অফিস লেট সবারই কমবেশি হয়। ক্লাসেও মাঝে মাঝে দেরি হয়। সবারই কখনও কখনও লেট হয়। কিন্তু কিছু মানুষের সব সময়েই দেরি হয়। তারা ঘুম থেকে দেরি করে ওঠে, ক্লাসে দেরি করে যায়, দাওয়াতে দেরি করে যায়, ঘুমাতে যায় দেরি করে, মিটিংয়ে সবার শেষে হাজির হয় – সোজা কথায়, সব জায়গাতেই তারা লেট কামার।
বিশেষ কারণে দুই-একদিন লেট হলে কেউ কিছু মনে করে না, কিন্তু এটা যদি কারও অভ্যাস হয়ে যায় – তাহলে তার ওপর মানুষ ভরসা করা ছেড়ে দেবে। এতে করে ক্যারিয়ার তো হুমকির মুখে পড়বেই – ব্যক্তিগত জীবনেও নানান ঝামেলা সৃষ্টি হবে।
অফিস লেট বা অন্য জায়গায় দেরি কেন হয়?
কর্মজীবনে ঢোকার আগে এটা তেমন সিরিয়াস কিছু না হলেও, কর্মজীবন শুরু করার পর যদি এই সমস্যা থেকে যায় – তাহলেই বিপদ। নিয়মিত অফিস লেট মানে আপনার ক্যারিয়ারের বারোটা বাজতে বাকি নেই। আপনি যতই ভালো কাজ জানেন – অফিস লেট এর অভ্যাস ঠিক করতে না পারলে ক্যারিয়ারে এগুতে পারবেন না।
যদি ব্যবসাও করেন, তবুও এই কথা সত্যি। ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং, কর্মীদের ঠিকমত পরিচালনা করা – ইত্যাদি কাজ ঠিকমত করার জন্য আপনাকে সময়ানুবর্তী হতে হবে।
অনেকেই একটার পর একটা এ্যালার্ম বাজার পরও ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। উঠে দেখেন অফিস যাওয়ার আর বেশি সময় বাকি নেই।
তাড়াহুড়ো করে বিছানা থেকে উঠে, গোসল-নাস্তা ছাড়াই বের হয়ে গেলেন। এতে এমনিতেই নিজের ওপর মেজাজ খারাপ থাকবে। তারপর ক্লাসে/ অফিসে গিয়ে অন্যদের রিএ্যাকশন দেখে আরও মুড খারাপ হয়ে যাবে। ফলাফল, দিনটাই খারাপ যাবে।
কিন্তু অনেকে পরের দিনও এই একই কাজ করেন। – কেন এমনটা হয়?
এর কারণ অভ্যাস, এবং নিজের ও অন্যের কথা ও কাজকে গুরুত্ব না দেয়া।
আপনি সময়মত অফিস বা কারও সাথে দেখা করতে যাওয়ার চেয়ে ৩০ মিনিট বেশি ঘুমানো বা টিভির একটি প্রোগ্রাম দেখাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
দীর্ঘদিন এমনটা করতে থাকলে এটা আপনার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যাবে, এবং আপনি ছোট ছোট ব্যাপারে দেরি করতে করতে জরুরী ব্যাপারে চাইলেও সময়মত পৌঁছাতে পারবেন না।
আপনার যদি ক্লাসে দেরি করে যাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে খুব সম্ভবত আপনি অফিস লেট করবেন।
দেরি যাদের হয়, তাদের আসলে সবকিছুতেই দেরি হয়। আপনার যদি বাঁ হাত দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস হয় – তবে সবকিছুই আপনি বাঁ হাত দিয়ে খাবেন।
এছাড়া অনেকেই সবকিছু ‘পারফেক্ট’ করতে গিয়ে দেরি করে ফেলে। ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ে শার্টের কোণায় হাল্কা ভাঁজ থাকলে আয়রন করতে লেগে যান, অথবা জুতা একটু ফ্যাকাশে লাগলে জুতায় কালি করতে লেগে যান – ফলাফল অফিস লেট ।
এছাড়া বেশি পারফেক্ট ভাবে কাজ করতে গিয়েও অনেকে সময়মত কাজ শেষ করতে পারেন না। ভালোমত কাজ করতে চাওয়া অবশ্যই একটি ভালো গুণ, কিন্তু সময়মত কাজ শেষ করা আরও ভালো গুণ।
ফেসবুকের চিফ অপারেশন অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ একবার বলেছিলেন, “পারফেক্ট কাজের চেয়ে সময়মত শেষ করা আমার বেশি পছন্দ”
অফিস লেট ও সবখানে দেরি করার ফল:
সত্যি কথা বলতে, যারা নিয়মিত দেরি করে মানুষ তাদের শুধু ভরসার অযোগ্য বা অলসই মনে করে না। অনেকেই তাদের অভদ্র, বোকা এবং দায়িত্বহীন মনে করে। এইসব মানুষ অন্যদের ব্যাপারে কোনও কেয়ার করে না বলে অনেক সময়েই অভিযোগ ওঠে।
আপনি হয়তো মোটেই সেরকম নন। আপনি দায়িত্ব নিতে চান, অন্যের সময়কে শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু আপনার কাজের কারণে আপনি প্রতিনিয়ত মানুষের কাছে ছোট হচ্ছেন।
অনেকে হয়তো মুখের ওপর কিছু বলে না – বা হাসি তামাশার মাধ্যমে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু মনে মনে যথেষ্ঠ বিরক্ত হয়।
আপনি নিজেই ভেবে দেখুন না, আপনাকে ১৫ মিনিট অযথা বসিয়ে রাখলে আপনার কেমন লাগবে?
দেরি করার একবার অভ্যাস হয়ে গেলে আপনি সম্মান হারাবেন, এবং আবারও সেই সম্মান পাওয়ার উপায় খুঁজে পেতে আপনার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে।
প্রতিনিয়ত দেরি করলে আপনার ওপর কেউ দায়িত্ব দিতে চাইবে না। আপনার কথারও কেউ দাম দেবে না। আপনি যদি কসম করেও বলেন আপনি ঠিক সময়ে কাজটি করবেন – সেটা কেউ বিশ্বাস করতে চাইবে না। – এর চেয়ে অসম্মানের আর কিছু হতে পারে না।
দেরি করার অভ্যাস থাকলে আপনি অনেক সময়েই মিটিং বা ক্লাসে জরুরী কথা বা লেকচার মিস করবেন। প্রথম দিকে হয়তো অন্যরা আপনাকে সাহায্য করবে – কিন্তু তারা যখন দেখবে আপনি সময়ের মূল্য খুবই কম দেন – তখন তারা বিরক্ত হয়ে আপনাকে সাহায্য করা বন্ধ করে দেবে।
আপনার যদি নিয়মিত অফিস লেট করার অভ্যাস থাকে, তবে যত ভালো কাজই করেন না কেন, প্রমোশন পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। সেইসাথে বসদের সুনজর হারাবেন।
ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার দেখাদেখি কর্মীরাও সময়ের ব্যাপারে অসচেতন হয়ে পড়বে। ফলে আপনার প্রতিষ্ঠানের কাজের ক্ষতি হবে। পাশাপাশি ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং বা দেখা করায় নিয়মিত দেরি করলে তারা আপনার সময়মত কাজ করে দেয়ার ক্ষমতার বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়বে। ফলে ব্যবসায়ও আপনি পিছিয়ে পড়বেন।
ব্যক্তিগত জীবনেও এর খারাপ প্রভাব পড়ে। আপনার স্ত্রী/স্বামী, সন্তানদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে দেরি হলে তারা আপনার ওপর অভিমান করবে – ফলাফল, সংসারে অশান্তি।
এভাবে আপনি অনেক বড় বড় পেশাগত সুযোগ মিস করার পাশাপাশি, সব সময়ে মানসিক চাপে ভুগবেন – যেটা আপনাকে বিভিন্ন ভাবে অসুস্থ করে ফেলবে। আপনার শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে।
“CareerBuilder” ২০১৭ সালে ২৬০০ এইচআর ম্যানেজার এবং ৩৪০০ কর্মীর ওপর একটি জরিপ চালায়। তাতে দেখা যায় ২৯% কর্মী মাসে অন্তত একদিন দেরি করে অফিসে আসেন। এবং এদের সবাই প্রমোশন থেকে বঞ্চিত!
জরিপে আরও দেখা যায় ৫৩% ম্যানেজার চান তাদের কর্মীরা প্রতিদিন ঘড়ি ধরে সঠিক সময়ে কাজে আসবে। ৪১% ম্যানেজার দেরি করে কাজে আসার কারণে অন্তত একজনকে চাকরিচ্যুত করেছেন।
অনেক কর্মী হয়তো মনে করেন, ৫-১০ মিনিট দেরি করলে এমন কি ক্ষতি হতে পারে?
তারা আসলে নিজের কাজের গুরুত্ব বোঝেন না। একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে প্রতিটি কর্মীরই কিছু না কিছু অবদান থাকে। বিশাল একটি গাড়ির ছোট একটি স্ক্রু যদি ঠিকভাবে জোড়া লাগানো না হয় – তাহলেও গাড়ির চলতে অসুবিধা হয়। এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। অনেক কর্মীই বোঝেন না যে তার প্রতিদিনের ৫ মিনিট দেরি আসলেই কোম্পানীর টাকা লস করায় এবং কাজের ব্যাঘাত ঘটায়।
সমাধান: অভ্যাস পরিবর্তন করুন
আপনি যদি অফিস লেট বা সাধারণ ভাবে দেরি করার অভ্যাসের শিকার হন, তবে এই বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
আর এই অভ্যাস বদলানোর জন্য শুধু ইচ্ছা থাকলেই হবে না। ইচ্ছার সাথে আপনাকে আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করতে হবে। এই চেষ্টা সফল করার জন্য কয়েকটি কার্যকর পরামর্শ নিচে দেয়া হল:
লেট করা বন্ধ করার ৭টি টিপস:
০১. ঘড়ি ধরে কাজ করুন:
মোবাইলের কল্যানে আজ অনেকেই হাতঘড়ি ব্যবহার করেন না। কিন্তু এই হাতঘড়ির প্রচলন কমে যাওয়ার কারণে মানুষের দেরি করার মাত্রা বেড়ে গেছে। মোবাইলের ঘড়ি দেখতে গেলে বেশিরভাগ ডিভাইসের বাটন চাপার প্রয়োজন হয়, এবং পকেট/ব্যাগ থেকে বের করার প্রয়োজন হয়। অল্প কষ্টের কাজ হলেও অনেকেই এটা করতে চান না।
অন্যদিকে হাতে ঘড়ি থাকলে সব সময়েই আপনি সময় দেখতে পাবেন – এবং অবচেতন মন আপনাকে সময়ের ব্যাপারে সচেতন করে দেবে।
সকাল বেলা অনেকেই গোসল করতে ঢুকলে সময়ের খেয়াল রাখতে পারেন না। ঘড়ি নিয়ে বাথরুমে ঢুকলে এবং কতক্ষণ গোসল করবেন – সেটা আগে থেকে ঠিক করে রাখলে গোসল বা ফ্রেশ হওয়ার সময় অনেক কম লাগবে।
এছাড়া সকালের নাস্তা করা, পোশাক পরা – বা এই ধরনের ছোটখাট কাজের জন্যও নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখুন এবং সময়ের দিকে খেয়াল রাখুন। ঘড়ি ধরে ছোট ছোট কাজ করার এই অভ্যাস করলে – পরে যে কোনও কাজ আপনি এমনিতেই ঘড়ি ধরে করবেন। ধীরে ধীরে আপনি সময়ের ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠবেন।
কাজেই, ঘড়ি না থাকলে আজই একটি ঘড়ি কিনুন এবং সব সময়ে হাতে রাখার চেষ্টা করুন। এই অভ্যাস অনেকেরই সময় নষ্ট করার অভ্যাস ঠিক করে দিয়েছে।
০২. ফলাফল ভাবুন:
প্রতিটি জরুরী কাজের আগে খুব মন দিয়ে ভাবুন, সময়মত কাজটি শেষ করতে পারলে আপনার কি কি লাভ হবে, অথবা সময় মত কারও সাথে দেখা করতে গেলে আপনার প্রতি তার সম্মান কিভাবে বেড়ে যাবে। এর উল্টোটাও ভাবুন। ভেজুয়ালাইজেশন বা মেন্টাল মডেলিং চর্চা করলে যে কোনও কাজই ভালো হয়। সময়ের সঠিক ব্যবহার করতেও এটা খুব কাজে দেয়।
০৩. শিডিউল এবং এলার্ম এর ব্যবহার করুন:
প্রায় সব সফল মানুষ তাদের কাজের শিডিউল রাখেন। প্রতিদিন কখন কি করবেন – সেটা আগে থেকেই শিডিউল করা থাকে। এবং সময়মত এলার্ম দেয়া থাকে।
লিখিত শিডিউল কাজের প্রতি মানসিক গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। কাজের রিমাইন্ডার বা এলার্ম বাজলে অন্য সবকিছু ভুলে সেই কাজে লেগে যান। যদি কারও সাথে দেখা করতে হয়, তবে সাথে সাথে রওনা দিন। অন্য যা কিছুর কথাই মনে আসুক – সেটাকে অবজ্ঞা করুন এবং শিডিউলের কাজ করুন।
০৪. সময়ের আগে শুরু করুন:
সব সময়ে কাজের শিডিউল নির্দিষ্ট সময়ের ১৫-২০ মিনিট আগে রাখুন। কোনও জায়গায় যাওয়ার কথা থাকলে অন্তত ১০ মিনিট আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। আপনাকে সময়ের ব্যাপারে সিরিয়াস দেখলে, অন্যরাও আপনার সময়ের মূল্য দেবে।
যদি প্রতিদিন জ্যামের কারণে আধা ঘন্টা দেরি হয়, তবে আধা ঘন্টা আগে বাসা থেকে বের হন। রুট বদলান। প্রয়োজনে রাতে আধাঘন্টা আগে বিছানায় গিয়ে আধা ঘন্টা আগে বিছানা থেকে উঠুন। – একটু চেষ্টা করলেই এইসব সমস্যা দূর করা সম্ভব।
নিজের টাইমিং বদলান, রাস্তার টাইমিং বা অন্য যে কোনও কিছুর টাইমিং আপনার কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।
তবে খুব বেশি আগে পৌঁছানোর দরকার নেই। আধাঘন্টা বা এক ঘন্টা আগে পৌঁছালে আপনি নিজেই বিরক্ত হয়ে যাবেন। এবং সময় মেইনটেনের ব্যাপারে অনাগ্রহ সৃষ্টি হবে। দু’টোকে ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করুন।
০৫. নিজের যত্ন নিন, এবং নিজেকে মূল্য দিন
আপনি যদি নিজেকে দেরি করা মানুষদের একজন বলে ভাবতে শুরু করেন – তাহলে কিন্তু এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবে না। নিজের প্রতি নেগেটিভ ধারণাগুলো দূর করুন। নিজের ক্ষমতা ও যোগ্যতার ব্যাপারে পজিটিভ চিন্তা করুন।
নিজেকে যথেষ্ঠ মূল্য দিন। আপনি হয়তো ভাবছেন আপনি যোগ্য নন, কিন্তু চেষ্টা করলে মানুষের পক্ষে নিজেকে যে কোনও সময়ে বদলানো সম্ভব। শুধু আত্মবিশ্বাসের সাথে চেষ্টা করে যান। নিজের খারাপ অভ্যাসের ফলে কি কি ক্ষতি হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে ভাবুন এবং নিজেকে সেই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করুন। নিজের প্রতি যত্নবান হোন। তাহলেই দেখবেন আপনিও পারফেক্ট টাইমিং এ সবকিছু করতে পারছেন।
পরিশিষ্ট:
পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন, যারা নিজের ক্ষেত্রে সেরাদের সেরা। নিজের ক্ষেত্রে জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রতিভায় তাদের সমকক্ষ কেউ নেই। কিন্তু শুধুমাত্র সময়মত কাজ করতে না পারার কারণে নিজেদের জীবনে সফল হতে পারেননি।
জীবনে সাফল্যের জন্য সময়মত কাজ শেষ করতে পারা এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারা প্রতিভা বা দক্ষতার চেয়েও জরুরী।
কাজেই, সময়ের প্রতি যত্নবান হোন। অফিস লেট বা অন্য যে কোনও ধরনের লেট করার অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসুন। তাহলে আপনি আপনার চেয়েও যোগ্য মানুষের সাফল্যকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন। অন্যের কাছ থেকে সম্মান আদায় করা, এবং মানুষের কাছে অপরিহার্য হয়ে ওঠার এরচেয়ে ভালো কোনও পথ নেই্।
লেখাটির ব্যাপারে আপনার যে কোনও মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানান।
ভালো লাগলে এই পোস্টের নিচে রেটিং দিয়ে অনুপ্রাণিত করুন। যদি কোনও বিশেষ বিষয় নিয়ে অনুপ্রেরণামূলক বা শিক্ষনীয় লেখা চান – তবে সেটাও কমেন্ট করে জানান। চাইলে নিজেও লিখে পাঠাতে পারেন write@test.edaning.com – ইমেইল এ।
আর যদি মনে হয় এই উক্তি ও বানী গুলো অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে – তবে শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন।
প্রতিদিন অনুপ্রেরণামূলক উক্তি ও লেখার জন্য নিয়মিত আমাদের সাথে থাকুন। সাফল্যের পথে লড়াকু সব সময়ে আপনার সাথে আছে।