়। কিন্তু অনেক তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটা সমস্যা দেখা যায়: তারা নিজের ভুল স্বীকার করতে চায় না। কোনও একটি প্ল্যান ব্যর্থ হলে তারা অন্যদের দোষ খুঁজতে শুরু করে – কিন্তু নিজের কোথায় ভুল হয়েছে, তা ভেবে দেখে না।

অনেক উদ্যোক্তা এটাও বলেন, যে ক্রেতারাই খারাপ, তার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসে কোনও সমস্যা নেই। এই ধরনের মানসিকতা থাকলে সেই উদ্যোক্তা কখনওই তার সেরা পন্য বা সেবাটি দিতে পারবে না। শুধু এই স্বভাবের কারণে অনেক প্রতিভাবান উদ্যোক্তা ব্যর্থ হয়ে গেছেন। আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো, কিন্তু অহংকার ভালো নয়। আপনার মাঝে আত্মবিশ্বাস থাকলে, আপনি বিশ্বাস করবেন, যে আপনি ভুল কলে তা ঠিক করার ক্ষমতা আপনার আছে। আর অহঙ্কারী হলে মনে করবেন যে, আপনি ভুলই করতে পারেন না।

ভুল স্বীকার না করাটা একজন উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় ভুল। কোনও ভুলকে ঠিক করতে হলে সবার আগে দরকার ভুল স্বীকার করা। কিন্তু এটা না করতে পেরেই অনেক সম্ভাবনাময় স্টার্ট আপ ধ্বংস হয়ে যায়।

 

শেষ কথা:

উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। অনেকের হয়তো অনেক মেধা আর সাহস আছে। নিজেদের সাফল্যের ব্যাপারে তারা দারুন আত্মবিশ্বাসী ও পজিটিভ। কিন্তু কোনওকিছুতে সফল হতে গেলে, তার পজিটিভ দিক গুলো চিন্তা করার পাশাপাশি নেগেটিভ দিকগুলো নিয়েও চিন্তা করা জরুরী। তাহলেই একটি পারফেক্ট প্ল্যান করে, সফল হওয়া সম্ভব।

আশা করি মাইকেল ও বনি এর গবেষণা সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে আপনাদের কাজে লাগবে।

লেখাটি কেমন লাগলো, তা আমাদের কমেন্ট করে জানান। আপনাদের প্রতিটি মতামতই আমাদের কাছে অমূল্য।

আর যদি মনে হয় লেখাটি নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করবে, তবে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।

এই ধরনের আরও লেখার জন্য আমাদের সাথে থাকুন। সাফল্যের পথে লড়াকু সব সময়ে আপনার সাথে আছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন !